Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts in Category: Health Basics

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডিপিআরসি দিচ্ছে সকল প্যাথলজি টেস্ট এ ৩০% ছাড়

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াই যেদিন শুরু হয়েছিল, আজ সেই স্মৃতিময় ২৬ মার্চ। আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডিপিআরসি দিচ্ছে সকল প্যাথলজি টেস্ট এ ৩০% ছাড়

সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
+8801997702001, +8801997702002 , 09666774411

আমাদের এর ঠিকানাঃ
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

Read More

ডায়াবেটিস জনিত মাংসপেশীর অসাড়তা নিউরোপ্যাথি কি ?

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হলো একটি স্নায়ুবিক রোগ যা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগের জটিলতা হিসাবে দেখা যায়। প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীরা এই সমস্যায় ভুগে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করে।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমনঃ

  • পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।
  • অটোনমাস নিউরোপ্যাথি।
  • ফোকাল নিউরোপ্যাথি।
  • প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি।
  • লক্ষণঃ

    1. পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: এটি সাধারণত হাত ও পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং অসাড়তা বা অবশ ভাব, ঝিনঝিন ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
    2. অটোনমাস নিউরোপ্যাথি: এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমনঃ হৃদপিন্ড, রক্তনালী, মূত্রাশয় এবং অন্ত্র। লক্ষণগুলির মধ্যে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, হজমে সমস্যা এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতার পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত ঘাম, যৌন সমস্যা, রুচি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।
    3. ফোকাল নিউরোপ্যাথি: এটি শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় যেমনঃ মুখ, হাত বা পায়ের স্নায়ুর একটি গ্রুপকে প্রভাবিত করে। লক্ষণগুলির মধ্যে আক্রান্ত স্থানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা বা দুর্বলতা, বুকে ব্যথা, মুখের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, হাতে শক্তি কম অনুভব করা, দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    4. প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি: প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথিতে পা, নিতম্ব বা উরুর স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং ব্যথা, দুর্বলতা এবং পেশীর ভারসাম্যতা হ্রাস করে। এছাড়াও বুকে বা পেটে ব্যথা হতে পারে।

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকির কারণঃ

    1. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
    2. উচ্চ রক্তচাপ
    3. উচ্চ কোলেস্টেরল
    4. ধুমপান
    5. অতিরিক্ত ওজন
    6. কিডনি ডিজিজ

    প্রতিরোধঃ

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হল জীবনধারা পরিবর্তন।

    1. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা- রক্তে শর্করার মাত্রা যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখতে পারলে স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    2. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করতে হবে।
    3. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস- চর্বি এবং কোলেস্টেরল কম এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
    4. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম- নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
    5. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে- ধুমপান ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধুমপান ছেড়ে দিলে অনেকাংশেই এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

    চিকিৎসাঃ

    রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকরী সে ক্ষেত্রে এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা প্রটোকল প্রয়োগ করতে হবে। এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিনস চিকিৎসকের পরামর্শে নেয়া যেতে পারে।

    সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
    +8801997702001, +8801997702002 , 09666774411

    আমাদের এর ঠিকানাঃ
    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    Read More

    হাইপোগ্লাইসিমিয়া: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সর্তকতা এবং লক্ষণসমূহ

    Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
    বাত ব্যথা প্যারালাইসিস রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সর্তকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো হাইপোগ্লাইসিমিয়া

    হাইপোগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণগুলি হলো:

    1. কাঁপুনি দেওয়া (Shaking or Trembling)
    2. বুক ধরফর বেড়ে যাওয়া (Faster Heart Rate)
    3. অতিরিক্ত ক্ষুদা লাগা (Extreme Hunger)
    4. ঘামতে থাকা (Sweating)
    5. বিভ্রান্তি বা মনোযোগে অসুবিধা (Confusion/Difficulty Concentrating)
    6. মাথা ঘোরানো (Dizziness)

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে তা সামগ্রিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

     

    যোগাযোগের ঠিকানা

    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি, 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    ফোনঃ +8801997702001, +8801997702002, 09666774411

    Read More

    🌙 বাত ব্যথা এবং প্যারালাইসিসের জন্য ফিজিও বিশেষজ্ঞের পরামর্শের প্রয়োজন?

    ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান, একজন বাত ব্যথা প্যারালাইসিসরিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ , আপনার সেবায় প্রয়োজনীয় সহায়তা ও চিকিৎসার উপকারিতা নিশ্চিত করতে সত্বর সময়ে উপস্থিত। প্রয়োজনে অতিসত্তর সেবা এবং পরামর্শের জন্য তার হটলাইনে যোগাযোগ করুন: 09666774411

    🕌 পবিত্র রমজানে রোগী দেখার সময়:

    • সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা
    • সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯ টা
    • শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা

    🏥 **চেম্বারঃ**
    ডিপিআরসি
    ১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা—১২০৭
    (শ্যামলী ক্লাব মাঠের উল্টো দিকে)

    📞 **যোগাযোগঃ**
    – ফোন: 09666774411,
    – মোবাইল: 01997702001, 01997702002

    “আপনাদের সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা আমাদের মূল লক্ষ্য”।

    আপনার চিকিৎসা সম্পর্কে আপডেট এবং অন্যান্য প্রশ্নের জন্য নিচে মন্তব্য করুন অথবা আমাদের কল করুন। ধন্যবাদ। 🌟

    Read More

    মহান ভাষার মাস উপলক্ষে ২২ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২৯ এ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ডাক্তার দেখানো সম্পূর্ণ ফ্রী এবং প্যাথলজি টেষ্টে ৫০% ছাড়

    মহান ভাষার মাস উপলক্ষে ২২ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ২৯ এ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ডাক্তার দেখানো সম্পূর্ণ ফ্রী এবং প্যাথলজি টেষ্টে ৫০% ছাড়

    ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
    বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
    সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

    ✺সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
    +8801997702001, +8801997702002 , 09666774411
    ¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯
    ✺আমাদের এর ঠিকানাঃ-
    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli, Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    Read More

    বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও পরামর্শ প্রদান (Free Diabetes Test)

    ১৪ই নভেম্বর ২০২২, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডিপিআরসি হাসপাতাল ও মার্কস্ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হবে ”বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও পরামর্শ প্রদান” কেম্পেইন।
    স্থানঃ ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব লিঃ
    ১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা – ১২০৭
    Read More

    মধুর উপকারিতা

    মধুর উপকারিতা
    ✅ রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়।
    ✅ শক্তি প্রদায়ী।
    ✅ হজমে সহায়তা করে।
    ✅ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
    ✅ রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।
    ✅ ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে কাজ করে।
    ✅ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
    ✅ চর্বি কমায়।
    ✅ গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।
    ✅ তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
    ✅ হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে।
    ✅ অনিদ্রার ভালো ওষুধ।
    ✅ যৌন দুর্বলতায় উপকার পাবেন।
    ✅ মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে।
    ✅ পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে।
    ✅ শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে।
    ✅ দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
    ✅ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
    ✅ আমাশয় ও পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে।
    ✅ হাঁপানি রোধে কাজ করে।
    ✅ উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
    ✅ রক্ত পরিষ্কার করে।
    ✅ রক্ত উৎপাদনে সহায়তা।
    ✅ হৃদ্রোগে উপকারি।
    Read More

    আনারসের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

    আনারসের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

    এক প্রকারের গুচ্ছফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব অপরিহার্য উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতেও আনারসের জুড়ি নেই। আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

    আনারসের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ:

    • ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধ করে থাকে।
    • ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
    • হাড়ের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধ
    • ক্রিমিনাশক হিসেবে
    • ক্যান্সার প্রতিরোধী:
    • পুষ্টির অভাব দূর করে
    • দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায় কাজ করে।
    • রক্ত জমাটে বাধা দেয়
    • পুষ্টির অভাব দূর
    • ভাইরাসজনিত রোগ থেকে বাঁচায়
    • হজমশক্তি বাড়ায়
    • চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়
    • সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
    • ওজন কমায়
    • ক্যানসার এবং হৃদরোগের উপকার করে
    • হাড়ের গঠন এবং হাড়কে করে তোলে মজবুত।

    আনারসের পুষ্টিমান:

    প্রতি ১০০ গ্রামে আনারসে পাওয়া যায় ৫০ কিলোক্যালরি শক্তি। এতে ভিটামিন-এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, ০.১২ গ্রাম সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১৩.১২ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মি. গ্রাম ভিটামিন-২, ভিটামিন- সি ৪৭.৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০২ গ্রাম, আঁশ ১.৪ গ্রাম এবং ১.২ মিলি গ্রাম লৌহ রয়েছে।

    আনারসের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:

    • আনারসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা থাকলেও এটি সবার জন্য ঠিক স্যুট করে না। অনেকেরই আনারস এলার্জির সমস্যা যেমন বিভিন্ন ধরনের চুলকানি, ফুস্কুরি ইত্যাদি হতে পারে।
    • আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।
    • আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে অ্যালার্জী দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হল ঠোঁট ফুলে যাওয়া ও গলায় সুরসুরি বোধ হওয়া।তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকেনা।
    • আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকলে নারীদের আনারস খেতে বারণ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
    • আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু দেহের ক্ষতি, এটি খাওয়ার উপর নির্ভর করে। এবং আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।

    • আনারস একটি এসিডিক ফল। তাই খালি পেটে ফলটি খেলে পেটে প্রচন্ড ব্যথার তৈরী হতে পারে। আনারস আর দুধ এক সাথে খাওয়া যায় না, এটি একটি কুসংষ্কার। এখন পর্যন্ত আনারস এবং দুধের মাঝে এমন কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া খুঁজে পাওয়া যায়নি যার ফলে এদেরকে এক সাথে খেলে সেটা মানুষের জীবনহানি করবে। বর্তমানে অনেক খাবারেই দুধ ও আনারস একসাথে মেশানো হয় এবং সারা বিশ্বেই তা খাওয়া হয়। কোন গ্যাস্ট্রিকের রোগী যদি খালিপেটে আনারসের সাথে দুধ খায় তাহলে তাঁর পেটে প্রচন্ড ব্যথার “ফুড ট্যাবু” এর উদ্ভব হতে পারে।
    • রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে থাকে। তাই যাদের আনারস খেলে এ সকল সমস্যায় ভুগেন তারা অবশ্যই আনারস থেকে দূরে থাকবেন।
    • আনারসে আছে ব্রমিলেইন যা দিয়ে ওষুধ বানানো হয়ে থাকে এবং কোন রোগীর প্রয়োজন পরলে তাকে তা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি কোন কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিকনভালসেন্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
    • অনেকেই কাঁচা আনারস ব্যবহার করে থাকেন জুস বানানোর জন্য কিন্তু এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খুব বিষাক্ত। এবং মাঝে মাঝে কাঁচা আনারস খাওয়ার কারণে বমির প্রবণতা দেখা দেয়।
    • কাঁচা আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে এসিডিটি যা আমদের মুখের ভিতর ও গলায় শ্লেষ্মা তৈরি করে। এবং ফলটি খাওয়ার পর মাঝে মাঝে অনেকের পেটে ব্যথাও হতে পারে।

    পুষ্টিসাধন সহ দেহকে সুস্থ রাখতে আনারস একটি অতুলনীয় ও কার্যকরী ফল। এটি দামেও সস্তা এবং সহজলভ্য। এছাড়া এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোন একটি ফল থাকলে মন্দ হয়না। তাই চাইলেই প্রতিদিনের খাবারে আনারস রাখা যেতেই পারে।

    আরএম/ ২৩ জুন, ২০২১

    Read More