Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: প্যারালাইসিস

বাচ্চাদের বাত ব্যাথা ও প্যারালাইসিসের চিকিৎসা – বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং সঠিক প্রতিকার

বাচ্চাদের বাত ব্যাথা ও প্যারালাইসিসের চিকিৎসা

পর্ব: ১২

বাড়ন্ত শিশুদের প্রায়ই হাত–পা ব্যথার অভিযোগ করতে শোনা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের এমন ব্যথা হলে অভিভাবক, এমনকি চিকিৎসকরাও বাতজ্বর বা বাতরোগ হয়েছে ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে এটি হতে পারে গ্রোয়িং পেইন

শিশুদের বিভিন্ন ব্যথাজনিত সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শ্যামলীর
ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
(ডিপিআরসি) এর বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

মাংসপেশি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

বাচ্চাদের মাংসপেশির ব্যথা এখন সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার পরে পা চাবানো বা ব্যথা করে এমন কথা বলে থাকে, যা এখন খুব কমন সমস্যা। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গ্রোথ পেইন বলা হয়।
এই সমস্যা নিয়ে বাবা মার চিন্তার কোনো কারণ নেই। এতে বাসায় কুসুম গরম সেঁকের পাশাপাশি হালকা মেসেজ করা যেতে পারে।

  • কুসুম গরম সেঁক দেওয়া
  • হালকা মেসেজ
  • সুষম খাবার, ডিম, দুধ, ভিটামিন ডি খাওয়ানো

বিশেষজ্ঞের মতে, চিপস, ফাস্টফুড, এবং প্রসেসড খাবার কমাতে হবে। শিশুরা যেন পর্যাপ্ত ঘুমায় এবং পানি পান করে—এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

অন্যান্য শিশুরোগ এবং তাদের প্রতিকার

পার্থস ডিজিজ, জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (জেআইএ), এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবে রিকেটস হতে পারে। এগুলো নিয়ে উদ্বেগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সঠিক থেরাপি এবং ব্যায়াম করান।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং খেলাধুলার অভাবে কোমর ব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হয়। সচেতন অভিভাবকত্বই এ সমস্যার সমাধান।

উৎস:
ডিপিআরসি | ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার

Read More
স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা

স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা – স্ট্রোক কীভাবে হয় এবং এর চিকিৎসা কীভাবে করা হয়

স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা

স্ট্রোক বা ব্রেন অ্যাটাক মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণের কারণে হয়ে থাকে। প্রতিটি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে কাজ করা বন্ধ করতে বা মারা যেতে পারে। যখন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলি মারা যায়, তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা শরীরের অঙ্গগুলির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হারিয়ে যায়। ফলে সেই শরীরের আক্রান্ত অংশের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। একে করে সেই অংশ অবশ হয় এবং নড়াচড়ায় অক্ষম হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

স্ট্রোকের কারণ:

এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

  • স্ট্রোকের সাথে অনেকে হার্ট অ্যাটাক মিলিয়ে ফেলে।
  • মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহের যদি কোন প্রবলেম হয়, তাহলে এমন সমস্যা হতে পারে।
  • মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ কাজ করে থাকে; কোন অংশের কাজ প্রভাবিত হলে সমস্যা হয়।
  • স্ট্রোক হওয়ার কারণে মুখে লালা আসতে পারে, প্রমুখ শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

স্ট্রোক হওয়ার কারণ:

স্ট্রোকের মূল কারণগুলো হল:

  1. হৃদরোগ: উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস।
  2. নেশাজাতীয় দ্রব্যের দীর্ঘদিন ব্যবহার: অ্যালকোহল, ধূমপান, নেশাগ্রস্ত জীবনযাপন।
  3. মানসিক চাপ এবং অবশীল ঘুম না হওয়া।

স্ট্রোকের চিকিৎসা:

স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য দেরি না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে হবে:

  • রক্তচাপ মেইনটেইন করতে হবে।
  • স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ জানা ও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ।

চিকিৎসা শুরু করলে, মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ আবার কাজ করতে পারে এবং পুনর্বাসন চিকিৎসা খুব সহায়ক।

স্ট্রোকের পর পুনর্বাসন চিকিৎসা:

স্ট্রোকের পর রোগীদের ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। রোগীরা কয়েক মাসের মধ্যে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

এছাড়াও, রোগীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের গুরুত্ব রয়েছে।

Read More

প্যারালাইসিসের কারণ ও চিকিৎসা: প্যারালাইসিস থেকে মুক্তির উপায়

প্যারালাইসিসের কারণ ও চিকিৎসা

পর্ব: ৬

প্যারালাইসিস এমন শারীরিক অসুখ, যে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহের কোনো অংশ বা সম্পূর্ণ দেহ অবশ হয়ে যায়। ফলে সেই শরীরের আক্রান্ত অংশের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। একে করে সেই অংশ অবশ হয় এবং নড়াচড়ায় অক্ষম হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

প্যারালাইসিস কথাটা শুনলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আসলে যেকোনো সুস্থ মানুষও হঠাৎ প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ বা সারা বিশ্বে প্যারালাইসিসের অন্যতম কারণ আমরা দেখেছি স্ট্রোক। আর এই স্ট্রোক হচ্ছে মস্তিষ্কের একটা রোগ যা থেকে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও যদি কয়েকদিন যাবত কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা বা মাংসপেশির ব্যথা থাকে, কিন্তু যদি সঠিক ট্রিটমেন্ট করা না হয় তাহলে ধীরে ধীরে একদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে।

প্যারালাইজড একসঙ্গে সব হাত-পা হবে এমনটা নয়। যেকোনো একটা হাত, একটা পা বা মুখে হতে পারে। আমরা প্রায় সময়ই বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়া দেখে থাকি।

এছাড়া একটা বাচ্চার জন্মের পরেও প্যারালাইসিস গ্রস্থ বা জন্মগত সমস্যা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে। আবার একজন সুস্থ ৫০ থেকে ৬০ বছরের মানুষও হঠাৎ করে প্যারালাইজড হতে পারে। এটাকেই আমরা বলছি স্ট্রোক।

তাছাড়া বিভিন্ন রোগ যেমন মোটর নিউরন ডিজিজ ও নার্ভের ডিজঅর্ডার অর্থাৎ স্নায়বিক ব্যাধি থেকে হওয়া প্যারালাইসিস কিন্তু একদিন হয় না এটি ধীরে হতে থাকে।

এছাড়া বিভিন্ন ভাইরাল ব্যাকটেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু জ্বর এবং করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা প্রচুর প্যারালাইজড রোগী দেখতে পাচ্ছি।

প্যারালাইসিস হঠাৎ করেও হতে পারে আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য রোগ থেকেও প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে। আবার বিভিন্ন ওষুধের প্রভাব থেকেও প্যারালাইসিস হতে পারে।

প্যারালাইসিস হলে করণীয়

হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়লে যদি কেউ হাত পা নাড়াতে না পাড়ে তাকে একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। তাহলে যদি মুখ থেকে লালা পড়ে সেটা আর তার শ্বাসনালিতে যাবে না। এরপর যদি দেখা যায় এটি মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে রোগী অজ্ঞান থাকে তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

এসব ক্ষেত্রে রোগীদের প্রেসার ডায়াবেটিস অন্যান্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তাই সচেতনতা খুবই জরুরি। প্যারালাইসিস হয়ে গেলে প্রস্রাব-পায়খানা সমস্যা দেখা দিতে পারে সেজন্য ট্রেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর রোগীর হাইজিন মেইনটেন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খাবার-দাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময় এসব রোগীর ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে আবার রিকারেন্ট স্ট্রোক করে। তাই এসব সম্পর্কে আমাদেরকে শিক্ষা এবং জনসচেতনতা দরকার।

প্যারালাইসিস হয়ে গেলে অ্যাডভান্স চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। সেই সচেতনতাটা আমাদের দরকার। আমরা বাসায় রোগীদের ফেলে রাখব না।

আমরা চেষ্টা করব পুনর্বাসন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসা নেওয়ার। এক্ষেত্রে বিভিন্ন আমরা ইলেক্ট্রো দিয়ে থাকি আর সঙ্গে হসপিটালে কিছুদিন রাখতে হয়। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন এক্সারসাইজ দিয়ে থাকি। রিহ্যাবিলিটেশন টিমওয়ার্কে মাধ্যমে প্যারালাইসিস রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে বা সুস্থতার পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

Read More

বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান স্যার-এর সিরিয়াল পেতে

✺ফোন করুনঃ 09666774411, 01716306913
01997702001, 01732200697, 01997702002

✺ ঠিকানাঃ ডিপিআরসি- ১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭ (ক্লাব মাঠের বিপরীত পার্শ্বে)

Read More

কিভাবে বুঝবেন আপনার ঘাড়ের হাড় ক্ষয় হয়েছে ?

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

-ঘাড়ের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ

✺সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
+8801997702001, +8801997702002 , 09666774411
¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯
✺আমাদের এর ঠিকানাঃ
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

Read More

তালশাঁস এর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

তালশাঁস এর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

 

গ্রীষ্মের অন্যতম একটি আরামদায়ক ফল হচ্ছে কাঁচা তাল অর্থাৎ তালের শাঁস। এশিয়ার দেশেগুলোতে গরমে কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। তালের শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতই। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।

তালের বীজও খাওয়া হয় লেপা বা “তালশাঁস” নামে । তাল গাছের কাণ্ড থেকেও রস সংগ্রহ হয় এবং তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি ইত্যাদি তৈরি হয়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সহ আরো অনেক খনিজ উপাদান। এর সাথে আরো আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।

তাল শাঁসের মধ্যে বিদ্যমান উপাদানগুলো আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

তালশাঁস এর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ:

  • ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি রোগ থেকেও রক্ষা করে
  • স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে এবং শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
  • বমি ভাব আর মুখের অরুচিও দূর করে।
  • দাঁতের জন্য অনেক উপকারি। দাঁতের এনামেল ভালো রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
  • তালের শাঁস হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে।
  • রক্তশূন্যতা দূরীকরণে দারুণ ভূমিকা রাখে।
  • তালের শাঁস খেলে লিভারের সমস্যা দূর হয়।
  • খাবারে রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • তালে শাঁস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে।
  • দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন।
  • তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারি।
  • ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এমনকি ক্ষয় হয়ে গেলে তা পূরণ করে।
  • তারুণ্য ধরে রাখে।
  • এতে চিনির পরিমাণ অতি অল্প মাত্রায় থাকে।
  • তালশাঁস ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়।
  • হাড়ের রোগ প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে।

পুষ্টিগুণ:

তালের শাঁসকে নারিকেলের মতোই পুষ্টিকর বলে বিবেচনা করা হয়। মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি; ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম; ৮৭.৬ গ্রাম পানি; ০.৮ গ্রাম আমিষ; ০.১ গ্রাম ফ্যাট; ১০.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস; ১ গ্রাম খাদ্যআঁশ; ২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম; ৩০ মিলিগ্রাম ফসফরাস; ১ মিলিগ্রাম লৌহ; ০.০৪ গ্রাম থায়ামিন; ০.০২ মিলিগ্রাম রিবোফাভিন; ০.৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন এবং ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

১০০ গ্রামের একটি তালের শাঁসের ৯২ দশমিক ৩ শতাংশই থাকে জলীয় অংশ, ক্যালরি থাকে ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম। শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেওয়া এই তালশাঁস কতটা উপকারী, তা জেনে নেওয়া যাক।

আরএম/ ১৬ জুন, ২০২১

Read More

জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

জাম্বুরা এক প্রকার লেবু জাতীয় টক-মিষ্টি ফল। বিভিন্ন ভাষায় এটি পমেলো, জাবং, শ্যাডক ইত্যাদি নামে পরিচিত। কাঁচা ফলের বাইরের দিকটা সবুজ এবং পাকলে হালকা সবুজ বা হলুদ রঙের হয়। এর ভেতরের কোয়াগুলো সাদা বা গোলাপী রঙের। এর খোসা বেশ পুরু এবং খোসার ভিতর দিকটা ফোম এর মত নরম । লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়। যা ১৫-২৫ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট হয়ে থাকে।  এর ওজন ১-২ কেজি হয়।

ভিটামিন ‘সি’-সমৃদ্ধ দেশি ফল জাম্বুরা। জাম্বুরা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের একটি অত্যন্ত পরিচিত ফল। অঞ্চলভেদে এটিকে অনেক জায়গায় বাতাবি লেবুও বলা হয়ে থাকে। তবে জাম্বুরা বা বাতাবি লেবু—যাই বলি না কেন ফলটি খুবই ভিটামিনসমৃদ্ধ একটি ফল। জাম্বুরা বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। কোনো জাতের ভেতর লাল টকটকে। কোনোটির ভেতর আবার সাদা। কোনোটির স্বাদ মিষ্টি আবার কোনোটির স্বাদ টক হয়। বাংলাদেশে মৌসুমি ফল হিসেবে এর যথেষ্ট সমাদর রয়েছে। বিশেষত ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় জাম্বুরাতে। জাম্বুরা আমাদের দেশ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন ভারত, চীন, জাপান, ফিজি, এমনকি আমেরিকাতেও উত্পন্ন হয়। স্থানভেদে বাতাবি লেবুর রসালো কোষগুলো হলুদ, লাল ও গোলাপি হয়ে থাকে। বাতাবি লেবুর খাদ্য উপাদান যাদের গ্যাসিডিটি বা গ্যাস আছে তাদের জন্য বেশ উপকারী। তাছাড়াও বাতাবি লেবুতে আছে বায়োফ্লভনয়েড যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষা করে। আর এতে বিদ্যমান ভিটামিন সি রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, মুখের ভেতরের ঘা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া বাতাবি লেবুর ভিটামিন কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণ করে, সেইসঙ্গে বিভিন্ন হৃদরোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে বাতাবি লেবু। মানবশরীরের অন্যতম একটি নিয়ামক হলো রক্ত। এই রক্ত পরিষ্কারে যথেষ্ট সাহায্য করে বাতাবি লেবু। চলুন জেনে নেওয়া যাক জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ ঃ

জাম্বুরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ ঃ

  • জাম্বুরা ঠান্ডা, সর্দি-জ্বর জনিত সমস্যার জন্য খেলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় ।
  • জাম্বুরা আন্ত্রিক, অগ্ন্যাশয় ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
  • ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
  • এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • জাম্বুরা রক্তনালীর সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • এছাড়া কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
  • বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে জাম্বুরা।
  • নিয়মিত জাম্বুরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও পেটের নানা রকম হজমজনিত সমস্যার প্রতিকার হয়।
  • রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে।
  • মজবুত হাড় করে।
  • দৃষ্টি শক্তির জন্যে উপকারী।
  • মাড়ির রোগ সাড়ায়।
  • কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে।
  • এসিডিটি রোধে জাম্বুরা।
  • রক্ত পরিষ্কার রাখে।
  • বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
  • রুচি বাড়ায়।
  • ত্বক ভালো রাখে।

জাম্বুরার পুষ্টিমান:

জাম্বুরা একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। এর পুষ্টিমান অনেক উন্নত। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য জাম্বুরায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ৩৮ কিলোক্যালরি। প্রোটিন ০.৫ গ্রাম। স্নেহ ০.৩ গ্রাম। শর্করা ৮.৫ গ্রাম। খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম। থায়ামিন ০.০৩৪ মিলি গ্রাম। খনিজ লবণ ০.২০ গ্রাম। রিবোফ্লেভিন ০.০২৭ মিলি গ্রাম। নিয়াসিন ০.২২ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি২ ০.০৪ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি৬ ০.০৩৬ মিলি গ্রাম। ভিটামিন সি ১০৫ মিলি গ্রাম। ক্যারোটিন ১২০ মাইক্রো গ্রাম। আয়রন ০.২ মিলি গ্রাম। ক্যালসিয়াম ৩৭ মিলি গ্রাম। ম্যাগনেসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম। ম্যাংগানিজ ০.০১৭ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ১৭ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ২১৬ মিলিগ্রাম। সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম।

আরএম/ ৯ জুন, ২০২১

Read More

লটকনের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

লটকনের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

ছোট হলেও অবহেলা করার মতো নয়। লটকন একটি পুষ্টিকর ফল। “লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে ২-৩ টি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ হয়। এতে ভিটামিন ও খাদ্যশক্তিসহ নানারকম খনিজ উপাদান রয়েছে। রয়েছে নানা রকম পুষ্টি উপাদান যা শরীরকে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নানান ফলের ভিড়ে লটকনের গুণের কথা অনেকেই জানে না। এটি একটি পুষ্টিকর ফল। দেশি ফল হিসেবে দেখতে ছোট হলেও এর রয়েছে পুষ্টিগুণ সহ অনেক ঔষধিগুণ। ফল হিসেবেই ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। অম্লমধুর ফল লটকন। মাঝারি আকারের চির সবুজ বৃক্ষ। ফল গোলাকার ক্যাপসুল পাকলে হলুদ বর্ণের হয়। ফলের খোসা ছড়ালে ৩/৪ টি বীজ পাওয়া যায়। লটকনের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ নিচে দেওয়া হলো-

লটকনের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ:

  • হাড় গঠনে সহায়তা করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • গরমে তৃষ্ণা মিটায়।
  • খনিজ উপাদানে ভরপুর।
  • কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • ‘গনোরিয়া’ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে লটকনের বীজ।
  • ডায়রিয়া দূর করতে লটকন গাছের পাতার গুঁড়া বেশ কাজে দেয়।
  • লটকনের পাতা ও শিকড় খেলে পেটের নানা অসুখ ও জ্বর ভালো হয়ে যায়।
  • ঠাণ্ডা-কাশি সারাতে বেশ কার্যকর।
  • দাঁতের নানা ধরনের সমস্যার সমস্যার সমাধান করে থাকে লটকন।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারি।
  • শরীরের রক্তশূন্যতা পূরণ করে।
  • লটকনে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে।
  • চর্মরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • লটকন গা গোলানো ও বমি বমিভাব দূর করতে পারে।
  • মানসিক চাপ কমে।
  • মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং খাবারের রুচি বাড়ে।

লটকনের পুষ্টিমান:

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্রোমিয়াম থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মি.গ্রা আয়রন থাকে। প্রতি ১০ গ্রাম লটকনে ১০.০৪ মি.গ্রা ভিটামিন বি ওয়ান ও প্রতি ১০০ গ্রামে ০.২০ মি.গ্রা ভিটামিন বি টু পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ১.৪২ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৪৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে।

আরএম/ ৬ জুন, ২০২১

Read More

আধুনিক চিকিৎসা সেবার অন্যতম নাম রিহেব-ফিজিও

রিহেব-ফিজিও

রিহেব-ফিজিও থেরাপির সুবিধা সমূহঃ

ব্যথা-বেদনা নিরাময়ে এখন প্রমাণিত চিকিৎসা ব্যাবস্থা।

শরীরে দ্রুত ইনফ্লামেশন এর প্রদাহ হ্রাস করে।

পেশী ও ত্বকের ইনজুরি সারাতে রিহেব-ফিজিও দারুনভাবে কার্যকর।

সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিরাময়, নন-ইনভেসিভ চিকিৎসা (সম্পূর্ণকাটা-ছেড়ামুক্ত), পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন আধুনিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা।

সর্বোপরি এটি একটি গতানুগতিক, কার্যকরী এবং প্রচলিত চিকিৎসা ব্যাবস্থা।

যে সকল রোগে রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা শতভাগ কার্যকরঃ

  • কোমর ব্যথা
  • ঘাড় ব্যথা
  • মাজা ব্যথা
  • হাঁটু ব্যথা
  • মাংসপেশির ব্যথা
  • অষ্টিও আর্থাইটিস
  • রিউমাটয়েড আর্থাইটিস
  • অষ্টিও পোরোসিস
  • এঙ্কাইলজিং স্পন্ডালাইটিস
  • একেলিস টেন্ডন রিপেয়ার
  • ACL টেন্ডন পুনর্গঠন
  • মেরুদণ্ডের ডিস্ক হানিয়া
  • ডিস্ক প্রলাপ্স
  • ডিস্ক কমপ্রেশন
  • ল্যাম্বো-সেক্রাল পেইন
  • ক্যাল্কেনিয়ান স্পার
  • পায়ের তলা ব্যথা
  • প্লান্টার ফ্যাসাইটিস
  • ফ্রোজেন সোল্ডার
  • টেনিস এলবো
  • রিষ্ট পেইন
  • কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম
  • সেরিব্রাল পলসি
  • মায়েস্থেনিয়া গ্রেভিস
  • ড্রপ জ
  • স্ট্রোক পরবর্তী চিকিৎসা
  • হেমিপ্যারালাইসিস
  • মায়েলজিয়া
  • আর্থালজিয়া
  • ডিসাবিলিটি
  • মাস্কুলার ডিসট্রফি

তাছাড়া আরও অনেক রোগ।

শিশুদেরঃ

  • গ্রোথ পেইন
  • কোগনেটিভ ও মোটর ডেভলাপমেন্ট
  • বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা
  • ফ্রেকচার, স্প্রেইন
  • হাইপারমবিলিটি
  • স্পোর্টস ইনজুরি

ডা. মো: সফিউল্যাহ্ প্রধান

পেইন প্যারালাইসিস ও রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
যোগাযোগ:- ডিপিআরসি হাসপাতাল লি: (১২/১ রিং-রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)
শ্যামলী ক্লাব মাঠ সমবায় বাজারের উল্টো দিকে
সিরিয়ালের জন্য ফোন: ০১৯৯-৭৭০২০০১-২ অথবা ০৯ ৬৬৬ ৭৭ ৪৪ ১১

Read More