Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: ব্যায়াম

ঘাড় ব্যথা এবং চিকিৎসা

যেসব কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং করণীয়

যেসব কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং করণীয়

পর্ব- ৩

প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ঘাড় ব্যথায় ভুগেছেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। ঘাড় ব্যথার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

ঘাড় ব্যথা আধুনিক যুগে একটা বড় সমস্যা। আমাদের প্রতিটি লোকই কেউ না কেউ, একেবারে বাচ্চা যে বাচ্চা কিছুটা কথা বোঝে বা বলতে পারে সেও একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আবার একেবারে গ্রামের প্রত্যন্ত কৃষক ও একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এই যে আমাদের ডিভাইসের ব্যবহার বিশেষ করে মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে ঘাড় ব্যথার পরিমাণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আমাদের ঠিক মাথার নিচের অংশ, ঘাড়, আসলে অনেকের ধারণা ঘাড় সোজা, ইংরেজি আই (I) অক্ষরের মতো। তা না, ঘাড়টা কিছুটা বাঁকা। এই যে সি (C) কার্ভটা, মূলত ঘাড় ব্যথার রোগীদের সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ঘাড়ের মাসেল পুল হতে পারে, মাংস টেনে ধরতে পারে। এটি হচ্ছে ঘাড় ব্যথার মূল কারণ।

যদি ঘাড়ে আঘাত পায়, খেলাধুলা করতে গেয়ে ঘাড়ে যদি আঘাত পায়, তা থেকে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তারপর কেউ যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন বা ঘাড়ে ক্যান্সারের মতো রোগ থাকে বা টিবি বা বিভিন্ন আর্থাইটিস যেটা আমরা বাতরোগ বলে থাকি। যেমন স্পন্ডাইলু আর্থপেটি বা স্পন্ডাইলু অ্যানকালোজিং স্পন্ডেলাইটিস, অন্যান্য আর্থাইটিস রোগ, বয়সজনিত হাড় ক্ষয়, বিভিন্ন ইনজুরি ঘাড় ব্যথার অন্যতম কারণ।

শোয়ার বালিশ যদি উঁচু বালিশ হয় বা একটা মানুষের যে পরিমাণ ওজন কেরি করার কথা তার চেয়ে বেশি ওজন ক্যারি করে, তখন ঘাড়ে ইনজুরি থেকে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। ঘাড়ের অ্যানাটোমিক্যাল স্ট্রাকচার যদি চেইঞ্জ হয়ে যায়, হাড় যদি সরে যায় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে যদি অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় হতে থাকে, তখন ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। মাথার বিভিন্ন সমস্যা থেকেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে, চোখের সমস্যা থেকেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় ঘাড় ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যেতে পারে, যেটা আমরা বলি ঘাড়ের ডিস্প্রলাস বা অনেক সময় ডাক্তাররা ঘাড়ের স্লিপডিস্ক বা বাংলাদেশে বলা হয় রগ চাপ খেয়েছে।

অনেক ঘাড়ে ব্যথা না হয়ে, হাতে হতে পারে, হাত অবশ লাগতে পারে, জিজি করা একেবারে কমন সমস্যা।

ঘাড় ব্যথার চিকিৎসার জন্য করণীয়

ঘাড় ব্যথার চিকিৎসাক্ষেত্রে যে কারণগুলো ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, এই কারণগুলো যদি আমরা অ্যাভয়েড করতে পারি, মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় সোজা হয়ে বসে মোবাইলটা হাতের উপরে নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। পেশাগত কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। শুধুমাত্র মোবাইল রিসিভের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাপটপের ব্যবহার কমাতে হবে বা পেশাগত কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার না করে ডেস্কটপ ব্যবহার করতে হবে। পাতলা নরম বালিশে শুতে হবে। কোনো ভারোত্তোলনের ক্ষেত্রে সাবধানে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। আমরা যখন বসে বসে কাজ করি, মাঝে মাঝে ঘাড়ের বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে।

তবে কারো যদি ঘাড় ব্যথা হয়ে যায়, তাহলে ঘাড়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে প্রয়োজন হলে ব্লাড টেস্ট, এক্সরে, এমআরই করে ডায়াগনোসিস করতে হবে। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগী আমরা অ্যাডভান্স রিহ্যাব ফিজিও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হতে পারি। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। তবে বেশিরভাগ রোগীর অপারেশন বিহীন এক্সারসাইজ বা রিহ্যাব ফিজিও বা হাসপাতাল থেকে বা এসে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারলে টানা কাজ বাদ দিয়ে একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। যদি আপনি একটা কাজ করছেন, সেটা বাদ দিয়ে আধা ঘণ্টা পর পর একটু উঠে যাওয়া, হাঁটা বা রিলাক্স হওয়া জরুরি।

অ্যারোবিক এক্সারসাইজ যেমন হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা জাতীয় ব্যায়ামগুলো ঘাড় ব্যথা, কিংবা যেকোনো মারাত্মক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

Read More