Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: ডায়াবেটিস

স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা

স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা – স্ট্রোক কীভাবে হয় এবং এর চিকিৎসা কীভাবে করা হয়

স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা

স্ট্রোক বা ব্রেন অ্যাটাক মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণের কারণে হয়ে থাকে। প্রতিটি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে কাজ করা বন্ধ করতে বা মারা যেতে পারে। যখন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলি মারা যায়, তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা শরীরের অঙ্গগুলির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হারিয়ে যায়। ফলে সেই শরীরের আক্রান্ত অংশের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। একে করে সেই অংশ অবশ হয় এবং নড়াচড়ায় অক্ষম হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

স্ট্রোকের কারণ:

এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

  • স্ট্রোকের সাথে অনেকে হার্ট অ্যাটাক মিলিয়ে ফেলে।
  • মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহের যদি কোন প্রবলেম হয়, তাহলে এমন সমস্যা হতে পারে।
  • মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ কাজ করে থাকে; কোন অংশের কাজ প্রভাবিত হলে সমস্যা হয়।
  • স্ট্রোক হওয়ার কারণে মুখে লালা আসতে পারে, প্রমুখ শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

স্ট্রোক হওয়ার কারণ:

স্ট্রোকের মূল কারণগুলো হল:

  1. হৃদরোগ: উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস।
  2. নেশাজাতীয় দ্রব্যের দীর্ঘদিন ব্যবহার: অ্যালকোহল, ধূমপান, নেশাগ্রস্ত জীবনযাপন।
  3. মানসিক চাপ এবং অবশীল ঘুম না হওয়া।

স্ট্রোকের চিকিৎসা:

স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য দেরি না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে হবে:

  • রক্তচাপ মেইনটেইন করতে হবে।
  • স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ জানা ও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ।

চিকিৎসা শুরু করলে, মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ আবার কাজ করতে পারে এবং পুনর্বাসন চিকিৎসা খুব সহায়ক।

স্ট্রোকের পর পুনর্বাসন চিকিৎসা:

স্ট্রোকের পর রোগীদের ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। রোগীরা কয়েক মাসের মধ্যে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

এছাড়াও, রোগীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের গুরুত্ব রয়েছে।

Read More

ডায়াবেটিস জনিত মাংসপেশীর অসাড়তা নিউরোপ্যাথি কি ?

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হলো একটি স্নায়ুবিক রোগ যা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগের জটিলতা হিসাবে দেখা যায়। প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীরা এই সমস্যায় ভুগে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করে।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমনঃ

  • পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।
  • অটোনমাস নিউরোপ্যাথি।
  • ফোকাল নিউরোপ্যাথি।
  • প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি।
  • লক্ষণঃ

    1. পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: এটি সাধারণত হাত ও পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং অসাড়তা বা অবশ ভাব, ঝিনঝিন ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
    2. অটোনমাস নিউরোপ্যাথি: এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমনঃ হৃদপিন্ড, রক্তনালী, মূত্রাশয় এবং অন্ত্র। লক্ষণগুলির মধ্যে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, হজমে সমস্যা এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতার পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত ঘাম, যৌন সমস্যা, রুচি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।
    3. ফোকাল নিউরোপ্যাথি: এটি শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় যেমনঃ মুখ, হাত বা পায়ের স্নায়ুর একটি গ্রুপকে প্রভাবিত করে। লক্ষণগুলির মধ্যে আক্রান্ত স্থানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা বা দুর্বলতা, বুকে ব্যথা, মুখের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, হাতে শক্তি কম অনুভব করা, দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    4. প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি: প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথিতে পা, নিতম্ব বা উরুর স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং ব্যথা, দুর্বলতা এবং পেশীর ভারসাম্যতা হ্রাস করে। এছাড়াও বুকে বা পেটে ব্যথা হতে পারে।

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকির কারণঃ

    1. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
    2. উচ্চ রক্তচাপ
    3. উচ্চ কোলেস্টেরল
    4. ধুমপান
    5. অতিরিক্ত ওজন
    6. কিডনি ডিজিজ

    প্রতিরোধঃ

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হল জীবনধারা পরিবর্তন।

    1. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা- রক্তে শর্করার মাত্রা যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখতে পারলে স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    2. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করতে হবে।
    3. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস- চর্বি এবং কোলেস্টেরল কম এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
    4. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম- নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
    5. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে- ধুমপান ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধুমপান ছেড়ে দিলে অনেকাংশেই এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

    চিকিৎসাঃ

    রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকরী সে ক্ষেত্রে এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা প্রটোকল প্রয়োগ করতে হবে। এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিনস চিকিৎসকের পরামর্শে নেয়া যেতে পারে।

    সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
    +8801997702001, +8801997702002 , 09666774411

    আমাদের এর ঠিকানাঃ
    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    Read More

    হাইপোগ্লাইসিমিয়া: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সর্তকতা এবং লক্ষণসমূহ

    Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
    বাত ব্যথা প্যারালাইসিস রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সর্তকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো হাইপোগ্লাইসিমিয়া

    হাইপোগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণগুলি হলো:

    1. কাঁপুনি দেওয়া (Shaking or Trembling)
    2. বুক ধরফর বেড়ে যাওয়া (Faster Heart Rate)
    3. অতিরিক্ত ক্ষুদা লাগা (Extreme Hunger)
    4. ঘামতে থাকা (Sweating)
    5. বিভ্রান্তি বা মনোযোগে অসুবিধা (Confusion/Difficulty Concentrating)
    6. মাথা ঘোরানো (Dizziness)

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে তা সামগ্রিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

     

    যোগাযোগের ঠিকানা

    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি, 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    ফোনঃ +8801997702001, +8801997702002, 09666774411

    Read More