Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

প্যারালাইসিস এর কারণ, লক্ষণ ও আধুনিক চিকিৎসা






প্যারালাইসিস এর কারণ, লক্ষণ ও আধুনিক চিকিৎসা


প্যারালাইসিস এমন শারীরিক অসুখ, যে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহের কোনো অংশ বা সম্পূর্ণ দেহ অবশ হয়ে যায়। ফলে সেই শরীরের আক্রান্ত অংশের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এতে করে সেই অংশ অবশ হয় এবং নড়াচড়ায় অক্ষম হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

প্যারালাইসিস কথাটা শুনলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আসলে যেকোনো সুস্থ মানুষও হঠাৎ প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ বা সারা বিশ্বে প্যারালাইসিসের অন্যতম কারণ আমরা দেখেছি স্ট্রোক। আর এই স্ট্রোক হচ্ছে মস্তিষ্কের একটা রোগ যা থেকে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও যদি কয়েকদিন যাবত কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা বা মাংসপেশির ব্যথা থাকে, কিন্তু যদি সঠিক ট্রিটমেন্ট করা না হয় তাহলে ধীরে ধীরে একদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে।

প্যারালাইজড একসঙ্গে সব হাত-পা হবে এমনটা নয়। যেকোনো একটা হাত, একটা পা বা মুখে হতে পারে। আমরা প্রায় সময়ই বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়া দেখে থাকি।

এছাড়া একটা বাচ্চার জন্মের পরেও প্যারালাইসিস গ্রস্থ বা জন্মগত সমস্যা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে। আবার একজন সুস্থ ৫০ থেকে ৬০ বছরের মানুষও হঠাৎ করে প্যারালাইজড হতে পারে। এটাকেই আমরা বলছি স্ট্রোক।

তাছাড়া বিভিন্ন রোগ যেমন মোটর নিউরন ডিজিজ ও নার্ভের ডিজঅর্ডার অর্থাৎ স্নায়বিক ব্যাধি থেকে হওয়া প্যারালাইসিস কিন্তু একদিন হয় না এটি ধীরে হতে থাকে।

এছাড়া বিভিন্ন ভাইরাল ব্যাকটেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু জ্বর এবং করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা প্রচুর প্যারালাইজড রোগী দেখতে পাচ্ছি।

প্যারালাইসিস হঠাৎ করেও হতে পারে আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য রোগ থেকেও প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে। আবার বিভিন্ন ওষুধের প্রভাব থেকেও প্যারালাইসিস হতে পারে।

প্যারালাইসিস হলে করণীয়

হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়লে যদি কেউ হাত পা নাড়াতে না পাড়ে তাকে একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। তাহলে যদি মুখ থেকে লালা পড়ে সেটা আর তার শ্বাসনালিতে যাবে না। এরপর যদি দেখা যায় এটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি, রোগী অজ্ঞান থাকে তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

এসব ক্ষেত্রে রোগীদের প্রেসার, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তাই সচেতনতা খুবই জরুরি। প্যারালাইসিস হয়ে গেলে প্রস্রাব-পায়খানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেজন্য ট্রেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর হাইজিন, খাবার-দাবার, সবকিছু মেইনটেন করতে হবে।

অনেক সময় এসব রোগীর ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে আবার রিকারেন্ট স্ট্রোক হয়। তাই এসব সম্পর্কে শিক্ষা ও জনসচেতনতা দরকার।

প্যারালাইসিস হয়ে গেলে অ্যাডভান্স চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। আমরা বাসায় রোগীদের ফেলে রাখব না।

আমরা চেষ্টা করব পুনর্বাসন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসা নেওয়ার। এক্ষেত্রে আমরা ইলেক্ট্রো থেরাপি দিই, হসপিটালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিই এবং বিভিন্ন এক্সারসাইজ করাই। রিহ্যাবিলিটেশন টিমওয়ার্কের মাধ্যমে প্যারালাইসিস রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

DPRC paralysis treatment

বাত ব্যথা ও প্যারালাইসিসের সর্বাধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসায়

বাত-ব্যথা একটি অপ্রীতিকর অনুভূতি এবং মানসিক অভিজ্ঞতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যথাকে একটি রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। একটা সময় ছিল, যখন মানুষ সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার অভাবে বাত-ব্যথা ও প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতো কিংবা পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করত। তবে, বিজ্ঞানের সবকটি শাখার উন্নতির ধারাবাহিকতায় থেমে নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানও।

প্যারালাইসিস এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখাটি উন্নয়নের অবদানে বাত-ব্যথা প্যরালাইসিস আক্রান্ত রোগীদের কমেছে মৃত্যু হার, মানুষ ফিরে পাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন, ফিরে পাচ্ছে তার মুখের হাসি। দূর হয়েছে অভিশাপ নামের ভ্রান্ত ধারণা। সেই শাখাটির নাম:

“ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা”

স্বাস্থ্যের ৪ টি অঙ্গ:

  1. প্রতিরোধ
  2. প্রতিকার
  3. আরোগ্য
  4. পুনর্বাসন

রোগীদের অভিজ্ঞতা

কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার জাহানারা বেগম ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রেন স্ট্রোক করে বাম পাশে প্যারালাইসিস হন। কুমিল্লায় থেরাপি নেওয়ার পরও উন্নতি হয়নি। এরপর ডিপিআরসিতে এসে সঠিক চিকিৎসায় উন্নতি হয়। বিস্তারিত ভিডিও:

সঞ্জয় চৌধুরী, ফেনী জেলার রোগী, ২০২৩ সালের জুনে GBS আক্রান্ত হন। প্রথমে প্লাজমা থেরাপি ও পরে বাসায় ছয় মাস ফিজিওথেরাপি নিয়েও ব্যালেন্স পেতেন না। ডিপিআরসিতে চিকিৎসার পর উন্নতি হয়। বিস্তারিত ভিডিও:

জরিনা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া — স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিস রোগী হিসেবে ডিপিআরসিতে চিকিৎসা নিয়ে উন্নতি লাভ করেছেন। আরও রোগীর ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

জরিনা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রোগী স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিসের কারণে আমাদের এখানে এসে ভর্তি হয়েছিলেন। তার ট্রিটমেন্টের বিষয়টা সম্পর্কে জানতে পারবেন নিচের ভিডিও থেকে:

SPAOA রোগে প্রায় প্যারালাইসিস এবং পঙ্গু রোগী হাসপাতালে কেমন চিকিৎসা নেন, সে বিষয়ে জানতে এই ভিডিও দেখতে পারেন:

ডিপিআরসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ্ প্রধান বলেন, ‘এখন অনেকেই বিদেশ থেকে এসে ডিপিআরসিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ রোগী বিনা অপারেশনে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে—আমরা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। যারা এখনও বিদেশে চিকিৎসার কথা ভাবছেন তাদের বলব, বিদেশ যাওয়ার আগে অন্তত একবার ডিপিআরসিতে আসুন।’


Read More

অস্টিওপোরোসিস কী ধরনের রোগ






অস্টিওপোরোসিস

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত একটা রোগ অস্টিওপোরোসিস। অস্থির বৃদ্ধির জন্য চাই ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের এ রোগটা হয়ে থাকে। যেসব বয়স্ক পুরুষ বহুদিন যাবৎ স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করেন তাদের এবং মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পর এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তা ছাড়া যারা অলস জীবনযাপন করে, পরিশ্রম কম করে তাদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যারা অনেক দিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ভোগে তাদেরও এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অস্টিওপোরোসিস এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বয়স্ক মানুষের মধ্যে হাড় ভাঙার সবচেয়ে সাধারণ কারণ এটি। যে হাড় সাধারণত বেশি ভাঙে, তা হলো মেরুদণ্ডের মধ্যে কশেরুকার হাড়, হাতের হাড়, এবং কোমরের হাড়। হাড় না ভাঙা পর্যন্ত সাধারণত কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। হাড় এতটাই দুর্বল হয়ে যেতে পারে যে, সামান্য জোর দিলে বা এমনিই ভেঙে যায়। হাড় ভাঙলে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হতে পারে এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। স্বাভাবিক সর্বোচ্চ হাড়ের ভরের তুলনায় কম ভর, এবং স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হাড়ের ক্ষয়ের কারণে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। রজর্নিবৃত্তির পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। নানা রকম অসুখ ও চিকিৎসা, যথা মদকাসক্তি, ক্ষুধাহীনতা, থাইরয়েড গ্রন্থির অতি সক্রিয়তা, কিডনি রোগ এবং অস্ত্রোপচার করে ডিম্বাশয় অপসারণের কারণেও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধ, যেমন, খিঁচুনি নিবারক ওষুধ, কর্কট রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু মিশ্র রাসায়নিক ওষুধ, পাকস্থলির অম্ল নিবারক মিশ্র, অতিরিক্ত বিষণ্নতা কাটানোর ওষুধ এবং নিজ শরীরের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আক্রমণকারী অস্বাভাবিক কিছু অসুখের ওষুধ হাড়ের ক্ষয়ের হার বৃদ্ধি করে। ধূমপান এবং খুব কম শারীরিক পরিশ্রমও ক্ষতির কারণ। তাই এসব বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

লেখক: ড. মো. সফিউল্যাহ প্রধান
ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।


Read More
অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস: একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়।
রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোনো জয়েন্ট, যেমন হিপ জয়েন্টের
কাছাকাছি হয়, তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এ অবস্থা যে কোনো হাড়ে হতে পারে, তবে সাধারণত এটি
লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় ঘটে। এটি একটি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্ত
করতে পারে।

কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারে

  • গোড়ালি
  • চোয়ালে
  • হাঁটুতে
  • হাতের হিউমেরাস ও কাঁধের জয়েন্টে
  • পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণ

  • কোনো কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
  • জয়েন্ট ভেঙে গেলে
  • কোনো কারণে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে
  • দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ সেবন করলে
  • দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান করলে
  • ডায়াবেটিস বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হলে
  • রক্তের রোগ (যেমন: সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া)
  • র‌্যাডিয়েশনের বা কেমোথেরাপির কারণে
  • এইচআইভি/এইডস রোগের জন্য
  • অটো ইমিউন রোগের জন্য
  • হাইপার লিপিডেমিয়া বা হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
  • প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস
  • কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
  • জয়েন্ট ডিসলোকেশন

রোগের লক্ষণ

  • হাঁটাচলা করার সময় ব্যথা লাগা
  • পায়ে টান লাগা
  • সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
  • দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
  • হাঁটু ভেঙে বসতে না পারা
  • আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
  • কুঁচকিতে, ঊরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
  • বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
  • ক্রস পায়ে বসতে না পারা

রোগ নির্ণয়

  • এক্স-রে
  • এমআরআই
  • সিটি স্ক্যান
  • হাড়ের স্ক্যান
  • বায়োপসি
  • হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা

চিকিৎসা

নন-সার্জিক্যাল চিকিৎসা

  • আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক
  • কিছু নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ
  • ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
  • পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম

সার্জিক্যাল চিকিৎসা

  • কোর ডিকম্প্রেশন (Core Decompression)
  • হাড় গ্র্যাফটিং (Bone Grafting)
  • অস্টিওটমি (Osteotomy)
  • সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)

জটিলতা

চিকিৎসা করা না হলে এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে। অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে
হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়, ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোনো লক্ষণ প্রকাশ
পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালট্যান্ট

ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা

Read More
পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান

পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান









পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান

পা মানবশরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার পা নেই, সেই বুঝে পায়ের মর্মকথা। আর যাদের পা থেকেও সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না, তাদের জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ।

সেলিম রহমান একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন কোমরব্যথায় ভুগছিলেন। নিয়মিত চিকিৎসা ও চিকিৎসকের নির্দেশমতো ব্যায়াম করে ভালোই ছিলেন। কিন্তু ইদানীং ঘুম থেকে উঠে ফ্লোরে পা রাখতেই পায়ের তলায় তীব্র ব্যথা হয়। আবার অনেকক্ষণ চেয়ারে বসে থাকার পর উঠে দাঁড়াতেই পায়ের তলায় তীব্র ব্যথা হয়। একটু হাঁটাহাঁটি করলে ব্যথা কিছুটা কমে আসে।

সেলিম রহমান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জানতে পারলেন তার প্লান্টার ফ্যাসাইটিস হয়েছে।

মানবদেহে পায়ের গোড়ালিতে যেসব কারণে ব্যথা হয় তার মধ্যে প্লান্টার ফ্যাসাইটিসই অন্যতম। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে পায়ের তলায় স্পার বা কাঁটার মতো হাড় বৃদ্ধি পায়। এটাকে ডাক্তারি ভাষায় ক্যালকেনিয়াল স্পার বলা হয়।

পায়ের গোড়ালিতে ব্যথার অন্যান্য কারণ

  • পায়ের হাড় ভেঙে গেলে
  • গেটেবাত
  • ওস্টিওমাইলাইটিস
  • স্পন্ডাইলো আথোপ্যাথি
  • বার্সাইটিস
  • টেনডিনাইটিস
  • রিট্রোক্যালকেনিয়াল স্পার
  • স্পোর্টস ইনজুরি
  • হেমার টো
  • মটনস নিউরোমা
  • নার্ভের প্রদাহ
  • ডায়াবেটিস
  • কেলুলেসতার কারণে পায়ের গঠনগত ভুল

ব্যথা বাড়ার লক্ষণ

  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হবে। সাধারণত হাঁটলে সেটা আরও বেড়ে যায়।
  • গোড়ালি কখনো কখনো ফুলে যেতে পারে।
  • খালি পায়ে শক্ত জায়গায় হাঁটলে ব্যথা বেশি হয়।
  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা সকালে বেশি থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে।
  • অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসার পর উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়।
  • কখনো কখনো গোড়ালি শক্ত মনে হয়।
  • আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে ও গরম অনুভূত হয়।
  • পায়ের পাতা একট অবশ বা প্যারালাইসিসের ভাব হয়।

পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান

এর চিকিৎসা

রোগ নির্ণয় সঠিক চিকিৎসার প্রথম শর্ত। তাই অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্রাথমিক চিকিৎসা

  • বিশ্রাম
  • ঠান্ডা সেক
  • কম্প্রেশন
  • পা উঁচু করে রাখা

অন্যান্য চিকিৎসা

  • নির্দিষ্ট ওষুধ এবং সাপ্লিমেন্ট
  • নরম সোলের জুতা ব্যবহার
  • হিল কুশন এবং আর্চ সাপোর্ট
  • গোড়ালির কাছে ছিদ্রযুক্ত জুতা
  • ক্যালকেনিয়াল স্পার থাকলে অপারেশন না করা

ব্যায়াম

চিকিৎসকের নির্দেশমতো পায়ের ব্যায়াম নিয়মিত করুন।

ঘরোয়া সমাধান

প্রতিদিন ১০ মিনিট কুসুম গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন।

লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান বাত, ব্যথা ও প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ

ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা


Read More