Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: ডিপিআরসি

পায়ের পাতা ও গোড়ালি ব্যথায় করণীয় | ডিপিআরসি









পায়ের পাতা ও গোড়ালি ব্যথায় করণীয় | ডিপিআরসি

পায়ের পাতা ও গোড়ালি ব্যথায় করণীয়

লেখক: মো. সফিউল্যাহ প্রধান, রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস), ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।

পায়ের ব্যথার গুরুত্ব

মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার পা নেই সেই বুঝে পায়ের মর্মকথা। আর যাদের পা থেকেও সঠিকভাবে হাঁটা চলাফেরা করতে পারছেন না তাদের জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ।

পায়ের গোড়ালির ব্যথা এখন কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে হাঁটাচলার সময় প্রায়ই ব্যথা অনুভব করেন।


ব্যথার কারণ

  1. প্লান্টার ফ্যাসাইটিস
  2. রিট্রোক্যালকেনিয়াল স্পার
  3. টারসাল টানেল সিনড্রোম
  4. আঘাত জনিত কারণ
  5. অস্বাভাবিক পায়ের আকৃতি
  6. অতিরিক্ত ওজন
  7. মধ্য/পার্শ্বিক নার্ভ বাধাপ্রাপ্ত হওয়া
  8. দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে কাজ করা
  9. দীর্ঘদিন হাই হিল বা শক্ত সোলের জুতা ব্যবহার করা
  10. ফ্ল্যাট ফুট
  11. টিউমার এবং সিস্ট
  12. কখনো কখনো ইউরিক অ্যাসিড বাড়তি থাকার কারণেও গোড়ালি ব্যথা হতে পারে।

লক্ষণ

  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হবে। সাধারণত হাঁটলে সেটা আরও বেড়ে যায়।
  • গোড়ালি কখনো কখনো ফুলে যেতে পারে।
  • খালি পায়ে শক্ত জায়গায় হাঁটলে সাধারণত ব্যথা বেশি বাড়ে।
  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা সকালে বেশি থাকে এবং তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু কমে আসে।
  • অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসার পর পা ফেলতে কষ্ট হয়।
  • কখনো কখনো গোড়ালি শক্ত মনে হয়।
  • আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে ও গরম অনুভব হয়।
  • পায়ের পাতা একটু অবশ বা প্যারালাইসিস ভাব হয়।

রোগ নির্ণয়

রোগ নির্ণয় জরুরি, চিকিৎসার প্রথম শর্ত সঠিক রোগ নির্ণয়।

  • রক্ত পরীক্ষা
  • এক্স-রে
  • এমআরআই
  • হাড়ের স্ক্যান

চিকিৎসা

  1. জীবনধারা পরিবর্তন।
  2. খালি পায়ে হাঁটা নিষেধ।
  3. সঠিক মাপের জুতা পরিধান করা, নরম সোল ব্যবহার করা, হিল কুশন, হিল প্যাড, ইনসোল ফুট ব্যবহার, আর্চ সাপোর্ট দেওয়া।
  4. শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা।
  5. চিকিৎসকের নির্দেশমতো পায়ের ব্যায়াম নিয়মিত করা।
  6. কুসুম গরম পানিতে দুই বেলা পা ডুবিয়ে রাখা।
  7. নতুন ব্যথায় ঠান্ডা সেক কার্যকরী।
  8. গোড়ালি ব্যথায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকরী ও নিরাপদ চিকিৎসা।

সচেতন হয়ে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের শরণাপন্ন হন।

ডিপিআরসি শ্যামলী, ঢাকা


Read More
অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস: একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়।
রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোনো জয়েন্ট, যেমন হিপ জয়েন্টের
কাছাকাছি হয়, তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এ অবস্থা যে কোনো হাড়ে হতে পারে, তবে সাধারণত এটি
লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় ঘটে। এটি একটি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্ত
করতে পারে।

কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারে

  • গোড়ালি
  • চোয়ালে
  • হাঁটুতে
  • হাতের হিউমেরাস ও কাঁধের জয়েন্টে
  • পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণ

  • কোনো কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
  • জয়েন্ট ভেঙে গেলে
  • কোনো কারণে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে
  • দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ সেবন করলে
  • দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান করলে
  • ডায়াবেটিস বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হলে
  • রক্তের রোগ (যেমন: সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া)
  • র‌্যাডিয়েশনের বা কেমোথেরাপির কারণে
  • এইচআইভি/এইডস রোগের জন্য
  • অটো ইমিউন রোগের জন্য
  • হাইপার লিপিডেমিয়া বা হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
  • প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস
  • কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
  • জয়েন্ট ডিসলোকেশন

রোগের লক্ষণ

  • হাঁটাচলা করার সময় ব্যথা লাগা
  • পায়ে টান লাগা
  • সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
  • দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
  • হাঁটু ভেঙে বসতে না পারা
  • আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
  • কুঁচকিতে, ঊরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
  • বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
  • ক্রস পায়ে বসতে না পারা

রোগ নির্ণয়

  • এক্স-রে
  • এমআরআই
  • সিটি স্ক্যান
  • হাড়ের স্ক্যান
  • বায়োপসি
  • হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা

চিকিৎসা

নন-সার্জিক্যাল চিকিৎসা

  • আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক
  • কিছু নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ
  • ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
  • পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম

সার্জিক্যাল চিকিৎসা

  • কোর ডিকম্প্রেশন (Core Decompression)
  • হাড় গ্র্যাফটিং (Bone Grafting)
  • অস্টিওটমি (Osteotomy)
  • সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)

জটিলতা

চিকিৎসা করা না হলে এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে। অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে
হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়, ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোনো লক্ষণ প্রকাশ
পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালট্যান্ট

ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা

Read More
কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

কেউ যদি বলে কোমর ব্যথার কথা শোনেননি, তাহলে তো অবাক হওয়ারই বিষয়। বেশিরভাগ মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চারজন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এই সমস্যায় ভুগেন। আগে মানুষের ধারণা ছিল কোমর ব্যথা শুধু বয়স্কদের হয়, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে কোমর ব্যথা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, কর্পোরেট পেশা, নগরায়ন, শরীর চর্চার
অভাব, জীবিকার তাগিদে অত্যধিক পরিশ্রম, শ্রমিক পেশাজীবী, কম্পিউটিং, চলাফেরা-শোয়া-বসায় ভুল অবস্থান, শারীরিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে কোমর ব্যথার রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উঠতি বয়সী শিশু থেকে বৃদ্ধ ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে কারো কোমর ব্যথা হতে পারে। অনেকের এমনিতেই সেরে যায়, অনেকের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, আবার অনেকে কোমর ব্যথা নিয়েই মৃত্যুবরণ করে।

কোমর ব্যথার কারণ:

কোমর ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ ভাগ হচ্ছে ‘মেকানিক্যাল সমস্যা’। মেকানিক্যাল সমস্যা বলতে মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো, আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থানের পরিবর্তন ও মেরুদণ্ডের নির্দিষ্ট বক্রতার পরিবর্তনকে বোঝায়। চলাফেরা, জীবিকার ধরন, খুব বেশি ভার বা ওজন বহন, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে থাকে।

“বার্থ্যক্য জনিত বয়সে কোমর ব্যথার প্রধান কারন হচ্ছে কোমরের হাড় ও ইনটারভাটিক্যাল ডিস্ক এর ক্ষয় এবং কোমরের মাংশ পেশীর দুর্বলতা। কোমর ব্যথার রেশগুলোকে আমরা, লো-বাক পেইন/লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস। প্রোলাপস ডিস্ক ইত্যাদি রোগ বলে থাকি। এই রোগের কারণ, প্রক্রিয়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ঘাড় ব্যথা বা সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস এর অনুরূপ। তবে রোগীর শরীরের অবস্থান/ সোল্ডার সঠিকভাবে রক্ষার গুরুত্ব দিলে অনেক ক্ষেত্রে কোমরের ব্যথা এড়ানো সম্ভব। ”

অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডের ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওঅ্যাথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরোসিস, এনকাইলজিং স্পনডাইলোসিস, মেরুদণ্ডের স্নায়বিক সমস্যা, টিউমার, ক্যান্সার, বোন টিবি, কোমরের মাংসপেশির সমস্যা, পেটের বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুঁড়ি, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।

উপসর্গ:

কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর থেকে ব্যথা মেরুদণ্ডের পেছনের দিকে দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে। রোগী অনেকক্ষণ বসতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ব্যথার সঙ্গে পায়ে শিন শিন বা ঝিন ঝিন জাতীয় ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে। হাঁটতে গেলে পা খিঁচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যে কোনো এক পায়ে নামতে পারে। অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থাকলে ব্যথা কিছুটা কমে আসে। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে রোগীর কোমর ও পায়ের মাংসপেশির ক্ষমতা কমে আসে এবং শুকিয়ে যেতে পারে, সর্বোপরি রোগী চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যেহেতু আধুনিক এই যুগেও কোমর ব্যথা একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বাস্থ্য সমস্যা; তাই এ সমস্যার সমাধানে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

প্রতিকার

ফার্মাকোথেরাপি:
চিকিৎসকরা রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাধারণত ব্যথানাশক এনএসএআইডিএস গ্রুপের ওষুধ, মাসল রিলাক্সজেন ও সেডেটিভজজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন। অনেক সময় মেরুদণ্ডের ভেতর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও প্রয়োগ করে থাকেন

ফিজিওথেরাপি ও রিহেবঃ
কোমর ব্যথাজনিত সমস্যার অত্যাধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিকিৎসক রোগীকে ইলেকট্রোমডুলেটর ও বিভিন্ন ডাক্তারি ব্যায়াম দিয়ে থাকেন। তা ছাড়া চিকিৎসা চলা অবস্থায় কোমরে নির্দিষ্ট অর্থোসিস বা ব্রেস প্রয়োগ করে থাকেন।

সার্জারি:
যদি দীর্ঘদিন ফার্মাকোথেরাপি ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চালানোর পরও রোগীর অবস্থার পরিবর্তন না হয় রোগীকে অবস্থা অনুযায়ী কোমর-মেরুদণ্ডের অপারেশন বা সার্জারির প্রয়োজন হয়। এ জাতীয় সার্জারি সাধারণত নিউরো, অর্থোসার্জন বা স্পাইন সার্জন করে থাকেন। সার্জারির পরে রিহেবঃ ফিজিও বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা নিতে হয়।

প্রতিরোধ

যেহেতু কোমর ব্যথা বার বার দেখা দিতে পারে বা যারা এখনও এ জাতীয় সমস্যায় ভোগেননি, তারা নিচের পরামর্শ মেনে চলতে পারেন।

পায়ের কাফ মাসল বা মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

যদি দীর্ঘদিন ফার্মাকোথেরাপি ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চালানোর পরও রোগীর অবস্থার পরিবর্তন না হয় রোগীকে অবস্থা অনুযায়ী কোমর-মেরুদণ্ডের অপারেশন বা সার্জারির প্রয়োজন হয়। এ জাতীয় সার্জারি সাধারণত নিউরো, অর্থোসার্জন বা স্পাইন সার্জন করে থাকেন। সার্জারির পরে রিহেবঃ ফিজিও বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা নিতে হয়।

 পায়ের কাফ মাসল বা মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

পায়ের কাফ মাসল বা মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

কোয়াড্রিসেপস বা উরুর সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং :

সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যে কোন এক হাঁটু ভাঁজ করে ওই পায়ের গোড়ালি নিতম্বের সঙ্গে লাগাতে চেষ্টা করুন। এতে উরুর সামনের মাংসপেশিতে টান পড়বে।

কোয়াড্রিসেপস বা উরুর সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং :

কোয়াড্রিসেপস বা উরুর সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং :

হ্যামস্ট্রিং বা উরুর পেছনের মাংসপেশি স্ট্রেচিং :

টুল বা বেঞ্চের ওপর এক পা সোজা করে রেখে পায়ের পাতা এক হাত দিয়ে নিজের দিকে টানতে হবে। এতে উরুর পেছনের মাংসপেশিতে টান লাগবে।

হ্যামস্ট্রিং বা উরুর পেছনের মাংসপেশি স্ট্রেচিং

হ্যামস্ট্রিং বা উরুর পেছনের মাংসপেশি স্ট্রেচিং

নিতম্ব বা হিপের সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

ডান হাঁটু ভাঁজ করে বসে বাম পায়ের পাতা সোজাভাবে ফ্লোরে রাখুন। এরপর সামনে ঝুঁকুন। একইভাবে অন্য পায়ের জন্য করুন। এতে নিতম্বের সামনের মাংসপেশি টান হবে

নিতম্ব বা হিপের সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

নিতম্ব বা হিপের সামনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং:

ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ড স্ট্রেচিং:

এক পায়ের সামনে অন্য পা ক্রস করে চাপ দিন। এতে ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ডে টান পড়বে।

ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ড স্ট্রেচিং:

ইলিওটিবিয়াল ব্যান্ড স্ট্রেচিং:

অবস্থাগত কোমর ব্যথা সায়াটিকা রোগ বা ডিস্ক প্রলেপস রোগের ব্যায়াম:

■ প্রথমে সতর্কতার সঙ্গে অবস্থাগত কোমর ব্যথা সায়াটিকা রোগ বা ডিস্ক উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার কনুইয়ের ওপর ভর করে বুক বা মাথা খুব ধীরে ধীরে উপরে উঠান। প্রতিবেলায় ছয় বার করুন।

■ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ অবস্থা থেকে দুই হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে মাথা ও বুক তুলুন, যেন তলপেট বিছানায় লাগানো থাকে। পাঁচ সেকেন্ড এভাবে থাকুন। ব্যায়ামটি ১০ বার করুন।

■ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটি কোমরের পেছনে রাখুন। এ অবস্থায় নিচের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে মাথা ও বুক ওপরের দিকে ওঠান। পাঁচ সেকেন্ড রাখুন। আস্তে আস্তে নামান। দিনে দুই বেলা পাঁচ থেকে ১০ বার করুন।

■ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। বুক বা মাথা মেঝের সঙ্গে লাগিয়ে রাখুন। এবার দুই হাত একসঙ্গে দু-তিন ইঞ্চি উঠিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখুন। এবার ডান হাত ও বাম পা একসঙ্গে উঠিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখুন, এবার নামিয়ে ফেলুন। একইভাবে বাম হাত ও ডান পা উঠিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

কোমর ব্যথা সায়াটিকা রোগ বা ডিস্ক প্রলেপস রোগের ব্যায়াম

স্পন্ডালাইসিস, মাংসপেশি বা লিগামেন্টজনিত সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যাজনিত ব্যায়াম:

■ চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটো ভাঁজ করে বুকের ওপর রাখুন, হাঁটু দুটি দুটি ভাঁজ করুন। এবার আস্তে আস্তে মাথা, কাঁধ ও পিঠ ফ্লোর বা বিছানা থেকে ওপরে তুলুন, বেশি ওপরে তুলবেন না। (যাদের ঘাড়ে ব্যথা আছে তারাও ব্যায়ামটি করার সময়ে মাথার পেছনে হাত রাখুন)।

■ চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার ডান পা ভাঁজ করে বুকের কাছে নিয়ে আসুন, পা সোজা করে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলুন। একইভাবে অন্য পায়ের জন্য করুন।

■ তৃতীয় ব্যায়ামটি আগের ব্যায়ামের মতো একটি ব্যায়াম। সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে পেছনে ঝুঁকুন। এবার ধীরে ধীরে সোজা হন।

অ্যারোবিক ব্যায়াম: স্ট্রেচিং ব্যায়াম ও নির্দিষ্ট ব্যায়াম ছাড়াও মেরুদণ্ডের সুস্থতা ও কোমর ব্যথার জন্য প্রয়োজন অ্যারোবিক ব্যায়াম। যেমন-

  • সাঁতার কাটা
  • নিয়মিত হাঁটা
  • আস্তে আস্তে দৌড়ানো

দৈনন্দিন কাজে সতর্কতা

নিচ থেকে কিছু তোলার সময়:
■ কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।

কোন কিছু বহন করার সময়:
■ ঘাড়ের ওপর কিছু তুলবেন না।
■ ভারী জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন।
■ পিঠের ওপর ভারী কিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।

দাঁড়িয়ে থাকার সময়:
■ ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না। হাঁটু না-ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।
■ দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।
■ অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।
■ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।

যানবাহনে চড়ার সময়:
■ গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। সোজা হয়ে বসুন।
■ ভ্রমণে ব্যথার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করুন।

বসে থাকার সময়:
■ চেয়ার টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না।
■ সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
■ কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন।
■ এমনভাবে বসুন যাতে উরু মাটির সমান্তরালে থাকে।
■ নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।

শোয়ার সময়:
■ উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে শোবেন না। সমান তোষক ব্যবহার করুন।
বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে। শক্ত বিছানা বলতে সমান কিছুর ওপর পাতলা তোষক বিছানাকে বোঝায়।

মেয়েরা যেসব নিয়মকানুন মেনে চলবেন:
■ অল্প হিলের জুতা বা স্যান্ডেল পরুন, বিভিন্ন জুতার হিলের উচ্চতা বিভিন্ন না হওয়াই উচিত।
■ তরকারি কাটা, মশলা পেষা, কাপড় কাচা ও ঘর মোছার সময় মেরুদণ্ড সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।
■ কোমর ঝুঁকে বাচ্চাকে কোলে নেবেন না। ঝাড় দেয়া, টিউবওয়েল চাপার সময় কোমর সোজা রাখবেন।
■ পানি ভরা কলস বা বালতি, ভারী আসবাবপত্র তুলতে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করে বসবেন এবং কোমর সোজা রাখবেন।
■ মার্কেটিং বা শপিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাঁড়ানো বা হাঁটার পরে বিশ্রামের জন্য একটু বসবেন।
■ বিছানা গোছানোর সময় কোমর ভাঁজ না-করে বরং হাঁটু ভেঙে বসা উচিত।

কোমর ব্যথা বেশি হলে বিছানা থেকে শোয়া ও ওঠার নিয়ম:
■ চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাঁজ করুন।
■ এবার অন্য হাঁটুটি ভাঁজ করুন। হাত দুটি বিছানায় রাখুন।
■ এবার ধীরে ধীরে এক পাশ কাত হোন।
■ পা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, এবার কাত হওয়া দিকের হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।
■ দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে বসুন এবং মেঝেতে পা রাখুন।
■ এবার দুই handsের ওপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।

ওজন কমান

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন:
গরু, খাসির মাংস, ডালজা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে শাকসবজি, তরিতরকারি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় বেশি করে রাখুন।
ফাস্টিং বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওজন কমাতে গবেষণালব্ধ ফলাফল বহন করে।

ডা. মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান

বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব ফিজিও বিশেষজ্ঞ
ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব
১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
সিরিয়ালের জন্য ফোন: 09666-774411

Read More

বাচ্চাদের বাত ব্যাথা ও প্যারালাইসিসের চিকিৎসা – বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং সঠিক প্রতিকার

বাচ্চাদের বাত ব্যাথা ও প্যারালাইসিসের চিকিৎসা

পর্ব: ১২

বাড়ন্ত শিশুদের প্রায়ই হাত–পা ব্যথার অভিযোগ করতে শোনা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের এমন ব্যথা হলে অভিভাবক, এমনকি চিকিৎসকরাও বাতজ্বর বা বাতরোগ হয়েছে ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে এটি হতে পারে গ্রোয়িং পেইন

শিশুদের বিভিন্ন ব্যথাজনিত সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শ্যামলীর
ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
(ডিপিআরসি) এর বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

মাংসপেশি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

বাচ্চাদের মাংসপেশির ব্যথা এখন সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার পরে পা চাবানো বা ব্যথা করে এমন কথা বলে থাকে, যা এখন খুব কমন সমস্যা। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গ্রোথ পেইন বলা হয়।
এই সমস্যা নিয়ে বাবা মার চিন্তার কোনো কারণ নেই। এতে বাসায় কুসুম গরম সেঁকের পাশাপাশি হালকা মেসেজ করা যেতে পারে।

  • কুসুম গরম সেঁক দেওয়া
  • হালকা মেসেজ
  • সুষম খাবার, ডিম, দুধ, ভিটামিন ডি খাওয়ানো

বিশেষজ্ঞের মতে, চিপস, ফাস্টফুড, এবং প্রসেসড খাবার কমাতে হবে। শিশুরা যেন পর্যাপ্ত ঘুমায় এবং পানি পান করে—এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

অন্যান্য শিশুরোগ এবং তাদের প্রতিকার

পার্থস ডিজিজ, জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (জেআইএ), এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবে রিকেটস হতে পারে। এগুলো নিয়ে উদ্বেগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সঠিক থেরাপি এবং ব্যায়াম করান।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং খেলাধুলার অভাবে কোমর ব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হয়। সচেতন অভিভাবকত্বই এ সমস্যার সমাধান।

উৎস:
ডিপিআরসি | ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার

Read More

হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা | Dr. MD. Shafiullah Prodhan । DPRC | Ekhon TV









হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা | ডিপিআরসি

হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা

পর্ব: ১০

জীবনের কোনো না কোনো সময় হাঁটু ব্যথা সবাইকেই ভোগায়। বিশেষ করে যাদের বয়স চল্লিশের উপরে তারা হাঁটু ব্যথায় বেশি ভোগেন। এতে হাটা-চলাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো করাও কঠিন হয়ে যায়। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই হাঁটু ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা ২০০৪ সালে।

তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের (ডিপিআরসি) বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

অনেক রোগীর ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়াও দেখা যায়। যাকে চিকিৎসার ভাষায় ‘জেনু’ বলা হয়। কিছুক্ষেত্রে হাঁটুতে এমন জেনু ভেরাস বা জেনু ডিফর্মিটি দেখা দিতে পারে।…

উপসংহার

অপারেশন ছাড়াই হাঁটু ব্যথার সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব। এজন্য প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা সনাক্ত করা এবং সঠিক এক্সারসাইজ, থেরাপি ও চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা মুক্ত জীবন যাপন করা সম্ভব।


Read More

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

পর্ব: ৮

মাংসপেশির ব্যথা বা মায়ালজিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক কার্যকলাপ বা ভারী পরিশ্রম করলে, যেমন দৌড়, ম্যারাথন কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়ামে মাংসপেশিতে চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে। শারীরিক আঘাত, যেমন পড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনায় মাংসপেশিতেও আঘাত লাগে এবং ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

মাংসপেশির ব্যথা একটা কমন সমস্যা। বিশেষ করে ঘাড়ের মাংসপেশির ব্যথা, পিঠের মাংসপেশির ব্যথা, কোমরের মাংসপেশির ব্যথা, অনেকের হাত-পা ব্যথা একটা কমন মাংসপেশির সমস্যা।

মাংসপেশির ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে যারা ডেস্ক জব, বসে বসে কাজ, কম্পিউটার বা সামনে ঝুঁকে ঝুঁকে কাজ করা, লেখালেখির কাজ যারা করেন তাদের মাংসপেশির ব্যথা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে পেশিতে ওভার স্ট্রেস নেয়া।

এছাড়া বিদেশে প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইনজুরি তা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ডায়াবেটিস জনিত সমস্যার ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

একটা সুস্থ মানুষের প্রতিদিন পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লিটার আর মহিলাদের ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খেতে হয়। পানির অভাবে অনেক সময় মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

মাথাব্যথা মাংসপেশির সমস্যা থেকে হতে পারে। সাধারণত বিছানার কারণে হতে পারে বা কাজের ওভার স্ট্রেস থেকে হতে পারে।

পুরাতন আঘাত থেকে এই সমস্যা হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে হতে পারে। তারপরে অত্যধিক পরিশ্রমের মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

বিভিন্ন অ্যালকোহল, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, প্রসেস ফুড বডিতে প্রদা হয় তা থেকে কিছু মানুষ বেশি ব্যথা দেখা দিতে পারে। আরও অনেক কারণে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

রোগ নির্ণয় না করে মাংসপেশির ব্যথার অপচিকিৎসা করা যাবে না। রোগ নির্ণয় করে যদি কনফার্ম করা যায় তাহলে কিন্তু মাংসপেশির ব্যথা আমরা অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারি। তবে পুরাতন ব্যথার ক্ষেত্রে রেগুলার দুবেলা কুসুম গরম সেক নেয়া, শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করা, ব্যথানাশক যে কোন মলম নিতে নেয়া, পরিমিত পানি খাওয়া।

এছাড়া ভিটামিন ডি মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি থেকে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ব্লাড টেস্ট করে ভিটামিন ডি কনফার্ম করতে হবে। এছাড়া মিনারেল টেস্ট করে দেখতে হবে মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি হয়েছে কিনা তাহলে সেটা চিকিৎসা দিলে ঠিক হয়ে যাবে।

Read More

কোমর ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা

কোমর ব্যথা: কারণ, উপসর্গ এবং অপারেশনবিহীন চিকিৎসা

জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রত্যেকেই কোমর ব্যথায় ভুগেছেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা ২০০৪ সালে। কোমর ব্যথার অপারেশনবিহীন চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

কোমর ব্যথার কারণ

কোমর ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ইতিবাচক সাড়া মিললেও আধুনিক বিজ্ঞান কী বলছে এ চিকিৎসা নিয়ে, তা জানতে প্রশ্ন করা হয় ডিপিআরসি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের কাছে।

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান বলেন, “কোমর ব্যথা একটা কমন সমস্যা। কোনো কারণে যদি কোমরের রগে চাপ লাগে। কারণ কোমরের ডামি বা আমাদের মাজার নিচে সেকরাম ও কক্সসিস আছে। দুই হাড়ের মাঝখানে ডিস্ক থাকে। এগুলো বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পড়েগিয়ে আঘাত পেয়ে বা হাড় ক্ষয়ের কারণেও অনেক সময় ফেটে বের হয়ে আসতে পারে। যখন ডিস্ক বের হয়ে আসে তখন আমাদের নার্ভ বা স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। যখন নার্ভের ওপর চাপ পড়ে তখন কোমরে ব্যথা হতে পারে, পায়ে ব্যথা হতে পারে, পা অবশ লাগতে পারে, ঝিঁঝি হতে পারে অনেক সময় ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।”

ডা. মো. সফিউল্যাহ বলেন, “রোগীরা আমাদের কাছে পায়ের পাতার ঝিঁঝি নিয়ে আসে। তারা বলে কোমরে কোনো ব্যথা নেই। তখন এমআরআই বা বিভিন্ন ডায়াগনোসিস টুলস ব্যবহার করলে দেখা যায় কোমরের ডিস্ক প্রলাপ্স পাই। অনেক সময় ডিস্ক প্রলাপ্স ছাড়া আরেকটা সমস্যা হতে পারে। সেটা হলো হাড় সরে যাওয়া। একে আমরা ডাক্তারি ভাষায় স্পন্ডাইলোলিস্থেসিস বলে থাকি।”

তিনি জানান, অনেক সময় বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে কোমরে ব্যথা হতে পারে। টিবি ইনফেকশন থেকে কোমর ব্যথা হতে পারে। পিএলআইডি কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ।

কোমর ব্যথার চিকিৎসার জন্য করণীয়

ডিপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জানান, কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে যদি পায়ের পাতা ফুট ড্রপ হয়ে যায়, শক্তি কমে শুকিয়ে যায় সেটা রোগীর পেশা, বয়স, ওজন ও উচ্চতা পারিপার্শ্বিক হিসাব করে অনেককে সার্জারি করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

ডা. মো. সফিউল্যাহ বলেন, “৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ রোগী অপারেশনের ছাড়া সুস্থ হওয়া সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে খুব স্বল্প সময়ে ডাক্তারদের কাছে আসতে হবে।”

তিনি বলেন, “১৫ থেকে ২০ দিন বা দুই থেকে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অ্যাডভান্স রিহ্যাব চিকিৎসা করতে হবে।”

ডিপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জানান, সে ক্ষেত্রে ডিস্ক কম্প্রেশন থেরাপি, বিভিন্ন এক্সারসাইজ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, ইপিডুরাল থেরাপি, বিভিন্ন ম্যানুয়াল থেরাপির মাধ্যমে রোগীকে অপারেশনবিহীন সুস্থ করা সম্ভব।

কোমর ব্যথার প্রতিকার

কোমর ব্যথার কারণগুলোকে প্রিভেনশন করতে হবে। আসুন আমরা সচেতন হই কোমর ব্যথা হলেই বা সবক্ষেত্রেই অপারেশনের প্রয়োজন নেই। অপারেশনবিহীন অ্যাডভান্স চিকিৎসার মাধ্যমে কোমর ব্যথার অপারেশনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

Read More
ঘাড় ব্যথা এবং চিকিৎসা

যেসব কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং করণীয়

যেসব কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং করণীয়

পর্ব- ৩

প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ঘাড় ব্যথায় ভুগেছেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। ঘাড় ব্যথার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

ঘাড় ব্যথা আধুনিক যুগে একটা বড় সমস্যা। আমাদের প্রতিটি লোকই কেউ না কেউ, একেবারে বাচ্চা যে বাচ্চা কিছুটা কথা বোঝে বা বলতে পারে সেও একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আবার একেবারে গ্রামের প্রত্যন্ত কৃষক ও একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এই যে আমাদের ডিভাইসের ব্যবহার বিশেষ করে মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে ঘাড় ব্যথার পরিমাণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আমাদের ঠিক মাথার নিচের অংশ, ঘাড়, আসলে অনেকের ধারণা ঘাড় সোজা, ইংরেজি আই (I) অক্ষরের মতো। তা না, ঘাড়টা কিছুটা বাঁকা। এই যে সি (C) কার্ভটা, মূলত ঘাড় ব্যথার রোগীদের সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ঘাড়ের মাসেল পুল হতে পারে, মাংস টেনে ধরতে পারে। এটি হচ্ছে ঘাড় ব্যথার মূল কারণ।

যদি ঘাড়ে আঘাত পায়, খেলাধুলা করতে গেয়ে ঘাড়ে যদি আঘাত পায়, তা থেকে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তারপর কেউ যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন বা ঘাড়ে ক্যান্সারের মতো রোগ থাকে বা টিবি বা বিভিন্ন আর্থাইটিস যেটা আমরা বাতরোগ বলে থাকি। যেমন স্পন্ডাইলু আর্থপেটি বা স্পন্ডাইলু অ্যানকালোজিং স্পন্ডেলাইটিস, অন্যান্য আর্থাইটিস রোগ, বয়সজনিত হাড় ক্ষয়, বিভিন্ন ইনজুরি ঘাড় ব্যথার অন্যতম কারণ।

শোয়ার বালিশ যদি উঁচু বালিশ হয় বা একটা মানুষের যে পরিমাণ ওজন কেরি করার কথা তার চেয়ে বেশি ওজন ক্যারি করে, তখন ঘাড়ে ইনজুরি থেকে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। ঘাড়ের অ্যানাটোমিক্যাল স্ট্রাকচার যদি চেইঞ্জ হয়ে যায়, হাড় যদি সরে যায় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে যদি অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় হতে থাকে, তখন ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। মাথার বিভিন্ন সমস্যা থেকেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে, চোখের সমস্যা থেকেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় ঘাড় ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যেতে পারে, যেটা আমরা বলি ঘাড়ের ডিস্প্রলাস বা অনেক সময় ডাক্তাররা ঘাড়ের স্লিপডিস্ক বা বাংলাদেশে বলা হয় রগ চাপ খেয়েছে।

অনেক ঘাড়ে ব্যথা না হয়ে, হাতে হতে পারে, হাত অবশ লাগতে পারে, জিজি করা একেবারে কমন সমস্যা।

ঘাড় ব্যথার চিকিৎসার জন্য করণীয়

ঘাড় ব্যথার চিকিৎসাক্ষেত্রে যে কারণগুলো ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, এই কারণগুলো যদি আমরা অ্যাভয়েড করতে পারি, মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় সোজা হয়ে বসে মোবাইলটা হাতের উপরে নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। পেশাগত কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। শুধুমাত্র মোবাইল রিসিভের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাপটপের ব্যবহার কমাতে হবে বা পেশাগত কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার না করে ডেস্কটপ ব্যবহার করতে হবে। পাতলা নরম বালিশে শুতে হবে। কোনো ভারোত্তোলনের ক্ষেত্রে সাবধানে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। আমরা যখন বসে বসে কাজ করি, মাঝে মাঝে ঘাড়ের বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে।

তবে কারো যদি ঘাড় ব্যথা হয়ে যায়, তাহলে ঘাড়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে প্রয়োজন হলে ব্লাড টেস্ট, এক্সরে, এমআরই করে ডায়াগনোসিস করতে হবে। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগী আমরা অ্যাডভান্স রিহ্যাব ফিজিও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হতে পারি। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। তবে বেশিরভাগ রোগীর অপারেশন বিহীন এক্সারসাইজ বা রিহ্যাব ফিজিও বা হাসপাতাল থেকে বা এসে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারলে টানা কাজ বাদ দিয়ে একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। যদি আপনি একটা কাজ করছেন, সেটা বাদ দিয়ে আধা ঘণ্টা পর পর একটু উঠে যাওয়া, হাঁটা বা রিলাক্স হওয়া জরুরি।

অ্যারোবিক এক্সারসাইজ যেমন হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা জাতীয় ব্যায়ামগুলো ঘাড় ব্যথা, কিংবা যেকোনো মারাত্মক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

Read More

কোমর ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

কোমর ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা (পর্ব-১)

প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথায় ভুগেছেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। কোমর ব্যথার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

ডিপিআরসির পরামর্শ: আধুনিক বিজ্ঞান কী বলছে

কোমর ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ইতিবাচক সাড়া মিললেও আধুনিক বিজ্ঞান কী বলছে এ চিকিৎসা নিয়ে, তা জানতে প্রশ্ন করা হয় ডিপিআরসি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের কাছে।

“এ ক্ষেত্রে আর্লি এক্সারসাইজ বিষয়ে সার্জনেরাও আমাদের সাথে একমত, এছাড়া আর্লি এক্সারসাইজ থিমটা এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গ্রহণ করেছে।”

কোমর ব্যথার জন্য গবেষণার ফলাফল

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান বলেন, ‘কোমর ব্যথা বর্তমান বিশ্বে একটি বড় সমস্যা। তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমরের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেক সময় কোমর ব্যথা পায়ের দিকে চলে আসতে পারে। এরই সঙ্গে রোগীদের হাঁটা চলায় যদি ভুল থাকে তাহলে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় বিছানায় একাত ওকাত হতে গেলে কোমরে ব্যথা হয় এবং পায়ের রগ টেনে ধরে। এছাড়া অনেক সময় কোমরের ব্যথা তলপেট পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এরই সঙ্গে কোমরের সমস্যার জন্য আজকাল অনেকের দাম্পত্য জীবনের সমস্যা হয়, অনেকে চাকরি পর্যন্ত হারান।’

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত কোমরের সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্মে বা চলাফেরায় আমাদের করা ভুল ও বদ অভ্যাসগুলো। যেমন বেশিরভাগ মানুষই বসে কাজ করে আর ভুলভাবে বসে কাজ করা ক্ষতির কারণ হয়। এছাড়াও বসার ধরনের ভুল, শোবার ভুল, কাজের সময় সামনে ঝুঁকে কাজ করা ইত্যাদি কারণে কোমর ব্যথার তৈরি হতে পারে।

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান আরো জানান, আমাদের গ্রামগঞ্জের মা-বোনরা নিচে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারিবারিক কাজ করেন আর কৃষকরা যেসব কাজ করে সেখান থেকেও আঘাত পেয়ে কোমরের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

কোমর ব্যথার সঠিক চিকিৎসা

ডিপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে কোমর ব্যথার চিকিৎসা একেবারেই সহজ। কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে আমরা বলে যেটা থাকি প্রায় ৯০-৯৫ ভাগ রোগী অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হওয়া সম্ভব। কেউ যদি দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।

তিনি জানান, কোমর ব্যথার বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি চিকিৎসকরা এখন বলছেন, ব্যথার কারণগুলো খুঁজে বের করা, এক্সারসাইজ করা এবং নিয়মিত ওজন মেইনটেইন করা, পরিমিত পানি খাওয়া বাধ্যতামূলক। এসব নিয়ম ও শোয়ার অভ্যাস ঠিক করলে অনেকাংশে কোমর ব্যথার রোগীরা ভালো হয়ে যায়।

‘বেশিরভাগ রোগী যদি আমরা কনফার্ম ডায়াগনোসিস করি। কোমরে ব্যথার জন্য হাসপাতালে অ্যাডভান্স রিহ্যাব-ফিজিও চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।’

চিকিৎসক হিসেবে আমার পরামর্শ থাকবে কোমর ব্যথায় কষ্ট না পেয়ে রোগীকে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

Read More
কোমর ব্যথার চিকিৎসা

কোমরব্যথা: পিছনের সম্ভাব্য কারণসমূহ

কোমরব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত কষ্টকর সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন পেশির চাপ, হাড়ের দুর্বলতা, কিংবা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা। নিচে কোমরব্যথার সম্ভাব্য কারণগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

কোমরব্যথার পিছনের সম্ভাব্য কারণসমূহ

কোমর ব্যথার কারণ

  • অ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing Spondylitis): এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ যা মেরুদণ্ডকে ধীরে ধীরে শক্ত করে তোলে।
  • স্পোন্ডাইলোলিস্থেসিস (Spondylolisthesis): একটি ভার্টিব্রা (কশেরুকা) অন্যটির ওপরে স্লিপ করে যায়, যা তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • পাইরিফরমিস সিন্ড্রোম (Piriformis Syndrome): পাইরিফরমিস মাংসপেশি সায়াটিক নার্ভকে চেপে ধরে, ফলে তলপেট এবং পায়ের ব্যথা হয়।
  • ডিস্ক প্রলাপ্স (Disc Prolapse): মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরতে গিয়ে নার্ভে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে তীব্র ব্যথা হয়।
  • সায়াটিকা (Sciatica): সায়াটিক নার্ভের উপর চাপ পড়ার কারণে পিঠ থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
  • স্পাইনাল টিবি (Pott’s Disease): মেরুদণ্ডে টিউবারকুলোসিসের (টিবি) সংক্রমণ, যা হাড়ের ক্ষয় এবং ব্যথা সৃষ্টি করে।
  • ভার্টিব্রাল ফ্র্যাকচার (Vertebral Fracture): মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে গেলে তা তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে।

ডাঃ মোঃ সফিউল্লাহ প্রধান
বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস, পঙ্গুত্ব, আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক, আইআইএইসএস এবং কনসালটেন্ট, ডিপিআরসি

DPRC-এর সেবা

Dhaka Pain Physiotherapy Rehabilitation Center (DPRC Hospital & Diagnostic Lab) কোমরব্যথা নিরাময়ে অত্যাধুনিক চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করে। এখানে দক্ষ বিশেষজ্ঞ এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।

যোগাযোগ করুন
📞 09666774411, 01997702001, 01997702002, 01716306913, 01732200697
🌐 আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন

ঠিকানা:
১২/১ রিং রোড (শ্যামলী ক্লাব মাঠের বিপরীতে), শ্যামলী, ঢাকা।

সতর্কতা ও সচেতনতা

কোমর ব্যথাকে অবহেলা করবেন না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিন এবং ফিজিওথেরাপি সেবার মাধ্যমে আপনার দৈনন্দিন জীবন সহজ এবং ব্যথামুক্ত করুন।

#কোমরব্যথা #ফিজিওথেরাপি #DPRC #স্বাস্থ্যসেবা

Read More