Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts Tagged: ফিজিওথেরাপি

হাঁটু ক্ষয় হয় কেনো? এবং চিকিৎসা






হাঁটু ক্ষয় হয় কেনো? এবং চিকিৎসা | Osteoarthritis | Dr.Md.Shafiullah Prodhan


হাঁটু ক্ষয় হয় কেনো? এবং চিকিৎসা

জীবনের কোনো না কোনো সময় হাঁটু ব্যথা সবাইকেই ভোগায়। বিশেষ করে যাদের বয়স চল্লিশের ওপর তারা হাঁটু ব্যথায় বেশি ভোগেন। এতে হাঁটা-চলাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো করাও কঠিন হয়ে যায়। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য হাঁটুব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রইল কিছু পরামর্শ- অনেক রোগীর ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়াও দেখা যায়। হাঁটুকে চিকিৎসার ভাষায় ‘জেনু’ বলা হয়। কিছুক্ষেত্রে হাঁটুতে এমন জেনু ভেরাস বা জেনু ডিফর্মিটি দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হাঁটুব্যথা থেকে কোমর ব্যথাও দেখা দিতে পারে।

হাঁটুর গঠন হয়েছে মূলত তিনটি অংশ মিলে। উপরেরটি হচ্ছে ফিমার, নিচেরটি টিবিয়া এবং সামনের অংশের নাম প্যাটেলা। হাঁটুর ভিতরের পানিকে বলা হয় সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। আমাদের যে কারণে হাঁটুর অপারেশন প্রয়োজন হয় বা রোগী বাধ্য হয় সেটার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের মাঝে হাঁটুর সমস্যা নিয়ে জনসচেতনতা তেমন নেই। হাঁটুব্যথা যে কারণেই হোক না কেন, রোগী যদি ব্যথার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করেন তাহলে অধিকাংশ সময় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। তবে হাঁটুব্যথার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানুষ কিছু ভুল করে থাকে। যেমন ব্যথা হলেই চেয়ারে বসে কাজ করা, হাঁটা চলা কমিয়ে দেওয়া, সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা না করা ইত্যাদি। এগুলো আসলে ভ্রান্ত ধারণা।

মানুষ হচ্ছে মুভমেন্ট করা প্রাণী। হাঁটা চলাফেরা এগুলো আমাদের করতে হয়। এজন্য দরকার আমাদের জনসচেতনতা। হাঁটুর ব্যথা ট্রিটমেন্ট না করলে রোগীর ভিতরে ইনফেকশন হয় পরে প্রদাহ হতে হতে হাঁটু জোড়া ক্ষয় হয়। দেখা যায় অনেক সময় এই সমস্যা কারণে পা বেঁকে যেতে পারে। অনেক হাঁটুর সামনে যে মাসেল এবং লিগামেন্ট থাকে দুর্বল হয়ে পড়ে একপর্যায়ে শক্তি হারিয়ে ফেলে হাঁটু। ব্যথা হলে আমাদের যেটা করতে হবে যে এটার সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। বিভিন্ন এক্সারসাইজ করতে হবে। তাহলে অনেক ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হবে না। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হয়, বিভিন্ন ইলেকট্রো ফিজিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। অন্যদিকে পিআরপি থেরাপি, বিভিন্ন ইলেকট্রো চিকিৎসা এগুলো আধুনিক চিকিৎসার অংশ। যে কারণে হাঁটুর সমস্যাটা হলো সেটা যদি আমরা প্রিভেনশন করতে পারি তাহলে কিন্তু হাঁটুর অপারেশনের প্রয়োজন পড়বে না।

কেন হাঁটুর সমস্যাটা হলো তা স্পেসিফিক ডায়াগনোসিস করে বের করতে হবে। ব্যথা হলে, হাঁটু ফুলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করা যাবে না। অনেক সময় অপারেশন করতে হতে পারে যদি সিবিআর আর্থ্রাইটিস হয়। এ ছাড়া একেবারে ডিজেবল এবং রোগীর বয়স, পেশা এগুলো সব সমন্বয় করে অপারেশনের প্রয়োজন- তখন হয়তো অপারেশনের প্রয়োজন হবে। তাই এ বিষয়ে সচেতন ও যত্নবান হতে হবে।



Read More
plid treatment

PLID বা Disc Prolapse কীভাবে বুঝবেন | লক্ষণ ও চিকিৎসা










PLID বা Disc Prolapse কীভাবে বুঝবেন | লক্ষণ ও চিকিৎসা


📊 গবেষণার তথ্য:
বর্তমানে বাংলাদেশে ডিস্ক প্রলাপ্স রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি মূলত মেরুদণ্ডের দুই কশেরুকার মাঝখানের কার্টিলেজ জাতীয় ডিস্ক এর সমস্যা। ডিস্কের ভিতরের অংশ “নিউক্লিয়াস পালপোসাস” জেলির মতো নরম, আর বাইরের অংশ “অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস” শক্ত। আঘাত, ভুলভাবে ভারি জিনিস তোলা, মেরুদণ্ডে চাপ পড়া ইত্যাদি কারণে এই ডিস্ক বের হয়ে নার্ভে চাপ সৃষ্টি করে।

🎯 সাধারণত দেখা যায়:
লাম্বার: L4/L5, L5/S1
সারভাইকেল: C4/C5, C5/C6

PLID Illustration

🔍 লক্ষণসমূহ:

  • কোমর ব্যথা, যা পায়ে ছড়ায়
  • পায়ে অবশভাব বা ঝিনঝিন ভাব
  • হাঁটার সময় পায়ে দুর্বলতা
  • দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটলে ব্যথা বেড়ে যায়
  • প্রস্রাব বা পায়খানা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা
  • পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া
  • পা প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে

✅ চিকিৎসা:

গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ ডিস্ক প্রলাপ্স রোগী অপারেশন ছাড়াই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ ক্ষেত্রে আধুনিক অ্যাডভান্স ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ট্রিটমেন্ট বেশ কার্যকর।

🔒 এতে করে অপারেশনের ঝুঁকি এড়িয়ে চিকিৎসা সম্ভব হয়। তবে রোগীকে ২-৪ সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়। চিকিৎসাকালীন সময়ে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয় এবং কোনো রকম অপ্রয়োজনীয় মুভমেন্ট একেবারেই নিষিদ্ধ।

💪 চিকিৎসা শেষে:

রোগীকে নির্দিষ্ট এক্সারসাইজ প্রতিদিন ২-৩ বার করে তিন মাস চালিয়ে যেতে হয় এবং পসচারাল এডুকেশন মেনে চলতে হয়।

🎥 ভিডিও দেখুন:

ডিস্ক প্রলাপ্স প্রতিরোধের উপায় কী?

পি এল আই ডি (PLID) রোগটি কী? ও চিকিৎসা

⚠ সতর্কতা:

  • সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।
  • দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাফেরা বন্ধ রাখতে হবে।
  • ভারি জিনিস তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • সাধারণ ব্যায়ামও বন্ধ রাখতে হবে।
  • নরম খাবার গ্রহণ করতে হবে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।
  • প্রচুর পানি পান করতে হবে।

✍️ ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস), বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ (এক্স)
কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)


Read More

অস্টিওপোরোসিস কী ধরনের রোগ






অস্টিওপোরোসিস

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত একটা রোগ অস্টিওপোরোসিস। অস্থির বৃদ্ধির জন্য চাই ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের এ রোগটা হয়ে থাকে। যেসব বয়স্ক পুরুষ বহুদিন যাবৎ স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করেন তাদের এবং মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পর এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তা ছাড়া যারা অলস জীবনযাপন করে, পরিশ্রম কম করে তাদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যারা অনেক দিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ভোগে তাদেরও এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অস্টিওপোরোসিস এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বয়স্ক মানুষের মধ্যে হাড় ভাঙার সবচেয়ে সাধারণ কারণ এটি। যে হাড় সাধারণত বেশি ভাঙে, তা হলো মেরুদণ্ডের মধ্যে কশেরুকার হাড়, হাতের হাড়, এবং কোমরের হাড়। হাড় না ভাঙা পর্যন্ত সাধারণত কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। হাড় এতটাই দুর্বল হয়ে যেতে পারে যে, সামান্য জোর দিলে বা এমনিই ভেঙে যায়। হাড় ভাঙলে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হতে পারে এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। স্বাভাবিক সর্বোচ্চ হাড়ের ভরের তুলনায় কম ভর, এবং স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হাড়ের ক্ষয়ের কারণে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। রজর্নিবৃত্তির পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। নানা রকম অসুখ ও চিকিৎসা, যথা মদকাসক্তি, ক্ষুধাহীনতা, থাইরয়েড গ্রন্থির অতি সক্রিয়তা, কিডনি রোগ এবং অস্ত্রোপচার করে ডিম্বাশয় অপসারণের কারণেও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধ, যেমন, খিঁচুনি নিবারক ওষুধ, কর্কট রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু মিশ্র রাসায়নিক ওষুধ, পাকস্থলির অম্ল নিবারক মিশ্র, অতিরিক্ত বিষণ্নতা কাটানোর ওষুধ এবং নিজ শরীরের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আক্রমণকারী অস্বাভাবিক কিছু অসুখের ওষুধ হাড়ের ক্ষয়ের হার বৃদ্ধি করে। ধূমপান এবং খুব কম শারীরিক পরিশ্রমও ক্ষতির কারণ। তাই এসব বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

লেখক: ড. মো. সফিউল্যাহ প্রধান
ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।


Read More

পায়ের পাতা ও গোড়ালি ব্যথায় করণীয় | ডিপিআরসি









পায়ের পাতা ও গোড়ালি ব্যথায় করণীয় | ডিপিআরসি

পায়ের পাতা ও গোড়ালি ব্যথায় করণীয়

লেখক: মো. সফিউল্যাহ প্রধান, রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস), ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।

পায়ের ব্যথার গুরুত্ব

মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার পা নেই সেই বুঝে পায়ের মর্মকথা। আর যাদের পা থেকেও সঠিকভাবে হাঁটা চলাফেরা করতে পারছেন না তাদের জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ।

পায়ের গোড়ালির ব্যথা এখন কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে হাঁটাচলার সময় প্রায়ই ব্যথা অনুভব করেন।


ব্যথার কারণ

  1. প্লান্টার ফ্যাসাইটিস
  2. রিট্রোক্যালকেনিয়াল স্পার
  3. টারসাল টানেল সিনড্রোম
  4. আঘাত জনিত কারণ
  5. অস্বাভাবিক পায়ের আকৃতি
  6. অতিরিক্ত ওজন
  7. মধ্য/পার্শ্বিক নার্ভ বাধাপ্রাপ্ত হওয়া
  8. দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে কাজ করা
  9. দীর্ঘদিন হাই হিল বা শক্ত সোলের জুতা ব্যবহার করা
  10. ফ্ল্যাট ফুট
  11. টিউমার এবং সিস্ট
  12. কখনো কখনো ইউরিক অ্যাসিড বাড়তি থাকার কারণেও গোড়ালি ব্যথা হতে পারে।

লক্ষণ

  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হবে। সাধারণত হাঁটলে সেটা আরও বেড়ে যায়।
  • গোড়ালি কখনো কখনো ফুলে যেতে পারে।
  • খালি পায়ে শক্ত জায়গায় হাঁটলে সাধারণত ব্যথা বেশি বাড়ে।
  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা সকালে বেশি থাকে এবং তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু কমে আসে।
  • অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসার পর পা ফেলতে কষ্ট হয়।
  • কখনো কখনো গোড়ালি শক্ত মনে হয়।
  • আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে ও গরম অনুভব হয়।
  • পায়ের পাতা একটু অবশ বা প্যারালাইসিস ভাব হয়।

রোগ নির্ণয়

রোগ নির্ণয় জরুরি, চিকিৎসার প্রথম শর্ত সঠিক রোগ নির্ণয়।

  • রক্ত পরীক্ষা
  • এক্স-রে
  • এমআরআই
  • হাড়ের স্ক্যান

চিকিৎসা

  1. জীবনধারা পরিবর্তন।
  2. খালি পায়ে হাঁটা নিষেধ।
  3. সঠিক মাপের জুতা পরিধান করা, নরম সোল ব্যবহার করা, হিল কুশন, হিল প্যাড, ইনসোল ফুট ব্যবহার, আর্চ সাপোর্ট দেওয়া।
  4. শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা।
  5. চিকিৎসকের নির্দেশমতো পায়ের ব্যায়াম নিয়মিত করা।
  6. কুসুম গরম পানিতে দুই বেলা পা ডুবিয়ে রাখা।
  7. নতুন ব্যথায় ঠান্ডা সেক কার্যকরী।
  8. গোড়ালি ব্যথায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকরী ও নিরাপদ চিকিৎসা।

সচেতন হয়ে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের শরণাপন্ন হন।

ডিপিআরসি শ্যামলী, ঢাকা


Read More
অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস: একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়।
রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোনো জয়েন্ট, যেমন হিপ জয়েন্টের
কাছাকাছি হয়, তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এ অবস্থা যে কোনো হাড়ে হতে পারে, তবে সাধারণত এটি
লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় ঘটে। এটি একটি হাড়, একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয়গ্রস্ত
করতে পারে।

কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারে

  • গোড়ালি
  • চোয়ালে
  • হাঁটুতে
  • হাতের হিউমেরাস ও কাঁধের জয়েন্টে
  • পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণ

  • কোনো কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে
  • জয়েন্ট ভেঙে গেলে
  • কোনো কারণে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে
  • দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ সেবন করলে
  • দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান করলে
  • ডায়াবেটিস বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হলে
  • রক্তের রোগ (যেমন: সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া)
  • র‌্যাডিয়েশনের বা কেমোথেরাপির কারণে
  • এইচআইভি/এইডস রোগের জন্য
  • অটো ইমিউন রোগের জন্য
  • হাইপার লিপিডেমিয়া বা হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে
  • প্যানক্রিয়াটাইটিস, গাউচার রোগ, সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস
  • কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
  • জয়েন্ট ডিসলোকেশন

রোগের লক্ষণ

  • হাঁটাচলা করার সময় ব্যথা লাগা
  • পায়ে টান লাগা
  • সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা
  • দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা
  • হাঁটু ভেঙে বসতে না পারা
  • আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া
  • কুঁচকিতে, ঊরুতে, নিতম্বে ব্যথা হওয়া
  • বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া
  • ক্রস পায়ে বসতে না পারা

রোগ নির্ণয়

  • এক্স-রে
  • এমআরআই
  • সিটি স্ক্যান
  • হাড়ের স্ক্যান
  • বায়োপসি
  • হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা

চিকিৎসা

নন-সার্জিক্যাল চিকিৎসা

  • আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক
  • কিছু নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ
  • ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
  • পুনর্বাসন এবং বিশ্রাম

সার্জিক্যাল চিকিৎসা

  • কোর ডিকম্প্রেশন (Core Decompression)
  • হাড় গ্র্যাফটিং (Bone Grafting)
  • অস্টিওটমি (Osteotomy)
  • সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন (Total Hip Joint Replacement)

জটিলতা

চিকিৎসা করা না হলে এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে। অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে
হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়, ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোনো লক্ষণ প্রকাশ
পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালট্যান্ট

ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা

Read More
পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান

পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান









পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান

পা মানবশরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার পা নেই, সেই বুঝে পায়ের মর্মকথা। আর যাদের পা থেকেও সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না, তাদের জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ।

সেলিম রহমান একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন কোমরব্যথায় ভুগছিলেন। নিয়মিত চিকিৎসা ও চিকিৎসকের নির্দেশমতো ব্যায়াম করে ভালোই ছিলেন। কিন্তু ইদানীং ঘুম থেকে উঠে ফ্লোরে পা রাখতেই পায়ের তলায় তীব্র ব্যথা হয়। আবার অনেকক্ষণ চেয়ারে বসে থাকার পর উঠে দাঁড়াতেই পায়ের তলায় তীব্র ব্যথা হয়। একটু হাঁটাহাঁটি করলে ব্যথা কিছুটা কমে আসে।

সেলিম রহমান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জানতে পারলেন তার প্লান্টার ফ্যাসাইটিস হয়েছে।

মানবদেহে পায়ের গোড়ালিতে যেসব কারণে ব্যথা হয় তার মধ্যে প্লান্টার ফ্যাসাইটিসই অন্যতম। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে পায়ের তলায় স্পার বা কাঁটার মতো হাড় বৃদ্ধি পায়। এটাকে ডাক্তারি ভাষায় ক্যালকেনিয়াল স্পার বলা হয়।

পায়ের গোড়ালিতে ব্যথার অন্যান্য কারণ

  • পায়ের হাড় ভেঙে গেলে
  • গেটেবাত
  • ওস্টিওমাইলাইটিস
  • স্পন্ডাইলো আথোপ্যাথি
  • বার্সাইটিস
  • টেনডিনাইটিস
  • রিট্রোক্যালকেনিয়াল স্পার
  • স্পোর্টস ইনজুরি
  • হেমার টো
  • মটনস নিউরোমা
  • নার্ভের প্রদাহ
  • ডায়াবেটিস
  • কেলুলেসতার কারণে পায়ের গঠনগত ভুল

ব্যথা বাড়ার লক্ষণ

  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হবে। সাধারণত হাঁটলে সেটা আরও বেড়ে যায়।
  • গোড়ালি কখনো কখনো ফুলে যেতে পারে।
  • খালি পায়ে শক্ত জায়গায় হাঁটলে ব্যথা বেশি হয়।
  • পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা সকালে বেশি থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে।
  • অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসার পর উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়।
  • কখনো কখনো গোড়ালি শক্ত মনে হয়।
  • আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে ও গরম অনুভূত হয়।
  • পায়ের পাতা একট অবশ বা প্যারালাইসিসের ভাব হয়।

পায়ের পাতা ব্যথার কারণ ও সমাধান

এর চিকিৎসা

রোগ নির্ণয় সঠিক চিকিৎসার প্রথম শর্ত। তাই অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্রাথমিক চিকিৎসা

  • বিশ্রাম
  • ঠান্ডা সেক
  • কম্প্রেশন
  • পা উঁচু করে রাখা

অন্যান্য চিকিৎসা

  • নির্দিষ্ট ওষুধ এবং সাপ্লিমেন্ট
  • নরম সোলের জুতা ব্যবহার
  • হিল কুশন এবং আর্চ সাপোর্ট
  • গোড়ালির কাছে ছিদ্রযুক্ত জুতা
  • ক্যালকেনিয়াল স্পার থাকলে অপারেশন না করা

ব্যায়াম

চিকিৎসকের নির্দেশমতো পায়ের ব্যায়াম নিয়মিত করুন।

ঘরোয়া সমাধান

প্রতিদিন ১০ মিনিট কুসুম গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন।

লেখক: ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান বাত, ব্যথা ও প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ

ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা


Read More
হাঁটু ক্ষয় রোগের চিকিৎসা ও করণীয়

হাঁটু ক্ষয় রোগের চিকিৎসা ও করণীয়







জীবনের কোনো না কোনো সময় হাঁটু ব্যথা সবাইকেই ভোগায়। বিশেষ করে যাদের বয়স চল্লিশের ওপর তারা হাঁটু ব্যথায় বেশি ভোগেন। এতে হাঁটা-চলাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো করাও কঠিন হয়ে যায়। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই হাঁটুব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রইল কিছু পরামর্শ- অনেক রোগীর ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়াও দেখা যায়। হাঁটুকে চিকিৎসার ভাষায় ‘জেনু’ বলা হয়। কিছুক্ষেত্রে হাঁটুতে এমন জেনু ভেরাস বা জেনু ডিফর্মিটি দেখা দিতো পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হাঁটুব্যথা থেকে কোমর ব্যথাও দেখা দিতে পারে। হাঁটুর গঠন হয়েছে মূলত তিনটি অংশ মিলে। উপরেরটি হচ্ছে ফিমার, নিচেরটি টিবিয়া এবং সামনের অংশের নাম প্যাটেলা। হাঁটুর ভেতরের পানিকে বলা হয় সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। আমাদের যে কারণে হাঁটুর অপারেশন প্রয়োজন হয় বা রোগী বাধ্য হয় সেটার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের মাঝে হাঁটুর সমস্যা নিয়ে জনসচেতনতা তেমন নেই। হাঁটুব্যথা যে কারণেই হোক না কেন, রোগী যদি ব্যথার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করেন তাহলে অধিকাংশ সময় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। তবে হাঁটুব্যথার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানুষ কিছু ভুল করে থাকে। যেমন ব্যথা হলেই চেয়ারে বসে কাজ করা, হাঁটা চলা কমিয়ে দেওয়া, সিঁড়ি ওঠানামা না করা ইত্যাদি। এগুলো আসলে ভ্রান্ত ধারণা।

“যদি ব্যথার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করা যায়, অধিকাংশ সময় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না।”

মানুষ হচ্ছে মুভমেন্ট করা প্রাণী। হাঁটা চলাফেরা এগুলো আমাদের করতে হয়। এজন্য দরকার আমাদের জনসচেতনতা। হাঁটুর ব্যথা ট্রিটমেন্ট না করলে রোগীর ভিতরে ইনফেকশন হয় পরে প্রদাহ হতে হতে হাঁটু জোড়া ক্ষয় হয়। দেখা যায় অনেক সময় জনগণের পক্ষে এই সমস্যা কারণে পা বেঁকে যেতে পারে। অনেক হাঁটুর সামনে যে মাসেল এবং লিগামেন্ট থাকে দুর্বল হয়ে পড়ে একপর্যায়ে শক্তি হারিয়ে ফেলে হাঁটু। ব্যথা হলে আমাদের যেটা করতে হবে যে এটার সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। বিভিন্ন এক্সারসাইজ করতে হবে। তাহলে অনেক ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হবে না। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হয়, বিভিন্ন ইলেকট্রো ফিজিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। অন্যদিকে পিআরপি থেরাপি, বিভিন্ন ইলেকট্রো চিকিৎসা এগুলো আধুনিক চিকিৎসার অংশ। যে কারণে হাঁটুর সমস্যাটা হলো সেটা যদি আমরা প্রিভেনশন করতে পারি তাহলে কিন্তু হাঁটুর অপারেশনের প্রয়োজন পরবে না। কেন হাঁটুর সমস্যাটা হলো তা স্পেসিফিক ডায়াগনোসিস করে বের করতে হবে। ব্যথা হলে, হাঁটু ফুলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করা যাবে না। অনেক সময় অপারেশন করতে হতে পারে যদি সিবিআর আর্থাইটিস হয়। এ ছাড়া একেবারে ডিজেবল এবং রোগীর বয়স, পেশা এগুলো সব সমন্বয় করে অপারেশনের প্রয়োজন- তখন হয়তো অপারেশনের প্রয়োজন হবে। তাই এ বিষয়ে সচেতন ও যত্নবান হতে হবে।

লেখক: মো. সফিউল্যাহ প্রধান
ফিজিওথেরাপি ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট, ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।


Read More
বেলস পলসি: মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ, লক্ষণ ও দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা

বেলস পলসি: মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ, লক্ষণ ও দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা

“বেলস পলসি বা মুখ বেকে যাওয়া লজ্জা নয়, দ্রুত চিকিৎসা কি?”

রোজিনা (ছদ্ম নাম), বয়স ২০ বছর, পেশায় একজন গৃহিণী। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলেন, তার এক চোখ বন্ধ হচ্ছে না, মুখে পানি নিলে তা গড়িয়ে পড়ছে, এবং গাল ফুলানো যাচ্ছে না। এই সমস্যার কারণ? এটি হতে পারে বেলস পলসি বা ফেসিয়াল প্যারালাইসিস। এটি কোনো রোগীর মুখের মাংসপেশীর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারানোর ফলাফল।

বেলস পলসি কী?

মানুষের মুখের মাংসপেশী একটি জটিল কাঠামো, যা ফেসিয়াল নার্ভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফেসিয়াল নার্ভের প্রদাহ বা আঘাতজনিত সমস্যার কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে। ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেলস পলসির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ভাইরাস সংক্রমণ (যেমন হার্পিস, রুবেলা, মাম্পস)
  • ঠান্ডা লাগা বা আঘাতজনিত সমস্যা
  • মস্তিষ্কে স্ট্রোক
  • ফেসিয়াল টিউমার
  • ডায়াবেটিস বা শ্বাসযন্ত্রের রোগ

লক্ষণ:

  • চোখ বন্ধ করতে না পারা
  • কপাল কুচকাতে না পারা
  • ঠোঁট চেপে ধরা বা গাল ফুলাতে না পারা
  • মুখ একপাশে বেকে যাওয়া

চিকিৎসা:

ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বেলস পলসির মূল চিকিৎসা। আক্রান্ত হলে নিউরো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ (যেমন স্টেরয়েড, ভিটামিন) সেবন এবং ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। ফিজিওথেরাপি পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশন, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, এবং বিভিন্ন ব্যায়াম রোগীদের জন্য উপকারী।

ব্যায়াম:

  • জোর করে চোখ বন্ধ করার চেষ্টা
  • শিস বাজানোর চেষ্টা
  • ঠোঁট চেপে ধরে গাল ফুলানো
  • কপাল কুচকানো
  • আক্রান্ত গালে আলতোভাবে ম্যাসাজ করা

চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়িয়ে চলা এবং বিশেষভাবে খাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি গ্রহণে রোগীরা আরোগ্য লাভ করেন।

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
পেইন, প্যারালাইসিস ও রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)
১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা।
ফোন: 09666774411

Read More

হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা | Dr. MD. Shafiullah Prodhan । DPRC | Ekhon TV









হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা | ডিপিআরসি

হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা

পর্ব: ১০

জীবনের কোনো না কোনো সময় হাঁটু ব্যথা সবাইকেই ভোগায়। বিশেষ করে যাদের বয়স চল্লিশের উপরে তারা হাঁটু ব্যথায় বেশি ভোগেন। এতে হাটা-চলাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো করাও কঠিন হয়ে যায়। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই হাঁটু ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা ২০০৪ সালে।

তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের (ডিপিআরসি) বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

অনেক রোগীর ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়াও দেখা যায়। যাকে চিকিৎসার ভাষায় ‘জেনু’ বলা হয়। কিছুক্ষেত্রে হাঁটুতে এমন জেনু ভেরাস বা জেনু ডিফর্মিটি দেখা দিতে পারে।…

উপসংহার

অপারেশন ছাড়াই হাঁটু ব্যথার সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব। এজন্য প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা সনাক্ত করা এবং সঠিক এক্সারসাইজ, থেরাপি ও চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা মুক্ত জীবন যাপন করা সম্ভব।


Read More

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

পর্ব: ৮

মাংসপেশির ব্যথা বা মায়ালজিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক কার্যকলাপ বা ভারী পরিশ্রম করলে, যেমন দৌড়, ম্যারাথন কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়ামে মাংসপেশিতে চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে। শারীরিক আঘাত, যেমন পড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনায় মাংসপেশিতেও আঘাত লাগে এবং ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

মাংসপেশির ব্যথা একটা কমন সমস্যা। বিশেষ করে ঘাড়ের মাংসপেশির ব্যথা, পিঠের মাংসপেশির ব্যথা, কোমরের মাংসপেশির ব্যথা, অনেকের হাত-পা ব্যথা একটা কমন মাংসপেশির সমস্যা।

মাংসপেশির ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে যারা ডেস্ক জব, বসে বসে কাজ, কম্পিউটার বা সামনে ঝুঁকে ঝুঁকে কাজ করা, লেখালেখির কাজ যারা করেন তাদের মাংসপেশির ব্যথা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে পেশিতে ওভার স্ট্রেস নেয়া।

এছাড়া বিদেশে প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইনজুরি তা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ডায়াবেটিস জনিত সমস্যার ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

একটা সুস্থ মানুষের প্রতিদিন পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লিটার আর মহিলাদের ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খেতে হয়। পানির অভাবে অনেক সময় মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

মাথাব্যথা মাংসপেশির সমস্যা থেকে হতে পারে। সাধারণত বিছানার কারণে হতে পারে বা কাজের ওভার স্ট্রেস থেকে হতে পারে।

পুরাতন আঘাত থেকে এই সমস্যা হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে হতে পারে। তারপরে অত্যধিক পরিশ্রমের মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

বিভিন্ন অ্যালকোহল, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, প্রসেস ফুড বডিতে প্রদা হয় তা থেকে কিছু মানুষ বেশি ব্যথা দেখা দিতে পারে। আরও অনেক কারণে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

রোগ নির্ণয় না করে মাংসপেশির ব্যথার অপচিকিৎসা করা যাবে না। রোগ নির্ণয় করে যদি কনফার্ম করা যায় তাহলে কিন্তু মাংসপেশির ব্যথা আমরা অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারি। তবে পুরাতন ব্যথার ক্ষেত্রে রেগুলার দুবেলা কুসুম গরম সেক নেয়া, শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করা, ব্যথানাশক যে কোন মলম নিতে নেয়া, পরিমিত পানি খাওয়া।

এছাড়া ভিটামিন ডি মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি থেকে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ব্লাড টেস্ট করে ভিটামিন ডি কনফার্ম করতে হবে। এছাড়া মিনারেল টেস্ট করে দেখতে হবে মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি হয়েছে কিনা তাহলে সেটা চিকিৎসা দিলে ঠিক হয়ে যাবে।

Read More