Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts in Category: heath Tips

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস প্রতি বছর ১০ই অক্টোবর পালিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানসিক সুস্থতার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রথমবারের মতো ১৯৯২ সালে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশনের (WFMH) উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। সেই থেকে দিনটি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বৈশ্বিক সচেতনতা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য: কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য

২০২৪ সালের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়টি হলো “কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য”। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলো এ বছর কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশের সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। একটি নিরাপদ ও সহায়ক কর্মপরিবেশ মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত কার্যকরী। অপরদিকে, কর্মক্ষেত্রে কুসংস্কার, বৈষম্য, হয়রানি, এবং খারাপ পরিবেশ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।

এ ধরনের চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের জীবনমান, কর্মদক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা
আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন মানসিক সমস্যা হলেই তা দুর্বলতার লক্ষণ, যা একেবারেই সঠিক নয়। মানসিক সমস্যা যে কোনো বয়সের বা অবস্থার মানুষের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। এই ভুল ধারণাগুলো দূর করতে সমাজে সচেতনতা বাড়ানো এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটানো অত্যাবশ্যক।

মানসিক সুস্থতার জন্য করণীয়
১. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখুন: নিয়মিত ধ্যান এবং যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক।
২. সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিন: মানসিক সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। পেশাদার সহায়তা নিলে অনেক মানসিক সমস্যা সঠিকভাবে সমাধান করা সম্ভব।
৩. সামাজিক সংযোগ বাড়ান: পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো, সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা মানসিক সুস্থতার জন্য সহায়ক।
৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: শারীরিক ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য আজই পরামর্শ নিন এবং সঠিক জীবনযাপন শুরু করুন!

ডিপিআরসি হাসপাতাল লিঃ
নিয়মিত রোগী দেখছেন
ডা. এম এম জালাল উদ্দিন
MBBS, FCPS (Psychiatrist)
সহকারী অধ্যাপক (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ)
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, ঢাকা।

বিশেষজ্ঞ:
মানসিক সমস্যা, মাদকাসক্তি, মাথাব্যথা, মৃগীরোগ, এবং ব্রেইন রোগ।

আজই চলে আসুন!

সিরিয়াল: 09666774411
ঠিকানা: ১২/১ রিং রোড, (শ্যামলী সমবায় বাজারের বিপরীত পাশে), শ্যামলী, ঢাকা।

Read More

আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা: ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্নে

মানুষ স্থূলতা কমাতে কঠোর পরিশ্রম করে, তবুও তাদের ওজন কমে না। তবে আম খেলে স্থূলতা কমানো যায় সহজেই।

আমের খাদ্যগুণাগুণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা অনেক। অনেক ডায়েটিশিয়ানও আমকে ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমের গুঁড়িতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার এবং চর্বি শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খুবই সহায়ক।

আমের উপকারিতা:

  1. ওজন কমাতে সহায়ক: আমের রহস্য লুকিয়ে আছে এর গুঁড়িতে। আমের কার্নেলে দ্রবণীয় ফাইবার এবং চর্বি থাকে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সহায়ক। আম খেলে ক্ষুধা কমে যায় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন হয়। আমে লেপটিন নামক রাসায়নিক থাকে যা ক্ষুধা কমায়।
  2. কম কোলেস্টেরল: কম কোলেস্টেরল আমে পাওয়া যায়। এতে পাওয়া এডিপোনেক্টিন কোলেস্টেরল কমায় এবং ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে অতিরিক্ত চর্বি আপনা-আপনি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
  3. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  4. হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে: কাঁচা আম খেলে আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
  5. ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: কাঁচা আম আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় বলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক নরম, কোমল ও দাগমুক্ত হয়।
  6. শরীরে পানির অভাব পূরণ করে: আম খেলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পূরণ হয়। শরীর পানিশূন্য হয় না এবং এই গ্রীষ্মের মৌসুমে আমাদের শরীর সানস্ট্রোকের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়। কাঁচা আমের জমে থাকা শরীরেও শীতলতা নিয়ে আসে।
  7. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক: আমের খাবার আমাদের চোখের জন্যও সবচেয়ে ভালো। আমে অতিরিক্ত ভিটামিন এ খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং চোখের সমস্যা দূর করতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ

আমড়ার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

আমলকীর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

 

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক , আইআইএইসএস ও কনসালটেন্ট ,ডিপিআরসি
ফোনঃ 09666774411

Read More

শরীরের জন্য অপরিহার্য খনিজ ও ভিটামিন | স্বাস্থ্য টিপস | ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান

শরীরের জন্য অপরিহার্য খনিজ ও ভিটামিন

ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হল অপরিহার্য চর্বি যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা-৩ শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে এটি ভালো কার্যকরী। ওমেগা-৩ ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ কমায় এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যের জন্য ওমেগা-৩ এর উপকারিতা

  • প্রদাহ কমায়
  • রক্তচাপ কমায়
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

ম্যাগনেসিয়াম

ম্যাগনেসিয়াম একটি খনিজ যা বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মাংসপেশী এবং স্নায়ু ফাংশনের জন্য অপরিহার্য এবং শরীরের ৩০০ টিরও বেশি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সাথে জড়িত। ম্যাগনেসিয়াম মাসল ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। মানসিক স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম। যাদের ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি, মাইগ্রেন বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা আছে তাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যাগনেসিয়াম গ্রহন করা।

ম্যাগনেসিয়ামের কার্যকারিতা ও উপকারিতা

  • মাংসপেশী এবং স্নায়ু কার্যক্রমে সহায়তা
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
  • হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত
  • মানসিক স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ

জিঙ্ক

জিঙ্ক আমাদের স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। এটি ক্ষত নিরাময়ে, ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং কোষ বিভাজনে ভূমিকা পালন করে। জিঙ্ক সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমের ক্ষমতাকে বাড়াতে পারে। এটি আমাদের ত্বক সুস্থ রাখে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। জিঙ্কের ঘাটতি, হজমের ব্যাধি বা দুর্বল ইমিউন সিস্টেম আছে এমন ব্যক্তিদের জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত।

জিঙ্কের ভূমিকা ও উপকারিতা

  • ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি
  • ক্ষত নিরাময়
  • ডিএনএ সংশ্লেষণ
  • ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত

ভিটামিন বি-১২

ভিটামিন বি-১২ একটি ভিটামিন যা স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্নায়বিক সমস্যা প্রতিরোধের জন্য এটি অপরিহার্য। বি-১২ এর ঘাটতিতে রক্তসল্পতা, ক্লান্তি এবং বুদ্ধি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

ভিটামিন বি-১২ এর উপকারিতা ও ঘাটতির সমস্যা

  • স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত
  • লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন
  • রক্তসল্পতা প্রতিরোধ
  • ক্লান্তি ও বুদ্ধি হ্রাস প্রতিরোধ

কোএনজাইম Q10 (CoQ10)

CoQ10 হল একটি যৌগ যা কোষের মধ্যে শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। CoQ10 হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মাইগ্রেন এবং পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও এটি অনেক উপকারী।

কোএনজাইম Q10 এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

  • শক্তি উৎপাদনে সহায়তা
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষা
  • হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত
  • মাইগ্রেন ও পারকিনসন রোগে সহায়তা

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক , আইআইএইসএস ও কনসালটেন্ট ,ডিপিআরসি
ফোনঃ 09666774411

Read More

ছোট ছোট দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস যা আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে

আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে ছোট ছোট অভ্যাস সমুহঃ

হাইড্রেশন: হাইড্রেশন বজায় রাখতে প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করুন।

সুষম ডায়েট: খাবারে ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য যুক্ত করুন।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপ: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম করুন, যেমন হাঁটা।

ঘুমের রুটিন: প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন।

মেডিটেশন: মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন ১০ মিনিটের মেডিটেশন বা ধ্যান বা নীরবতা অনুশীলন করুন।

দেহভঙ্গি: দেহভঙ্গি সঠিক রেখে দৈনন্দিন কাজ করুন, বিশেষ করে যখন ডেস্কে কাজ করেন। প্রতিটি পেশাগত কাজের নিয়ম মানুন।

স্ক্রীন টাইম: ঘুমের মান উন্নত করতে স্ক্রীন টাইম (মোবাইল, ডিভাইস) সীমিত করুন, বিশেষ করে শোবার আগে।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকিং: প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকসের চেয়ে বাদাম বা ফল বেছে নিন।

 

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান

বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ

সহযোগী অধ্যাপক , আইআইএইসএস ও  কনসালটেন্ট ,ডিপিআরসি

ফোনঃ 09666774411

Read More

বাচ্চাদের ব্যথার যত কারণ ও চিকিৎসা

শিশুদের শরীরে ব্যথার নানা কারণে হতে পারে। যেমনঃ

– গ্রোয়িং পেইন

– জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস

– লুপাস (সিস্টেমিক লিউপাস ইরিথেমাটোসাস)

– ভিটামিন-ডি সল্পতা

– লাইম ডিজিজ

– লিউকেমিয়া

– বাত জ্বর

– পার্থেস ডিজিজ

– রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম

– কোভিড-১৯

– জন্মগত ত্রুটি

গ্রোয়িং পেইনঃ বাচ্চারা সারাদিন ছোটাছুটি করে, খেলাধুলা করে। সন্ধ্যায় বা রাতে বিছানায় যাওয়ার পর তারা পায়ে বা শরীরে ব্যথার কমপ্লেইন করে। এই ধরনের ব্যথাকে গ্রোয়িং পেইন বলে। গ্রোয়িং পেইন সাধারণত তিন বছর থেকে শুরু করে বারো বছর পর্যন্ত শিশুদের হতে পারে। এই ব্যথা সব সময় থাকে না। ব্যথা সাধারণত সন্ধ্যা বা রাতের দিকে দেখা যায় এবং সকালের দিকে সেরে যায়। ব্যথা হয় পায়ের থাই, কাফ, হাঁটুর পিছন দিকে। গ্রোয়িং পেইনে সাধারণত কোন ঔষধ বা চিকিৎসার দরকার হয় না৷ ব্যথার মাত্রা অনুযায়ী রাতে ব্যথার স্থানে হালকা গরম সেঁক বা ম্যাসাজ করলে বাচ্চা আরামবোধ করে। প্যারাসিটামল ও ব্যথানাশক ক্রিম বা মলম চিকিৎসকের পরামর্শে দেয়া যেতে পারে।

জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (জিআইএ): এটি শিশুদের বাতরোগ, যেটার কারণে শিশুরা ব্যথার কমপ্লেইন করে। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে বা গিড়াতে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হয়। প্রদাহের লক্ষণ গুলো হচ্ছে: গিড়া ব্যাথা, ফুলে যাওয়া ও নড়া চড়া করতে না পারা। তাছাড়া এই রোগে জয়েন্ট স্টিফনেস হয়, যা কিনা হাঁটলে বা এক পজিশনে দাঁড়িয়ে থাকলে বাড়বে। শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে শিশুদের ক্ষুধামন্দা, জ্বর বা জ্বরভাব, শরীরে র্যাশ দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লুপাস (সিস্টেমিক লিউপাস ইরিথেমাটোসাস): এটি একটি অটোইমিউন রোগ যেটাতে শরীরের একের অধিক জয়েন্টে ব্যথা বা স্টিফনেস থাকবে। অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে বুকে ব্যথা, চুলপড়া, জ্বর চর্মরোগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লাইম ডিজিজঃ এটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই রোগে শিশুদের জয়েন্ট ও মাংশপেশী দুটোতেই ব্যথা থাকবে। সাথে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকে ফুসকুড়ি ও জ্বরও থাকতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লিউকেমিয়াঃ এটি একটি রক্তের রোগ। যা হলে রক্তের শ্বেত রক্তকনিকা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায় এবং রক্তের স্বাভাবিক কাজ গুলো ব্যহত হয়। লিউকেমিয়াতে শিশুদের হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা থাকবে। তাছাড়া অন্যান্য উপসর্গগুলো যেমন: নাক দিয়ে রক্তপাত, শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বাঁধা, দাঁত বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, জ্বর, ক্ষুধামন্দা, ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

বাতজ্বরঃ বাতজ্বরকে ইংরেজিতে বলে রিউমেটিক ফিভার, এটা বাচ্চাদের প্রদাহজনিত রোগ। সাধারণত ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চাদের বাতজ্বর বেশি হয়। বাতজ্বর ব্রেইন, হৃৎপিন্ড, মেরুদন্ড ও ত্বক ইত্যাদি স্থানকে আক্রান্ত করে। এই রোগে হাত ও পায়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, জ্বর, চামড়ায় লাল দাগ, প্রদাহজনিত কাঁপুনি ও খিঁচুনি, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া সহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

পার্থেস ডিজিজঃ পার্থেস ডিজিজ হিপ জয়েন্ট বা ফিমারের মাথায় রক্ত প্রবাহের ব্যাঘাতের ফলে শুরু হয়।সাধারণত ৩-১১ বছর বয়সী বাচ্চারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই রোগে নিতম্ব বা কুঁচকি, হাঁটু, গোড়ালিতে ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও হাঁটাচলা বা মুভমেন্টে সমস্যা হয় এবং আক্রান্ত পা খাটো হয়ে যেতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমঃ এটি একটি স্নায়বিক ব্যাধি। রাতে ঘুমনোর সময়ে পায়ে চুলকানির সাথে সাথে পায়ে হালকা খিঁচুনি, ঝাঁকুনি বা পায়ের ভিতরে কোনও অস্বস্তি অনুভব করাকে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বলা হয়। অনেক বাচ্চারা এই রোগে ভুগে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে শরীরে নির্দিষ্ট ভিটামিনের যথাযথ পরিমাণ থাকা খুবই জরুরি। তাই শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে হবে।

কোভিড-১৯: যেসব শিশুরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলো তাদের কিছু শারীরিক জটিলতা বা ব্যথা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাকে পোস্ট কোভিড সিনড্রম বলা হয়। দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাংসপেশিতে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

জন্মগত ত্রুটিঃ মাতৃগর্ভে থাকাকালীন ভ্রূণের ত্রুটি ও অস্বাভাবিকত্বের কারণে অনেক শিশু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে৷ অধিক আঙুল, কম আঙুল, জোড়া আঙুল, কাঁকড়ার মতো আঙুল, হাত বা পা না থাকা ইত্যাদি অনেক ধরনের জন্মগত ত্রুটি দেখা যায়। এসব ত্রুটির জন্য বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম ব্যথা ও দৈনন্দিন চলাফেরায় সমস্যা হয়। সবচেয়ে বেশি পায়ের পাতার গঠনে সমস্যা দেখা দেয়, ফ্লাটফুট বা পেসকেভাস জাতীয় পাতার বিকৃতি হতে পারে। এতে করে পাতা ব্যথা হয়। হাঁটা-চলাফেরায় কষ্ট হয়। এ জন্য একজন রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রয়োজনে জুতা কারেকশন করা লাগতে পারে।

অন্যান্যঃ ভিটামিন ডি এর অভাব এবং পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শিশুদের হাড় ব্যথা হতে পারে, অনেক সময় শিশুদের পা বেঁকে যেতে পারে (রিকেটস)। সেক্ষেত্রে সকালের রোদটা খুবই উপকারী ভিটামিন ডি এর জন্য। এছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন: ডিম, দুধ, কলিজা, খাসীর পায়া, ঢেঁকিছাটা চাল, দেশী মুরগী, পালং শাক ইত্যাদি খেতে হবে।

আরো পড়ুন:

– পায়ের পাতার তলার গঠন ঠিক না থাকলে, বাচ্চাদের হাটা দেরি হতে পারে।

– গর্ভস্থ বাচ্চার হার্ট-বিট জানতে সিটিজি এর গুরুত্ব।

– বাচ্চাদের কোলে নিয়ে দাঁড়ানোর সময় অবশ্যই চিত্রের সঠিক দেহ ভঙ্গিটি অনুসরণ করুন এবং কোমর ও মেরুদন্ড ব্যাথা মুক্ত থাকুন।

 

ড. মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক , আইআইএইসএস ও কনসালটেন্ট ,ডিপিআরসি

Read More

কিডনি ভালো রাখার কিছু টিপস জেনে নিন.

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

কিডনির সুস্থতা বজায় রাখা আমাদের জন্য অপরিহার্য। কিডনি ভালো রাখার কিছু টিপস জেনে নিনঃ

১. হাইড্রেটেড থাকুনঃ আপনার কিডনিকে বর্জ্য এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। সাধারণত একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

২. সুষম খাদ্যঃ প্রতিদিন সুষম খাবার গ্রহণ করুন যাতে প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন থাকে। সোডিয়ামযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং লাল মাংস অত্যধিক খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন, কারণ এসব কিডনির ক্ষতি করে।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুনঃ উচ্চ রক্তচাপ সময়ের সাথে সাথে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত আপনার রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৪. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করুনঃ আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রক্তে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।

৫. স্বাস্থ্যকর ওজনঃ অতিরিক্ত ওজন কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ আমাদের সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যা কিডনির জন্য ভালো।

৭. ব্যথার ওষুধ সীমিত করুনঃ কিছু ব্যথার ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার, যেমন NSAIDs (নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ), কিডনির ক্ষতি করতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।

৮. অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুনঃ অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন কিডনির জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

৯. ধূমপান ত্যাগ করুনঃ ধূমপান রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং কিডনিতে রক্ত ​​​​প্রবাহ হ্রাস করতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করা আপনার কিডনি সহ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

১০. নিয়মিত চেক-আপ করুনঃ কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের চেক-আপ করুন। এর জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষা এবং প্রস্রাব পরীক্ষা লাগতে পারে৷

১১. মানসিক স্ট্রেস পরিহার করুনঃ দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস কিডনির কার্যকারিতা সহ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। গভীর শ্বাস, মেডিটেশন বা যোগব্যায়ামের মতো মানসিক চাপ-হ্রাস কৌশলগুলি অনুশীলন করুন।

১২. অত্যধিক ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুনঃ যদিও মাঝারি ক্যাফেইন সেবন সাধারণত নিরাপদ, তবে অত্যধিক ক্যাফেইন গ্রহণ কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

১৩. মাল্টিভিটামিন সেবনে সতর্ক থাকুনঃ মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেকক্ষেত্রে এসব সাপ্লিমেন্ট কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

✺সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
+8801997702001, +8801997702002 , 09666774411
¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯
✺আমাদের এর ঠিকানাঃ-
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

Read More

ডায়াবেটিস জনিত মাংসপেশীর অসাড়তা নিউরোপ্যাথি কি ?

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হলো একটি স্নায়ুবিক রোগ যা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগের জটিলতা হিসাবে দেখা যায়। প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীরা এই সমস্যায় ভুগে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করে।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমনঃ

  • পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।
  • অটোনমাস নিউরোপ্যাথি।
  • ফোকাল নিউরোপ্যাথি।
  • প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি।
  • লক্ষণঃ

    1. পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: এটি সাধারণত হাত ও পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং অসাড়তা বা অবশ ভাব, ঝিনঝিন ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
    2. অটোনমাস নিউরোপ্যাথি: এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমনঃ হৃদপিন্ড, রক্তনালী, মূত্রাশয় এবং অন্ত্র। লক্ষণগুলির মধ্যে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, হজমে সমস্যা এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতার পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত ঘাম, যৌন সমস্যা, রুচি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।
    3. ফোকাল নিউরোপ্যাথি: এটি শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় যেমনঃ মুখ, হাত বা পায়ের স্নায়ুর একটি গ্রুপকে প্রভাবিত করে। লক্ষণগুলির মধ্যে আক্রান্ত স্থানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা বা দুর্বলতা, বুকে ব্যথা, মুখের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, হাতে শক্তি কম অনুভব করা, দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    4. প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি: প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথিতে পা, নিতম্ব বা উরুর স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং ব্যথা, দুর্বলতা এবং পেশীর ভারসাম্যতা হ্রাস করে। এছাড়াও বুকে বা পেটে ব্যথা হতে পারে।

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকির কারণঃ

    1. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
    2. উচ্চ রক্তচাপ
    3. উচ্চ কোলেস্টেরল
    4. ধুমপান
    5. অতিরিক্ত ওজন
    6. কিডনি ডিজিজ

    প্রতিরোধঃ

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হল জীবনধারা পরিবর্তন।

    1. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা- রক্তে শর্করার মাত্রা যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখতে পারলে স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    2. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করতে হবে।
    3. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস- চর্বি এবং কোলেস্টেরল কম এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
    4. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম- নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
    5. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে- ধুমপান ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধুমপান ছেড়ে দিলে অনেকাংশেই এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

    চিকিৎসাঃ

    রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকরী সে ক্ষেত্রে এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা প্রটোকল প্রয়োগ করতে হবে। এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিনস চিকিৎসকের পরামর্শে নেয়া যেতে পারে।

    সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
    +8801997702001, +8801997702002 , 09666774411

    আমাদের এর ঠিকানাঃ
    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    Read More

    কোন খাবার আপনার কিডনির জন্য ক্ষতিকর ?

    Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
    বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
    সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

    কিছু খাবার নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন:

    এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো আমাদের কিডনির জন্য খুব ই ক্ষতিকর। আমরা হয়তো সেসব খাবার সম্পর্কে জানি না। কিডনির জন্য ক্ষতিকর

    ১.উচ্চ-সোডিয়াম খাবার:
    অত্যধিক সোডিয়াম গ্রহণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং কিডনির উপরচাপ সৃষ্টি করতে পারে। যেমনঃ প্রক্রিয়াজাত খাবার, টিনজাত স্যুপ এবং লবণাক্ত স্ন্যাকস হল উচ্চ-সোডিয়াম খাবার।

    ২.প্রক্রিয়াজাত খাবার:
    অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবারে অ্যাডিটিভ, প্রিজারভেটিভ এবং উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম থাকে, যা কিডনির কার্যকারিতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

    ৩.লাল মাংস:
    অত্যধিক লাল মাংস খাওয়া, বিশেষ করে সসেজ এবং হট ডগের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস, কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিদ্যমান কিডনি সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ প্রোটিন গ্রহণও উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

    ৪.চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়:
    উচ্চ চিনি খাওয়া, বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয়,কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসে অবদান রাখতে পারে, উভয়ই কিডনি সমস্যার ঝুঁকির কারণ।

    ৫.উচ্চ-পটাসিয়ামযুক্ত খাবার:
    যদিও পটাসিয়াম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কলা,কমলালেবু, আলু এবং টমেটোর মতো উচ্চ-পটাসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া সীমিত করতে হতে পারে।

    ৬.ফসফরাস-সমৃদ্ধ খাবার:
    উচ্চ ফসফরাসযুক্ত খাবার, যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য, বাদাম এবং নির্দিষ্ট গোটা শস্য, উন্নত কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সমস্যা হতে পারে। ফসফরাস গ্রহণের নিরীক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৭.অ্যালকোহল:
    অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং কিডনির উপর চাপ পড়তে পারে। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং লিভারের সমস্যায়ও অবদান রাখতে পারে, যা কিডনির কার্যকারিতাকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে।

    ৮.ক্যাফেইন:
    যদিও মাঝারি ক্যাফিন গ্রহণ সাধারণত বেশিরভাগ লোকের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়, অত্যধিক সেবন ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ নয়।

    ৯.নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ:
    কিছু ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ, নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs), এবং কিছু প্রেসক্রিপশন ওষুধ যদি অত্যধিক বা বর্ধিত সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয় তবে কিডনির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

    সুস্থ থাকতে, নিজেকে ভালো রাখতে কিডনি সুস্থ রাখা দরকার। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এ অংশটি যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতনতা দরকার। আর তাই যতটা সম্ভব উপরের খাবারগুলো কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তার মানে এটা নয় যে, খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেবেন। পরিমিত পরিমাণে এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং ভালো।

    ✺সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
    +8801997702001, +8801997702002 , 09666774411
    ¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯
    ✺আমাদের এর ঠিকানাঃ
    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    Read More

    কিভাবে বুঝবেন আপনার ঘাড়ের হাড় ক্ষয় হয়েছে ?

    Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
    বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
    সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

    -ঘাড়ের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ

    ✺সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
    +8801997702001, +8801997702002 , 09666774411
    ¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯
    ✺আমাদের এর ঠিকানাঃ
    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    Read More

    শরীর গঠন বা বডি বিল্ডিংয়ের জন্য সেরা মাল্টিভিটামিন কি?

    Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
    বাত ব্যথা প্যারালাইসিস রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

    শরীর গঠন বা বডি বিল্ডিংয়ের জন্য সেরা মাল্টিভিটামিন কি?

    শারীরিক চাহিদাঃ বডি বিল্ডিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো মাল্টিভিটামিন নেই। কারণ খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, স্বাস্থ্য, বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক ফিটনেসের উপর ভিত্তি করে মাল্টিভিটামিনের চাহিদা পরিবর্তিত হতে পারে।

    উপযুক্ত ডোজঃ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ যুক্ত মাল্টিভিটামিন একটি নির্দিষ্ট ডোজে সেবন করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত সেবনে শরীরে টক্সিসিটি বা বিষক্রিয়া শুরু হতে পারে।

    অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার পরিহারঃ কিছু বডি বিল্ডিং মাল্টিভিটামিনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু উপাদান মিশ্রিত থাকে যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে এবং অনেকক্ষেত্রে ক্ষতিকারকও হতে পারে।

    খাদ্যাভ্যাসঃ একজন মানুষ যদি স্বাস্থ্যকর ‍খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখেন, নিয়মিত ফল, সবজি, প্রোটিন, পরিপূর্ণ শষ্য ইত্যাদি খান তবে ভোজ্য উৎস থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের যোগান হয়ে যায়। তখন মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হয় না।

    উচ্চ প্রশিক্ষণঃ যে সমস্ত বডিবিল্ডাররা হাই লেভেল প্রশিক্ষণে নিযুক্ত তাদের নির্দিষ্ট পুষ্টির চাহিদা বেশি হয়, যেমনঃ ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ডি, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো কিছু খনিজ। এই বিষয়গুলো পরীক্ষা করে, প্রয়োজনীয়তা বুঝে কোনটা বেছে নিতে হবে সেই সিদ্ধান্তটা চিকিৎসকের কাছ থেকেই নিতে হবে।

    অন্যান্য ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া এড়িয়ে চলুনঃ আপনি যদি অন্য কোন ঔষধ গ্রহণ করেন, তাহলে ভিটামিন এবং খনিজগুলির সাথে সেই ঔষধের কোন মিথ্সক্রিয়া নেই তা নিশ্চিত করা

    চিকিৎসকের পরামর্শঃ একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তিনি আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য চেকাপ করে প্রয়োজনীয় মাল্টিভিটামিন গ্রহনের পরামর্শ দিতে পারবেন।

    বডি বিল্ডিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো মাল্টিভিটামিন হবে এমন যা আপনার প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে। কোন মাল্টিভিটামিন না বুঝে খাওয়া ঠিক নয়। আপনি তো জানেন না, শরীরে কোন ভিটামিন এর অভাব আছে। তাই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণ মাল্টিভিটামিন গ্রহন করা উচিত।

    যোগাযোগের ঠিকানা

    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি, 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    ফোনঃ +8801997702001, +8801997702002, 09666774411

    Read More