Welcome to, DPRC Hospital & Diagnostic Lab Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09666 77 44 11

All Posts in Category: Health Basics

বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও পরামর্শ প্রদান (Free Diabetes Test)

১৪ই নভেম্বর ২০২২, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডিপিআরসি হাসপাতাল ও মার্কস্ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হবে ”বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও পরামর্শ প্রদান” কেম্পেইন।
স্থানঃ ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব লিঃ
১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা – ১২০৭
Read More

মধুর উপকারিতা

মধুর উপকারিতা
✅ রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়।
✅ শক্তি প্রদায়ী।
✅ হজমে সহায়তা করে।
✅ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
✅ রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।
✅ ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে কাজ করে।
✅ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
✅ চর্বি কমায়।
✅ গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।
✅ তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
✅ হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে।
✅ অনিদ্রার ভালো ওষুধ।
✅ যৌন দুর্বলতায় উপকার পাবেন।
✅ মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে।
✅ পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে।
✅ শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে।
✅ দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
✅ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
✅ আমাশয় ও পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে।
✅ হাঁপানি রোধে কাজ করে।
✅ উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
✅ রক্ত পরিষ্কার করে।
✅ রক্ত উৎপাদনে সহায়তা।
✅ হৃদ্রোগে উপকারি।
Read More

আনারসের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

আনারসের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

এক প্রকারের গুচ্ছফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব অপরিহার্য উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতেও আনারসের জুড়ি নেই। আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

আনারসের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ:

  • ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধ করে থাকে।
  • ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
  • হাড়ের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধ
  • ক্রিমিনাশক হিসেবে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধী:
  • পুষ্টির অভাব দূর করে
  • দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায় কাজ করে।
  • রক্ত জমাটে বাধা দেয়
  • পুষ্টির অভাব দূর
  • ভাইরাসজনিত রোগ থেকে বাঁচায়
  • হজমশক্তি বাড়ায়
  • চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়
  • সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
  • ওজন কমায়
  • ক্যানসার এবং হৃদরোগের উপকার করে
  • হাড়ের গঠন এবং হাড়কে করে তোলে মজবুত।

আনারসের পুষ্টিমান:

প্রতি ১০০ গ্রামে আনারসে পাওয়া যায় ৫০ কিলোক্যালরি শক্তি। এতে ভিটামিন-এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, ০.১২ গ্রাম সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১৩.১২ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মি. গ্রাম ভিটামিন-২, ভিটামিন- সি ৪৭.৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০২ গ্রাম, আঁশ ১.৪ গ্রাম এবং ১.২ মিলি গ্রাম লৌহ রয়েছে।

আনারসের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:

  • আনারসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা থাকলেও এটি সবার জন্য ঠিক স্যুট করে না। অনেকেরই আনারস এলার্জির সমস্যা যেমন বিভিন্ন ধরনের চুলকানি, ফুস্কুরি ইত্যাদি হতে পারে।
  • আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।
  • আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে অ্যালার্জী দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হল ঠোঁট ফুলে যাওয়া ও গলায় সুরসুরি বোধ হওয়া।তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকেনা।
  • আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকলে নারীদের আনারস খেতে বারণ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
  • আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু দেহের ক্ষতি, এটি খাওয়ার উপর নির্ভর করে। এবং আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।

  • আনারস একটি এসিডিক ফল। তাই খালি পেটে ফলটি খেলে পেটে প্রচন্ড ব্যথার তৈরী হতে পারে। আনারস আর দুধ এক সাথে খাওয়া যায় না, এটি একটি কুসংষ্কার। এখন পর্যন্ত আনারস এবং দুধের মাঝে এমন কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া খুঁজে পাওয়া যায়নি যার ফলে এদেরকে এক সাথে খেলে সেটা মানুষের জীবনহানি করবে। বর্তমানে অনেক খাবারেই দুধ ও আনারস একসাথে মেশানো হয় এবং সারা বিশ্বেই তা খাওয়া হয়। কোন গ্যাস্ট্রিকের রোগী যদি খালিপেটে আনারসের সাথে দুধ খায় তাহলে তাঁর পেটে প্রচন্ড ব্যথার “ফুড ট্যাবু” এর উদ্ভব হতে পারে।
  • রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে থাকে। তাই যাদের আনারস খেলে এ সকল সমস্যায় ভুগেন তারা অবশ্যই আনারস থেকে দূরে থাকবেন।
  • আনারসে আছে ব্রমিলেইন যা দিয়ে ওষুধ বানানো হয়ে থাকে এবং কোন রোগীর প্রয়োজন পরলে তাকে তা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি কোন কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিকনভালসেন্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
  • অনেকেই কাঁচা আনারস ব্যবহার করে থাকেন জুস বানানোর জন্য কিন্তু এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খুব বিষাক্ত। এবং মাঝে মাঝে কাঁচা আনারস খাওয়ার কারণে বমির প্রবণতা দেখা দেয়।
  • কাঁচা আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে এসিডিটি যা আমদের মুখের ভিতর ও গলায় শ্লেষ্মা তৈরি করে। এবং ফলটি খাওয়ার পর মাঝে মাঝে অনেকের পেটে ব্যথাও হতে পারে।

পুষ্টিসাধন সহ দেহকে সুস্থ রাখতে আনারস একটি অতুলনীয় ও কার্যকরী ফল। এটি দামেও সস্তা এবং সহজলভ্য। এছাড়া এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোন একটি ফল থাকলে মন্দ হয়না। তাই চাইলেই প্রতিদিনের খাবারে আনারস রাখা যেতেই পারে।

আরএম/ ২৩ জুন, ২০২১

Read More

বেলের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

বেলের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

গরমে ক্লান্তির পর চাই এমন কিছু, যা ঝটপট শরীর ঠান্ডা করতে পারে। এক গ্লাস ঠান্ডা বেলের পানা সারা দিনের ক্লান্তি মুছে শরীরকে চাঙা করে তুলতে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। একই সঙ্গে অবসাদ ঘুচিয়ে দিতেও কিন্তু বেশ কার্যকর। বাজারে এখন বেল পাবেন। রোদ থেকে এসে তৃষ্ণা মেটাতে শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। শরীরের জল কমে গেলে বেলের শরবতের তুলনা হয় না। পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এটি অনন্য।

দেহে বিটা ক্যারোটিন, প্রোটিন, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং বি 2, থায়ামিন, নিয়াসিন, ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফাইবার জাতীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। এই শরবত পান করলে বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি আলগা গতি নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে রক্ত বাড়ায়। বেল একটি অতি উপকরি ফল শরীরের জন্য। চলুন জেনে নেই বেলের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ –

বেলের পুষ্টি ও ঔষধি গুণঃ

  • কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে
  • বেল পেট পরিস্কার করে।
  • আলসার উপশমে খুবই কার্যকরী।
  • আর্থ্রারাইটিস কমাতে দারুন কার্যকরি বেল।
  • এনার্জি বাড়াতে বেলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ব্লাড প্রেসার কমায় বেল।
  • ক্যান্সারেও খুব উপকারি বেল।
  • কাঁচা বেল ডায়েরিয়ার জন্য একটি অব্যর্থ ওষুধ।
  • পাকা বেলে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান, যা যক্ষ্মা কমাতে সাহায্য করে।
  • দাঁতের স্কার্ভি কমায়।
  • ত্বক ভাল রাখে।
  • বেল রক্ত শুদ্ধ করতে খুব ভালো কাজ দেয়।
  • লিভারের শক্তি বাড়ায় ও লিভার ভালো।
  • কিডনি ভালো রাখতে বেলের গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রয়েছে।
  • ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে।

বেলের পুষ্টিগুণ:

বেলের পুষ্টিগুণ অন্যান্য ফলের চেয়ে অত্যন্ত বেশি। কাঁচা কিংবা পাকা দুইভাবেই বেল খাওয়া যায়। বেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মত মূল্যবান পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের শাঁসে পানির পরিমাণ ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮-২.৬২ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ০.২-০.৩৯ গ্রাম, শর্করা ২৮.১১- ৩১.৮ গ্রাম, ক্যারোটিন ৫৫ মিলি গ্রাম, থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেবীন ১.১৯ মিলিগ্রাম, এসকরবিক এসিড ৮-৬০ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম ও টারটারিক এসিড ২.১১ মিলিগ্রাম।

আরএম/ ২১ জুন, ২০২১

Read More

ডালিম বা বেদানার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

ডালিম বা বেদানার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

 

ছোট বড় সকলের অনেক প্রিয় এই ফল ডালিম। একদিকে এর আকর্ষণীয় রং ও স্বাদসহ অবর্ণনীয় পুষ্টি উপাদান ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ডালিম ক্ষিদে বাড়নো, শরীর স্নিগ্ধ করা, মেদ ও বল বৃদ্ধি করা সহ রুচি বৃদ্ধি, অরুচি দূর, শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বাত ব্যধি দূরসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য গুনাগুণ। ডালিমের বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুণ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ডালিম বা বেদানার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী গুনাগুণ। তবে কিছুটা দামি হওয়ার কারণে অনেকেই ডালিম খেতে চান না। নিয়মিত ডালিম খেলে তা দেহের বহু উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক ডালিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। ডালিম বা বেদানার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী গুনাগুণ। তবে কিছুটা দামি হওয়ার কারণে অনেকেই ডালিম খেতে চান না। নিয়মিত ডালিম খেলে তা দেহের বহু উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক ডালিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

 ডালিম বা বেদানার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ:

  • হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।
  • দেহের ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
  • রক্তশূন্যতা দূর করে।
  • হাড় ভালো রাখে।
  • সর্দি-কাশি দূর করে।
  • দাঁতের যত্নে উপকারি।
  • রক্তে শর্করার পরিমানের ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • ডালিম বা বেদানার রস ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকারি খাদ্য।
  • বয়সের ছাপ কমায়।
  • রক্তের তারল্য ঠিক রাখে।
  • রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায়।
  • আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে।
  • স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
  • হজমে সহায়তা তরে।
  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি।
  • প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে কাজ করে।
  • ডালিম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

ডালিমের পুষ্টিমানঃ

ডালিম মজাদার ও পুষ্টিকর একটি ফল। ফলটির প্রচুর পুষ্টিগুণরয়েছে । এক কাপ ডালিম দানায় রয়েছে আপনার দৈনন্দিন চাহিদর ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি, ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে, ১৬ শতাংশ ভিটামিন বি৯ ও ১২ শতাংশ পটাশিয়াম। এতে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস  রয়েছে যা কমলা, আপেল ও আমের চেয়ে চারগুণ, আতা ও আঙ্গুরের চেয়ে দ্বিগুণ, বরই ও আনারসের চেয়ে প্রায় সাতগুণ বেশি। এর প্রতি ১০০ গ্রাম ডালিমে ৭৮ ভাগ পানি, ১.৫ ভাগ আমিষ, ০.১ ভাগ স্নেহ, ৫.১ ভাগ আঁশ, ১৪.৫ ভাগ শর্করা, ০.৭ ভাগ খনিজ, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১৪ মিলিগ্রাম অক্সালিক এসিড, ৭০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ০.৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ইত্যাদি থাকে।

মেডিকেলবিডি/আরএম/ ১১ জুন, ২০২১

Read More

জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

জাম্বুরা এক প্রকার লেবু জাতীয় টক-মিষ্টি ফল। বিভিন্ন ভাষায় এটি পমেলো, জাবং, শ্যাডক ইত্যাদি নামে পরিচিত। কাঁচা ফলের বাইরের দিকটা সবুজ এবং পাকলে হালকা সবুজ বা হলুদ রঙের হয়। এর ভেতরের কোয়াগুলো সাদা বা গোলাপী রঙের। এর খোসা বেশ পুরু এবং খোসার ভিতর দিকটা ফোম এর মত নরম । লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়। যা ১৫-২৫ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট হয়ে থাকে।  এর ওজন ১-২ কেজি হয়।

ভিটামিন ‘সি’-সমৃদ্ধ দেশি ফল জাম্বুরা। জাম্বুরা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের একটি অত্যন্ত পরিচিত ফল। অঞ্চলভেদে এটিকে অনেক জায়গায় বাতাবি লেবুও বলা হয়ে থাকে। তবে জাম্বুরা বা বাতাবি লেবু—যাই বলি না কেন ফলটি খুবই ভিটামিনসমৃদ্ধ একটি ফল। জাম্বুরা বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। কোনো জাতের ভেতর লাল টকটকে। কোনোটির ভেতর আবার সাদা। কোনোটির স্বাদ মিষ্টি আবার কোনোটির স্বাদ টক হয়। বাংলাদেশে মৌসুমি ফল হিসেবে এর যথেষ্ট সমাদর রয়েছে। বিশেষত ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় জাম্বুরাতে। জাম্বুরা আমাদের দেশ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন ভারত, চীন, জাপান, ফিজি, এমনকি আমেরিকাতেও উত্পন্ন হয়। স্থানভেদে বাতাবি লেবুর রসালো কোষগুলো হলুদ, লাল ও গোলাপি হয়ে থাকে। বাতাবি লেবুর খাদ্য উপাদান যাদের গ্যাসিডিটি বা গ্যাস আছে তাদের জন্য বেশ উপকারী। তাছাড়াও বাতাবি লেবুতে আছে বায়োফ্লভনয়েড যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষা করে। আর এতে বিদ্যমান ভিটামিন সি রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, মুখের ভেতরের ঘা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া বাতাবি লেবুর ভিটামিন কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণ করে, সেইসঙ্গে বিভিন্ন হৃদরোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে বাতাবি লেবু। মানবশরীরের অন্যতম একটি নিয়ামক হলো রক্ত। এই রক্ত পরিষ্কারে যথেষ্ট সাহায্য করে বাতাবি লেবু। চলুন জেনে নেওয়া যাক জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ ঃ

জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ ঃ

  • জাম্বুরা ঠান্ডা, সর্দি-জ্বর জনিত সমস্যার জন্য খেলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় ।
  • জাম্বুরা আন্ত্রিক, অগ্ন্যাশয় ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
  • ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
  • এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • জাম্বুরা রক্তনালীর সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • এছাড়া কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
  • বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে জাম্বুরা।
  • নিয়মিত জাম্বুরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও পেটের নানা রকম হজমজনিত সমস্যার প্রতিকার হয়।
  • রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে।
  • মজবুত হাড় করে।
  • দৃষ্টি শক্তির জন্যে উপকারী।
  • মাড়ির রোগ সাড়ায়।
  • কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে।
  • এসিডিটি রোধে জাম্বুরা।
  • রক্ত পরিষ্কার রাখে।
  • বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
  • রুচি বাড়ায়।
  • ত্বক ভালো রাখে।

জাম্বুরার পুষ্টিমান:

জাম্বুরা একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। এর পুষ্টিমান অনেক উন্নত। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য জাম্বুরায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ৩৮ কিলোক্যালরি। প্রোটিন ০.৫ গ্রাম। স্নেহ ০.৩ গ্রাম। শর্করা ৮.৫ গ্রাম। খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম। থায়ামিন ০.০৩৪ মিলি গ্রাম। খনিজ লবণ ০.২০ গ্রাম। রিবোফ্লেভিন ০.০২৭ মিলি গ্রাম। নিয়াসিন ০.২২ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি২ ০.০৪ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি৬ ০.০৩৬ মিলি গ্রাম। ভিটামিন সি ১০৫ মিলি গ্রাম। ক্যারোটিন ১২০ মাইক্রো গ্রাম। আয়রন ০.২ মিলি গ্রাম। ক্যালসিয়াম ৩৭ মিলি গ্রাম। ম্যাগনেসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম। ম্যাংগানিজ ০.০১৭ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ১৭ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ২১৬ মিলিগ্রাম। সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম।

আরএম/ ৯ জুন, ২০২১

Read More

আমড়ার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

আমড়ার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

আমড়ার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

আমড়ার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

পুষ্টিতে ভরপুর আমড়া একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় দেশীয় ফল। আমড়াতে রয়েছে আপেলের চাইতে  বেশী প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এছাড়া আমাদের দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভিটামিন সি রয়েছে । আমড়ার উপকারিতা ও গুণাগুণ আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমড়া আমাদের সকলের নিকট প্রিয় একটি ফল। আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য পরিমাণে প্রোটিন, পেকটিন জাতীয় ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আসুন জেনে নেই আমড়ার উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে-

আমড়ার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ:

  • বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
  • ঠাণ্ডা, কাশি ও কফ দূর করে।
  • রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে
  • স্ট্রোক ও হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে
  • শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে।
  • ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখতে আমড়া বেশ সাহায্য করে।
  • যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য আমড়া খুবই উপকারী।
  • রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
  • আমড়া খেলে অরুচিভাব দূর হয়।
  • মুখে রুচি ফিরে আসে, ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।
  • ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ
  • স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
  • হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর টক-মিষ্টি স্বাদের জনপ্রিয় দেশি ফল আমড়া। কাঁচা আমড়া কাঁচা তো খাওয়া যায়-ই, আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। পাকা আমড়াও আচার, মোরব্বা, সালাদ, চাটনি তৈরিতে ব্যবহার হয়। মুখরোচক ফল হিসেবে একটি আমড়ায় প্রায় তিনটি আপেলের সমান পুষ্টি থাকে। বর্তমানে বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। রোগ প্রতিরোধে দামে সস্তা দেশি ফল আমড়ার জুড়ি নেই। আমড়া ভিটামিন ‘সি’-এর ভালো উৎস। ভিটামিন ‘সি’ একটি অত্যাবশ্যকীয় ও প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত আমড়া খেলে বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।

আমড়ার পুষ্টিগুণ:   

১০০ গ্রাম আমড়া খেলে তা থেকে ১ দশমিক ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৫ গ্রাম শ্বেতসার, শূন্য দশমিক ১০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় পদার্থ এবং ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ভিটামিনের মধ্যে ০.২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৪ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও রয়েছে ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ৩.৯ মিলিগ্রাম লৌহ। আমড়ার খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালোরি। খনিজ পদার্থ বা মিনারেলসের পরিমাণ ০.৬ গ্রাম।

মেডিকেলবিডি/আরএম/ ৭ জুন, ২০২১

Read More

Image Post Format

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit, sed diam nonummy nibh euismod tincidunt ut laoreet dolore magna aliquam erat volutpat. Ut wisi enim ad minim veniam, quis nostrud exerci tation ullamcorper suscipit lobortis nisl ut aliquip ex ea commodo consequat.

Read More