Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: ভিটামিন ডি

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

পর্ব: ৮

মাংসপেশির ব্যথা বা মায়ালজিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক কার্যকলাপ বা ভারী পরিশ্রম করলে, যেমন দৌড়, ম্যারাথন কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়ামে মাংসপেশিতে চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে। শারীরিক আঘাত, যেমন পড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনায় মাংসপেশিতেও আঘাত লাগে এবং ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

মাংসপেশির ব্যথা একটা কমন সমস্যা। বিশেষ করে ঘাড়ের মাংসপেশির ব্যথা, পিঠের মাংসপেশির ব্যথা, কোমরের মাংসপেশির ব্যথা, অনেকের হাত-পা ব্যথা একটা কমন মাংসপেশির সমস্যা।

মাংসপেশির ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে যারা ডেস্ক জব, বসে বসে কাজ, কম্পিউটার বা সামনে ঝুঁকে ঝুঁকে কাজ করা, লেখালেখির কাজ যারা করেন তাদের মাংসপেশির ব্যথা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে পেশিতে ওভার স্ট্রেস নেয়া।

এছাড়া বিদেশে প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইনজুরি তা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ডায়াবেটিস জনিত সমস্যার ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

একটা সুস্থ মানুষের প্রতিদিন পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লিটার আর মহিলাদের ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খেতে হয়। পানির অভাবে অনেক সময় মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

মাথাব্যথা মাংসপেশির সমস্যা থেকে হতে পারে। সাধারণত বিছানার কারণে হতে পারে বা কাজের ওভার স্ট্রেস থেকে হতে পারে।

পুরাতন আঘাত থেকে এই সমস্যা হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে হতে পারে। তারপরে অত্যধিক পরিশ্রমের মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

বিভিন্ন অ্যালকোহল, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, প্রসেস ফুড বডিতে প্রদা হয় তা থেকে কিছু মানুষ বেশি ব্যথা দেখা দিতে পারে। আরও অনেক কারণে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

রোগ নির্ণয় না করে মাংসপেশির ব্যথার অপচিকিৎসা করা যাবে না। রোগ নির্ণয় করে যদি কনফার্ম করা যায় তাহলে কিন্তু মাংসপেশির ব্যথা আমরা অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারি। তবে পুরাতন ব্যথার ক্ষেত্রে রেগুলার দুবেলা কুসুম গরম সেক নেয়া, শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করা, ব্যথানাশক যে কোন মলম নিতে নেয়া, পরিমিত পানি খাওয়া।

এছাড়া ভিটামিন ডি মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি থেকে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ব্লাড টেস্ট করে ভিটামিন ডি কনফার্ম করতে হবে। এছাড়া মিনারেল টেস্ট করে দেখতে হবে মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি হয়েছে কিনা তাহলে সেটা চিকিৎসা দিলে ঠিক হয়ে যাবে।

Read More

শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়?

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ

  1. হাড়ের স্বাস্থ্যের সমস্যা:

ভিটামিন ডি এর ঘাটতি ক্যালসিয়াম শোষণ হ্রাস করে দেয়, যার ফলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এটি হাড়ের ব্যথা, পেশীর দুর্বলতা এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে নিতম্ব, মেরুদণ্ড এবং কব্জির মতো ওজন বহনকারী হাড়গুলোর।

  • ক্লান্তি এবং দুর্বলতা:ভিটামিন ডি এর অভাবে পেশী দুর্বল হয়ে পরে যার কারণে ক্লান্তি অনুভব হয়। এটি শারীরিক কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
  • বিষণ্ণ মেজাজ:ভিটামিন ডি এর নিম্ন মাত্রা বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের মতো মেজাজজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • দুর্বল ইমিউন ফাংশন:ভিটামিন ডি ইমিউন সিস্টেম বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিনের ঘাটতি শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলে।
  • চুল পড়া:ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে চুল পাতলা বা চুল পড়া দেখা দিতে পারে।
  • শিশুদের হাড়ের বিকৃতি:ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুরা রিকেট নামক একটি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এর ফলে বাচ্চার পা এবং মেরুদণ্ডে বিকৃতি হতে পারে।
  • ক্ষত সারতে সময় লাগা:ভিটামিন ডি এর অভাব শরীরের ক্ষত নিরাময় এবং আঘাত থেকে সুস্থ হয়ে উঠার ক্ষমতাকে ধীর করে দিতে পারে।
  • বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতা:কিছু গবেষণায় ভিটামিন ডি এর অভাবে আলঝেইমার রোগের মতো জটিল অবস্থা সহ বুদ্ধি হ্রাসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি নির্ণয় করার জন্য সাধারণত 25-হাইড্রোক্সিভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরিমাপ করার জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করা হয়, যা রক্তে সঞ্চালিত ভিটামিনের প্রাথমিক রূপ। এই মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণত, 20 এনজি/এমএল এর নিচের স্তরগুলিকে ঘাটতি হিসাবে ধরা হয়।

চিকিৎসা

  1. সূর্যালোক: সূর্যের আলো (বিশেষত মধ্যাহ্নের সূর্য) শরীরে লাগাতে পারলে তখন শরীর তার নিজস্ব ভিটামিন ডি তৈরি করে নিতে পারে।
  2. খাবারের উৎস: ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি মাছ (যেমন স্যামন এবং ম্যাকেরেল), দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম এবং মাশরুম।
  3. সাপ্লিমেন্ট: ভিটামিন ডি র মাত্রাতিরিক্ত অভাবের ক্ষেত্রে বা যখন প্রাকৃতিক উৎস অপর্যাপ্ত হয়, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি তুলনামূলকভাবে সাধারণ হলেও, সঠিক সচ্চেতনতা, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। আপনি যদি সন্দেহ করেন যে আপনার ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হতে পারে বা উল্লিখিত উপসর্গগুলির মধ্যে কোনো একটির সম্মুখীন হচ্ছেন, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।

যোগাযোগের ঠিকানা

DPRC. 12/1 Ring Road, shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি, 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

ফোনঃ +8801997702001, +8801997702002, 09666774411

 

Read More