Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: কোমর ব্যথা প্রতিরোধ

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

কেউ যদি বলে কোমর ব্যথার কথা শোনেননি, তাহলে তো অবাক হওয়ারই বিষয়। বেশিরভাগ মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চারজন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এই সমস্যায় ভুগেন। আগে মানুষের ধারণা ছিল কোমর ব্যথা শুধু বয়স্কদের হয়, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে কোমর ব্যথা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, কর্পোরেট পেশা, নগরায়ন, শরীর চর্চার
অভাব, জীবিকার তাগিদে অত্যধিক পরিশ্রম, শ্রমিক পেশাজীবী, কম্পিউটিং, চলাফেরা-শোয়া-বসায় ভুল অবস্থান, শারীরিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে কোমর ব্যথার রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উঠতি বয়সী শিশু থেকে বৃদ্ধ ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে কারো কোমর ব্যথা হতে পারে। অনেকের এমনিতেই সেরে যায়, অনেকের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, আবার অনেকে কোমর ব্যথা নিয়েই মৃত্যুবরণ করে।

কোমর ব্যথার কারণ:

কোমর ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ ভাগ হচ্ছে ‘মেকানিক্যাল সমস্যা’। মেকানিক্যাল সমস্যা বলতে মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো, আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থানের পরিবর্তন ও মেরুদণ্ডের নির্দিষ্ট বক্রতার পরিবর্তনকে বোঝায়। চলাফেরা, জীবিকার ধরন, খুব বেশি ভার বা ওজন বহন, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে থাকে।

“বার্থ্যক্য জনিত বয়সে কোমর ব্যথার প্রধান কারন হচ্ছে কোমরের হাড় ও ইনটারভাটিক্যাল ডিস্ক এর ক্ষয় এবং কোমরের মাংশ পেশীর দুর্বলতা। কোমর ব্যথার রেশগুলোকে আমরা, লো-বাক পেইন/লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস। প্রোলাপস ডিস্ক ইত্যাদি রোগ বলে থাকি। এই রোগের কারণ, প্রক্রিয়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ঘাড় ব্যথা বা সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস এর অনুরূপ। তবে রোগীর শরীরের অবস্থান/ সোল্ডার সঠিকভাবে রক্ষার গুরুত্ব দিলে অনেক ক্ষেত্রে কোমরের ব্যথা এড়ানো সম্ভব। ”

অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডের ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওঅ্যাথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরোসিস, এনকাইলজিং স্পনডাইলোসিস, মেরুদণ্ডের স্নায়বিক সমস্যা, টিউমার, ক্যান্সার, বোন টিবি, কোমরের মাংসপেশির সমস্যা, পেটের বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুঁড়ি, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।

উপসর্গ:

কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর থেকে ব্যথা মেরুদণ্ডের পেছনের দিকে দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে। রোগী অনেকক্ষণ বসতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ব্যথার সঙ্গে পায়ে শিন শিন বা ঝিন ঝিন জাতীয় ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে। হাঁটতে গেলে পা খিঁচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যে কোনো এক পায়ে নামতে পারে। অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থাকলে ব্যথা কিছুটা কমে আসে। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে রোগীর কোমর ও পায়ের মাংসপেশির ক্ষমতা কমে আসে এবং শুকিয়ে যেতে পারে, সর্বোপরি রোগী চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যেহেতু আধুনিক এই যুগেও কোমর ব্যথা একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বাস্থ্য সমস্যা; তাই এ সমস্যার সমাধানে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

প্রতিকার

ফার্মাকোথেরাপি:
চিকিৎসকরা রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাধারণত ব্যথানাশক এনএসএআইডিএস গ্রুপের ওষুধ, মাসল রিলাক্সজেন ও সেডেটিভজজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন। অনেক সময় মেরুদণ্ডের ভেতর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও প্রয়োগ করে থাকেন

ফিজিওথেরাপি ও রিহেবঃ
কোমর ব্যথাজনিত সমস্যার অত্যাধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিকিৎসক রোগীকে ইলেকট্রোমডুলেটর ও বিভিন্ন ডাক্তারি ব্যায়াম দিয়ে থাকেন। তা ছাড়া চিকিৎসা চলা অবস্থায় কোমরে নির্দিষ্ট অর্থোসিস বা ব্রেস প্রয়োগ করে থাকেন।

সার্জারি:
যদি দীর্ঘদিন ফার্মাকোথেরাপি ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চালানোর পরও রোগীর অবস্থার পরিবর্তন না হয় রোগীকে অবস্থা অনুযায়ী কোমর-মেরুদণ্ডের অপারেশন বা সার্জারির প্রয়োজন হয়। এ জাতীয় সার্জারি সাধারণত নিউরো, অর্থোসার্জন বা স্পাইন সার্জন করে থাকেন। সার্জারির পরে রিহেবঃ ফিজিও বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা নিতে হয়।

প্রতিরোধ

যেহেতু কোমর ব্যথা বার বার দেখা দিতে পারে বা যারা এখনও এ জাতীয় সমস্যায় ভোগেননি, তারা নিচের পরামর্শ মেনে চলতে পারেন।

পায়ের কাফ মাসল বা মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

যদি দীর্ঘদিন ফার্মাকোথেরাপি ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চালানোর পরও রোগীর অবস্থার পরিবর্তন না হয় রোগীকে অবস্থা অনুযায়ী কোমর-মেরুদণ্ডের অপারেশন বা সার্জারির প্রয়োজন হয়। এ জাতীয় সার্জারি সাধারণত নিউরো, অর্থোসার্জন বা স্পাইন সার্জন করে থাকেন। সার্জারির পরে রিহেবঃ ফিজিও বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা নিতে হয়।

 পায়ের কাফ মাসল বা মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

পায়ের কাফ মাসল বা মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

কোয়াড্রিসেপস বা উরুর সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং :

সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যে কোন এক হাঁটু ভাঁজ করে ওই পায়ের গোড়ালি নিতম্বের সঙ্গে লাগাতে চেষ্টা করুন। এতে উরুর সামনের মাংসপেশিতে টান পড়বে।

কোয়াড্রিসেপস বা উরুর সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং :

কোয়াড্রিসেপস বা উরুর সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং :

হ্যামস্ট্রিং বা উরুর পেছনের মাংসপেশি স্ট্রেচিং :

টুল বা বেঞ্চের ওপর এক পা সোজা করে রেখে পায়ের পাতা এক হাত দিয়ে নিজের দিকে টানতে হবে। এতে উরুর পেছনের মাংসপেশিতে টান লাগবে।

হ্যামস্ট্রিং বা উরুর পেছনের মাংসপেশি স্ট্রেচিং

হ্যামস্ট্রিং বা উরুর পেছনের মাংসপেশি স্ট্রেচিং

নিতম্ব বা হিপের সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

ডান হাঁটু ভাঁজ করে বসে বাম পায়ের পাতা সোজাভাবে ফ্লোরে রাখুন। এরপর সামনে ঝুঁকুন। একইভাবে অন্য পায়ের জন্য করুন। এতে নিতম্বের সামনের মাংসপেশি টান হবে

নিতম্ব বা হিপের সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

নিতম্ব বা হিপের সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ড স্ট্রেচিং:

এক পায়ের সামনে অন্য পা ক্রস করে চাপ দিন। এতে ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ডে টান পড়বে।

ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ড স্ট্রেচিং:

ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ড স্ট্রেচিং:

অবস্থাগত কোমর ব্যথা সায়াটিকা রোগ বা ডিস্ক প্রলেপস রোগের ব্যায়াম:

■ প্রথমে সতর্কতার সঙ্গে অবস্থাগত কোমর ব্যথা সায়াটিকা রোগ বা ডিস্ক উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার কনুইয়ের ওপর ভর করে বুক বা মাথা খুব ধীরে ধীরে উপরে উঠান। প্রতিবেলায় ছয় বার করুন।

■ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ অবস্থা থেকে দুই হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে মাথা ও বুক তুলুন, যেন তলপেট বিছানায় লাগানো থাকে। পাঁচ সেকেন্ড এভাবে থাকুন। ব্যায়ামটি ১০ বার করুন।

■ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটি কোমরের পেছনে রাখুন। এ অবস্থায় নিচের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে মাথা ও বুক ওপরের দিকে ওঠান। পাঁচ সেকেন্ড রাখুন। আস্তে আস্তে নামান। দিনে দুই বেলা পাঁচ থেকে ১০ বার করুন।

■ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। বুক বা মাথা মেঝের সঙ্গে লাগিয়ে রাখুন। এবার দুই হাত একসঙ্গে দু-তিন ইঞ্চি উঠিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখুন। এবার ডান হাত ও বাম পা একসঙ্গে উঠিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখুন, এবার নামিয়ে ফেলুন। একইভাবে বাম হাত ও ডান পা উঠিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

কোমর ব্যথা সায়াটিকা রোগ বা ডিস্ক প্রলেপস রোগের ব্যায়াম

স্পন্ডালাইসিস, মাংসপেশি বা লিগামেন্টজনিত সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যাজনিত ব্যায়াম:

■ চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটো ভাঁজ করে বুকের ওপর রাখুন, হাঁটু দুটি দুটি ভাঁজ করুন। এবার আস্তে আস্তে মাথা, কাঁধ ও পিঠ ফ্লোর বা বিছানা থেকে ওপরে তুলুন, বেশি ওপরে তুলবেন না। (যাদের ঘাড়ে ব্যথা আছে তারাও ব্যায়ামটি করার সময়ে মাথার পেছনে হাত রাখুন)।

■ চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার ডান পা ভাঁজ করে বুকের কাছে নিয়ে আসুন, পা সোজা করে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলুন। একইভাবে অন্য পায়ের জন্য করুন।

■ তৃতীয় ব্যায়ামটি আগের ব্যায়ামের মতো একটি ব্যায়াম। সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে পেছনে ঝুঁকুন। এবার ধীরে ধীরে সোজা হন।

অ্যারোবিক ব্যায়াম: স্ট্রেচিং ব্যায়াম ও নির্দিষ্ট ব্যায়াম ছাড়াও মেরুদণ্ডের সুস্থতা ও কোমর ব্যথার জন্য প্রয়োজন অ্যারোবিক ব্যায়াম। যেমন-

  • সাঁতার কাটা
  • নিয়মিত হাঁটা
  • আস্তে আস্তে দৌড়ানো

দৈনন্দিন কাজে সতর্কতা

নিচ থেকে কিছু তোলার সময়:
■ কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।

কোন কিছু বহন করার সময়:
■ ঘাড়ের ওপর কিছু তুলবেন না।
■ ভারী জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন।
■ পিঠের ওপর ভারী কিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।

দাঁড়িয়ে থাকার সময়:
■ ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না। হাঁটু না-ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।
■ দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।
■ অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।
■ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।

যানবাহনে চড়ার সময়:
■ গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। সোজা হয়ে বসুন।
■ ভ্রমণে ব্যথার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করুন।

বসে থাকার সময়:
■ চেয়ার টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না।
■ সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
■ কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন।
■ এমনভাবে বসুন যাতে উরু মাটির সমান্তরালে থাকে।
■ নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।

শোয়ার সময়:
■ উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে শোবেন না। সমান তোষক ব্যবহার করুন।
বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে। শক্ত বিছানা বলতে সমান কিছুর ওপর পাতলা তোষক বিছানাকে বোঝায়।

মেয়েরা যেসব নিয়মকানুন মেনে চলবেন:
■ অল্প হিলের জুতা বা স্যান্ডেল পরুন, বিভিন্ন জুতার হিলের উচ্চতা বিভিন্ন না হওয়াই উচিত।
■ তরকারি কাটা, মশলা পেষা, কাপড় কাচা ও ঘর মোছার সময় মেরুদণ্ড সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।
■ কোমর ঝুঁকে বাচ্চাকে কোলে নেবেন না। ঝাড় দেয়া, টিউবওয়েল চাপার সময় কোমর সোজা রাখবেন।
■ পানি ভরা কলস বা বালতি, ভারী আসবাবপত্র তুলতে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করে বসবেন এবং কোমর সোজা রাখবেন।
■ মার্কেটিং বা শপিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাঁড়ানো বা হাঁটার পরে বিশ্রামের জন্য একটু বসবেন।
■ বিছানা গোছানোর সময় কোমর ভাঁজ না-করে বরং হাঁটু ভেঙে বসা উচিত।

কোমর ব্যথা বেশি হলে বিছানা থেকে শোয়া ও ওঠার নিয়ম:
■ চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাঁজ করুন।
■ এবার অন্য হাঁটুটি ভাঁজ করুন। হাত দুটি বিছানায় রাখুন।
■ এবার ধীরে ধীরে এক পাশ কাত হোন।
■ পা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, এবার কাত হওয়া দিকের হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।
■ দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে বসুন এবং মেঝেতে পা রাখুন।
■ এবার দুই handsের ওপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।

ওজন কমান

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন:
গরু, খাসির মাংস, ডালজা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে শাকসবজি, তরিতরকারি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় বেশি করে রাখুন।
ফাস্টিং বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওজন কমাতে গবেষণালব্ধ ফলাফল বহন করে।

ডা. মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান

বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব ফিজিও বিশেষজ্ঞ
ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব
১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
সিরিয়ালের জন্য ফোন: 09666-774411

Read More