Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All posts by shafiullah

বেলস পলসি: মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ, লক্ষণ ও দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা

বেলস পলসি: মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ, লক্ষণ ও দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা

“বেলস পলসি বা মুখ বেকে যাওয়া লজ্জা নয়, দ্রুত চিকিৎসা কি?”

রোজিনা (ছদ্ম নাম), বয়স ২০ বছর, পেশায় একজন গৃহিণী। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলেন, তার এক চোখ বন্ধ হচ্ছে না, মুখে পানি নিলে তা গড়িয়ে পড়ছে, এবং গাল ফুলানো যাচ্ছে না। এই সমস্যার কারণ? এটি হতে পারে বেলস পলসি বা ফেসিয়াল প্যারালাইসিস। এটি কোনো রোগীর মুখের মাংসপেশীর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারানোর ফলাফল।

বেলস পলসি কী?

মানুষের মুখের মাংসপেশী একটি জটিল কাঠামো, যা ফেসিয়াল নার্ভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফেসিয়াল নার্ভের প্রদাহ বা আঘাতজনিত সমস্যার কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে। ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেলস পলসির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ভাইরাস সংক্রমণ (যেমন হার্পিস, রুবেলা, মাম্পস)
  • ঠান্ডা লাগা বা আঘাতজনিত সমস্যা
  • মস্তিষ্কে স্ট্রোক
  • ফেসিয়াল টিউমার
  • ডায়াবেটিস বা শ্বাসযন্ত্রের রোগ

লক্ষণ:

  • চোখ বন্ধ করতে না পারা
  • কপাল কুচকাতে না পারা
  • ঠোঁট চেপে ধরা বা গাল ফুলাতে না পারা
  • মুখ একপাশে বেকে যাওয়া

চিকিৎসা:

ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বেলস পলসির মূল চিকিৎসা। আক্রান্ত হলে নিউরো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ (যেমন স্টেরয়েড, ভিটামিন) সেবন এবং ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। ফিজিওথেরাপি পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশন, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, এবং বিভিন্ন ব্যায়াম রোগীদের জন্য উপকারী।

ব্যায়াম:

  • জোর করে চোখ বন্ধ করার চেষ্টা
  • শিস বাজানোর চেষ্টা
  • ঠোঁট চেপে ধরে গাল ফুলানো
  • কপাল কুচকানো
  • আক্রান্ত গালে আলতোভাবে ম্যাসাজ করা

চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়িয়ে চলা এবং বিশেষভাবে খাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি গ্রহণে রোগীরা আরোগ্য লাভ করেন।

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
পেইন, প্যারালাইসিস ও রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)
১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা।
ফোন: 09666774411

Read More

বাচ্চাদের বাত ব্যাথা ও প্যারালাইসিসের চিকিৎসা – বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং সঠিক প্রতিকার

বাচ্চাদের বাত ব্যাথা ও প্যারালাইসিসের চিকিৎসা

পর্ব: ১২

বাড়ন্ত শিশুদের প্রায়ই হাত–পা ব্যথার অভিযোগ করতে শোনা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের এমন ব্যথা হলে অভিভাবক, এমনকি চিকিৎসকরাও বাতজ্বর বা বাতরোগ হয়েছে ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে এটি হতে পারে গ্রোয়িং পেইন

শিশুদের বিভিন্ন ব্যথাজনিত সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শ্যামলীর
ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
(ডিপিআরসি) এর বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

মাংসপেশি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

বাচ্চাদের মাংসপেশির ব্যথা এখন সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার পরে পা চাবানো বা ব্যথা করে এমন কথা বলে থাকে, যা এখন খুব কমন সমস্যা। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গ্রোথ পেইন বলা হয়।
এই সমস্যা নিয়ে বাবা মার চিন্তার কোনো কারণ নেই। এতে বাসায় কুসুম গরম সেঁকের পাশাপাশি হালকা মেসেজ করা যেতে পারে।

  • কুসুম গরম সেঁক দেওয়া
  • হালকা মেসেজ
  • সুষম খাবার, ডিম, দুধ, ভিটামিন ডি খাওয়ানো

বিশেষজ্ঞের মতে, চিপস, ফাস্টফুড, এবং প্রসেসড খাবার কমাতে হবে। শিশুরা যেন পর্যাপ্ত ঘুমায় এবং পানি পান করে—এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

অন্যান্য শিশুরোগ এবং তাদের প্রতিকার

পার্থস ডিজিজ, জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (জেআইএ), এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবে রিকেটস হতে পারে। এগুলো নিয়ে উদ্বেগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সঠিক থেরাপি এবং ব্যায়াম করান।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং খেলাধুলার অভাবে কোমর ব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হয়। সচেতন অভিভাবকত্বই এ সমস্যার সমাধান।

উৎস:
ডিপিআরসি | ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার

Read More

হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা | Dr. MD. Shafiullah Prodhan । DPRC | Ekhon TV









হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা | ডিপিআরসি

হাঁটু ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা

পর্ব: ১০

জীবনের কোনো না কোনো সময় হাঁটু ব্যথা সবাইকেই ভোগায়। বিশেষ করে যাদের বয়স চল্লিশের উপরে তারা হাঁটু ব্যথায় বেশি ভোগেন। এতে হাটা-চলাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো করাও কঠিন হয়ে যায়। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই হাঁটু ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা ২০০৪ সালে।

তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের (ডিপিআরসি) বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

অনেক রোগীর ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়াও দেখা যায়। যাকে চিকিৎসার ভাষায় ‘জেনু’ বলা হয়। কিছুক্ষেত্রে হাঁটুতে এমন জেনু ভেরাস বা জেনু ডিফর্মিটি দেখা দিতে পারে।…

উপসংহার

অপারেশন ছাড়াই হাঁটু ব্যথার সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব। এজন্য প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা সনাক্ত করা এবং সঠিক এক্সারসাইজ, থেরাপি ও চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁটু ব্যথা মুক্ত জীবন যাপন করা সম্ভব।


Read More

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

মাংসপেশির ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

পর্ব: ৮

মাংসপেশির ব্যথা বা মায়ালজিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক কার্যকলাপ বা ভারী পরিশ্রম করলে, যেমন দৌড়, ম্যারাথন কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়ামে মাংসপেশিতে চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে। শারীরিক আঘাত, যেমন পড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনায় মাংসপেশিতেও আঘাত লাগে এবং ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

মাংসপেশির ব্যথা একটা কমন সমস্যা। বিশেষ করে ঘাড়ের মাংসপেশির ব্যথা, পিঠের মাংসপেশির ব্যথা, কোমরের মাংসপেশির ব্যথা, অনেকের হাত-পা ব্যথা একটা কমন মাংসপেশির সমস্যা।

মাংসপেশির ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে যারা ডেস্ক জব, বসে বসে কাজ, কম্পিউটার বা সামনে ঝুঁকে ঝুঁকে কাজ করা, লেখালেখির কাজ যারা করেন তাদের মাংসপেশির ব্যথা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে পেশিতে ওভার স্ট্রেস নেয়া।

এছাড়া বিদেশে প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইনজুরি তা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ডায়াবেটিস জনিত সমস্যার ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা থেকে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

একটা সুস্থ মানুষের প্রতিদিন পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লিটার আর মহিলাদের ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খেতে হয়। পানির অভাবে অনেক সময় মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

মাথাব্যথা মাংসপেশির সমস্যা থেকে হতে পারে। সাধারণত বিছানার কারণে হতে পারে বা কাজের ওভার স্ট্রেস থেকে হতে পারে।

পুরাতন আঘাত থেকে এই সমস্যা হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে হতে পারে। তারপরে অত্যধিক পরিশ্রমের মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

বিভিন্ন অ্যালকোহল, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, প্রসেস ফুড বডিতে প্রদা হয় তা থেকে কিছু মানুষ বেশি ব্যথা দেখা দিতে পারে। আরও অনেক কারণে মাংসপেশির ব্যথা হতে পারে।

রোগ নির্ণয় না করে মাংসপেশির ব্যথার অপচিকিৎসা করা যাবে না। রোগ নির্ণয় করে যদি কনফার্ম করা যায় তাহলে কিন্তু মাংসপেশির ব্যথা আমরা অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারি। তবে পুরাতন ব্যথার ক্ষেত্রে রেগুলার দুবেলা কুসুম গরম সেক নেয়া, শীতে গরম পানি দিয়ে গোসল করা, ব্যথানাশক যে কোন মলম নিতে নেয়া, পরিমিত পানি খাওয়া।

এছাড়া ভিটামিন ডি মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি থেকে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ব্লাড টেস্ট করে ভিটামিন ডি কনফার্ম করতে হবে। এছাড়া মিনারেল টেস্ট করে দেখতে হবে মিনারেল ডেফিসিয়েন্সি হয়েছে কিনা তাহলে সেটা চিকিৎসা দিলে ঠিক হয়ে যাবে।

Read More
স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা

স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা – স্ট্রোক কীভাবে হয় এবং এর চিকিৎসা কীভাবে করা হয়

স্ট্রোকের কারণ ও চিকিৎসা

স্ট্রোক বা ব্রেন অ্যাটাক মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণের কারণে হয়ে থাকে। প্রতিটি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে কাজ করা বন্ধ করতে বা মারা যেতে পারে। যখন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলি মারা যায়, তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা শরীরের অঙ্গগুলির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হারিয়ে যায়। ফলে সেই শরীরের আক্রান্ত অংশের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। একে করে সেই অংশ অবশ হয় এবং নড়াচড়ায় অক্ষম হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

স্ট্রোকের কারণ:

এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

  • স্ট্রোকের সাথে অনেকে হার্ট অ্যাটাক মিলিয়ে ফেলে।
  • মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহের যদি কোন প্রবলেম হয়, তাহলে এমন সমস্যা হতে পারে।
  • মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ কাজ করে থাকে; কোন অংশের কাজ প্রভাবিত হলে সমস্যা হয়।
  • স্ট্রোক হওয়ার কারণে মুখে লালা আসতে পারে, প্রমুখ শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

স্ট্রোক হওয়ার কারণ:

স্ট্রোকের মূল কারণগুলো হল:

  1. হৃদরোগ: উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস।
  2. নেশাজাতীয় দ্রব্যের দীর্ঘদিন ব্যবহার: অ্যালকোহল, ধূমপান, নেশাগ্রস্ত জীবনযাপন।
  3. মানসিক চাপ এবং অবশীল ঘুম না হওয়া।

স্ট্রোকের চিকিৎসা:

স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য দেরি না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে হবে:

  • রক্তচাপ মেইনটেইন করতে হবে।
  • স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ জানা ও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ।

চিকিৎসা শুরু করলে, মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ আবার কাজ করতে পারে এবং পুনর্বাসন চিকিৎসা খুব সহায়ক।

স্ট্রোকের পর পুনর্বাসন চিকিৎসা:

স্ট্রোকের পর রোগীদের ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। রোগীরা কয়েক মাসের মধ্যে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

এছাড়াও, রোগীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের গুরুত্ব রয়েছে।

Read More

প্যারালাইসিসের কারণ ও চিকিৎসা: প্যারালাইসিস থেকে মুক্তির উপায়

প্যারালাইসিসের কারণ ও চিকিৎসা

পর্ব: ৬

প্যারালাইসিস এমন শারীরিক অসুখ, যে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহের কোনো অংশ বা সম্পূর্ণ দেহ অবশ হয়ে যায়। ফলে সেই শরীরের আক্রান্ত অংশের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। একে করে সেই অংশ অবশ হয় এবং নড়াচড়ায় অক্ষম হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে শ্যামলীর ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান। তার পরামর্শ হুবহু তুলে ধরা হলো:

প্যারালাইসিস কথাটা শুনলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আসলে যেকোনো সুস্থ মানুষও হঠাৎ প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ বা সারা বিশ্বে প্যারালাইসিসের অন্যতম কারণ আমরা দেখেছি স্ট্রোক। আর এই স্ট্রোক হচ্ছে মস্তিষ্কের একটা রোগ যা থেকে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও যদি কয়েকদিন যাবত কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা বা মাংসপেশির ব্যথা থাকে, কিন্তু যদি সঠিক ট্রিটমেন্ট করা না হয় তাহলে ধীরে ধীরে একদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে।

প্যারালাইজড একসঙ্গে সব হাত-পা হবে এমনটা নয়। যেকোনো একটা হাত, একটা পা বা মুখে হতে পারে। আমরা প্রায় সময়ই বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়া দেখে থাকি।

এছাড়া একটা বাচ্চার জন্মের পরেও প্যারালাইসিস গ্রস্থ বা জন্মগত সমস্যা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে। আবার একজন সুস্থ ৫০ থেকে ৬০ বছরের মানুষও হঠাৎ করে প্যারালাইজড হতে পারে। এটাকেই আমরা বলছি স্ট্রোক।

তাছাড়া বিভিন্ন রোগ যেমন মোটর নিউরন ডিজিজ ও নার্ভের ডিজঅর্ডার অর্থাৎ স্নায়বিক ব্যাধি থেকে হওয়া প্যারালাইসিস কিন্তু একদিন হয় না এটি ধীরে হতে থাকে।

এছাড়া বিভিন্ন ভাইরাল ব্যাকটেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু জ্বর এবং করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা প্রচুর প্যারালাইজড রোগী দেখতে পাচ্ছি।

প্যারালাইসিস হঠাৎ করেও হতে পারে আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য রোগ থেকেও প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে। আবার বিভিন্ন ওষুধের প্রভাব থেকেও প্যারালাইসিস হতে পারে।

প্যারালাইসিস হলে করণীয়

হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়লে যদি কেউ হাত পা নাড়াতে না পাড়ে তাকে একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। তাহলে যদি মুখ থেকে লালা পড়ে সেটা আর তার শ্বাসনালিতে যাবে না। এরপর যদি দেখা যায় এটি মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে রোগী অজ্ঞান থাকে তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

এসব ক্ষেত্রে রোগীদের প্রেসার ডায়াবেটিস অন্যান্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তাই সচেতনতা খুবই জরুরি। প্যারালাইসিস হয়ে গেলে প্রস্রাব-পায়খানা সমস্যা দেখা দিতে পারে সেজন্য ট্রেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর রোগীর হাইজিন মেইনটেন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খাবার-দাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময় এসব রোগীর ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে আবার রিকারেন্ট স্ট্রোক করে। তাই এসব সম্পর্কে আমাদেরকে শিক্ষা এবং জনসচেতনতা দরকার।

প্যারালাইসিস হয়ে গেলে অ্যাডভান্স চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। সেই সচেতনতাটা আমাদের দরকার। আমরা বাসায় রোগীদের ফেলে রাখব না।

আমরা চেষ্টা করব পুনর্বাসন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসা নেওয়ার। এক্ষেত্রে বিভিন্ন আমরা ইলেক্ট্রো দিয়ে থাকি আর সঙ্গে হসপিটালে কিছুদিন রাখতে হয়। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন এক্সারসাইজ দিয়ে থাকি। রিহ্যাবিলিটেশন টিমওয়ার্কে মাধ্যমে প্যারালাইসিস রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে বা সুস্থতার পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

Read More

মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কারণে হাটুর ব্যথা হতে পারে – জানুন এর কারণ ও সমাধান

কিছু রোগীর ক্ষেত্রে হাটুর ব্যথা মাত্রাতিরিক্ত ওজনের জন্য হয়ে থাকে

জীবনের কোনো না কোনো সময় হাঁটু ব্যথা সবাইকেই ভোগায়। বিশেষ করে যাদের বয়স চল্লিশের উপরে তারা হাঁটু ব্যথায় বেশি ভোগেন। এতে হাটা-চলাসহ দৈনন্দিন কাজগুলো করাও কঠিন হয়ে যায়। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই হাঁটু ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা ২০০৪ সালে। হাঁটু ব্যথার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

আজকাল হাঁটু ব্যথা খুব কমন একটি সমস্যা। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে হাঁটু ফুলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়াও দেখা যায়। যাকে চিকিৎসার ভাষায় ‘জেনু’ বলা হয়। কিছুক্ষেত্রে হাঁটুতে এমন জেনু ভেরাস বা জেনু ডিফর্মিটি দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হাঁটু ব্যথা থেকে কোমর ব্যথাও দেখা দিতে পারে।

হাঁটুর গঠন হয়েছে মূলত তিনটি অংশ মিলে। ওপরেরটি হচ্ছে ফিমার, নিচেরটি টিবিয়া এবং সামনের অংশের নাম প্যাটেলা। হাঁটুর ভেতরের পানিকে বলা হয় সাইনোভিয়াল ফ্লুইড।

গঠনগত দিক থেকে হাটুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বাইন্ডিং লিগামেন্ট এবং মেনিস্কাস। তাই সব সময় হাঁটু ব্যথা যে শুধু হাঁটু ক্ষয়ের কারণে হয় এ ধারণা পুরোপুরি সঠিক না। ক্ষেত্রে বিশেষে মেনিস্কাস ও লিগামেন্ট আঘাত থেকেও হাঁটুর ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া বিভিন্ন হাড়ের যক্ষ্মা বা বোন টিবি থেকেও কিন্তু হাঁটু ব্যথা হয়। এর পাশাপাশি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস, জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (জেআইএ), সেরো পজিটিভ আর্থ্রাইটিস, সেরো নেগিটিভ আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন আর্থ্রাইটিস রোগের কারণেও হাটুর ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় হাঁটু ব্যথার সঙ্গে হাঁটু ফুলে যাওয়া ও ব্যথার জায়গা গরম হয়ে যাওয়া দেখা যায়।

কিছু রোগীর ক্ষেত্রে হাটুর ব্যথা মাত্রাতিরিক্ত ওজনের জন্য হয়ে থাকে। কারো শারীরিক উচ্চতার সঙ্গে যদি ওজন সামঞ্জস্যতাপূর্ণ না হয় সেক্ষেত্রে হাটুর ব্যথা হতে পারে। এর সঙ্গে খেলাধুলা থেকে পাওয়া আঘাত থেকেও হাঁটু ব্যথা হতে পারে।

ইউরিক এসিড থেকেও অনেক সময় হাঁটু ব্যথা তৈরি হয়। বিশেষ করে আমাদের দেশ থেকে যারা কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্য থাকেন তাদের মধ্যে এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। কিছুক্ষেত্রে ভিটামিন ও মিনারেল স্বল্পতাও হাঁটু ব্যথার কারণ হয়ে থাকে। যেমন ভিটামিন ডি, গ্লুকোসামিন কনড্রয়টিন সালফেট এবং ক্যালসিয়াম স্বল্পতায় হাঁটু ব্যথা হয়।

হাঁটু ব্যথা যে কারণেই হোক না কেন, রোগী যদি ব্যথার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করেন তাহলে অধিকাংশ সময় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। তবে হাঁটু ব্যথার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানুষ কিছু ভুল করে থাকে। যেমন ব্যথা হলেই চেয়ারে বসে নামাজ পড়া, হাঁটা চলা কমিয়ে দেয়া, সিঁড়ি উঠা নামা না করা ইত্যাদি। এগুলো আসলে ভ্রান্ত ধারণা।

হাঁটু ব্যথা হলে রোগীকে কিছু দিন বিশ্রাম নিতে হবে। আর হাঁটু যদি ফুলে যায় তখন ঠান্ডা সেক বেশ উপকারী। এর সঙ্গে বিভিন্ন এক্সারসাইজ আছে যেগুলো ভালো কাজ করে। এদিকে অ্যাডভান্স রিহ্যাব চিকিৎসা হাঁটু ব্যথার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী, এতে অপারেশনের জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সারসাইজ এবং বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট যেমন গ্লুকোসামিন, হাইলোরনিক এসিড, ভিটামিন-ডি এর মতো সাপ্লিমেন্ট নিয়মিত নিতে হয়। আর যাদের ওজন বেশি তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনলে ব্যথা অনেকাংশে কমে আসে। তবে হাঁটুর ব্যথার জন্য জুতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেজন্য অবশ্যই নরম জুতা ব্যবহার করতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি নিয়মিত এক্সারসাইজ চালিয়ে গেলে হাঁটু ব্যথার পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

Tags: হাঁটু ব্যথা, ফিজিওথেরাপি, রিহ্যাব ফিজিও, হাঁটু ব্যথার চিকিৎসা, হাঁটু সমস্যা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অ্যাডভান্স রিহ্যাব, হাঁটু ব্যথা ও উপসর্গ, গ্লুকোসামিন

Read More

কোমর ব্যথার অপারেশনহীন চিকিৎসা

কোমর ব্যথা: কারণ, উপসর্গ এবং অপারেশনবিহীন চিকিৎসা

জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রত্যেকেই কোমর ব্যথায় ভুগেছেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা ২০০৪ সালে। কোমর ব্যথার অপারেশনবিহীন চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

কোমর ব্যথার কারণ

কোমর ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ইতিবাচক সাড়া মিললেও আধুনিক বিজ্ঞান কী বলছে এ চিকিৎসা নিয়ে, তা জানতে প্রশ্ন করা হয় ডিপিআরসি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের কাছে।

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান বলেন, “কোমর ব্যথা একটা কমন সমস্যা। কোনো কারণে যদি কোমরের রগে চাপ লাগে। কারণ কোমরের ডামি বা আমাদের মাজার নিচে সেকরাম ও কক্সসিস আছে। দুই হাড়ের মাঝখানে ডিস্ক থাকে। এগুলো বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পড়েগিয়ে আঘাত পেয়ে বা হাড় ক্ষয়ের কারণেও অনেক সময় ফেটে বের হয়ে আসতে পারে। যখন ডিস্ক বের হয়ে আসে তখন আমাদের নার্ভ বা স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। যখন নার্ভের ওপর চাপ পড়ে তখন কোমরে ব্যথা হতে পারে, পায়ে ব্যথা হতে পারে, পা অবশ লাগতে পারে, ঝিঁঝি হতে পারে অনেক সময় ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।”

ডা. মো. সফিউল্যাহ বলেন, “রোগীরা আমাদের কাছে পায়ের পাতার ঝিঁঝি নিয়ে আসে। তারা বলে কোমরে কোনো ব্যথা নেই। তখন এমআরআই বা বিভিন্ন ডায়াগনোসিস টুলস ব্যবহার করলে দেখা যায় কোমরের ডিস্ক প্রলাপ্স পাই। অনেক সময় ডিস্ক প্রলাপ্স ছাড়া আরেকটা সমস্যা হতে পারে। সেটা হলো হাড় সরে যাওয়া। একে আমরা ডাক্তারি ভাষায় স্পন্ডাইলোলিস্থেসিস বলে থাকি।”

তিনি জানান, অনেক সময় বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে কোমরে ব্যথা হতে পারে। টিবি ইনফেকশন থেকে কোমর ব্যথা হতে পারে। পিএলআইডি কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ।

কোমর ব্যথার চিকিৎসার জন্য করণীয়

ডিপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জানান, কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে যদি পায়ের পাতা ফুট ড্রপ হয়ে যায়, শক্তি কমে শুকিয়ে যায় সেটা রোগীর পেশা, বয়স, ওজন ও উচ্চতা পারিপার্শ্বিক হিসাব করে অনেককে সার্জারি করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

ডা. মো. সফিউল্যাহ বলেন, “৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ রোগী অপারেশনের ছাড়া সুস্থ হওয়া সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে খুব স্বল্প সময়ে ডাক্তারদের কাছে আসতে হবে।”

তিনি বলেন, “১৫ থেকে ২০ দিন বা দুই থেকে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অ্যাডভান্স রিহ্যাব চিকিৎসা করতে হবে।”

ডিপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জানান, সে ক্ষেত্রে ডিস্ক কম্প্রেশন থেরাপি, বিভিন্ন এক্সারসাইজ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, ইপিডুরাল থেরাপি, বিভিন্ন ম্যানুয়াল থেরাপির মাধ্যমে রোগীকে অপারেশনবিহীন সুস্থ করা সম্ভব।

কোমর ব্যথার প্রতিকার

কোমর ব্যথার কারণগুলোকে প্রিভেনশন করতে হবে। আসুন আমরা সচেতন হই কোমর ব্যথা হলেই বা সবক্ষেত্রেই অপারেশনের প্রয়োজন নেই। অপারেশনবিহীন অ্যাডভান্স চিকিৎসার মাধ্যমে কোমর ব্যথার অপারেশনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

Read More
ঘাড় ব্যথা এবং চিকিৎসা

যেসব কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং করণীয়

যেসব কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং করণীয়

পর্ব- ৩

প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ঘাড় ব্যথায় ভুগেছেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। ঘাড় ব্যথার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

ঘাড় ব্যথা আধুনিক যুগে একটা বড় সমস্যা। আমাদের প্রতিটি লোকই কেউ না কেউ, একেবারে বাচ্চা যে বাচ্চা কিছুটা কথা বোঝে বা বলতে পারে সেও একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আবার একেবারে গ্রামের প্রত্যন্ত কৃষক ও একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এই যে আমাদের ডিভাইসের ব্যবহার বিশেষ করে মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে ঘাড় ব্যথার পরিমাণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আমাদের ঠিক মাথার নিচের অংশ, ঘাড়, আসলে অনেকের ধারণা ঘাড় সোজা, ইংরেজি আই (I) অক্ষরের মতো। তা না, ঘাড়টা কিছুটা বাঁকা। এই যে সি (C) কার্ভটা, মূলত ঘাড় ব্যথার রোগীদের সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ঘাড়ের মাসেল পুল হতে পারে, মাংস টেনে ধরতে পারে। এটি হচ্ছে ঘাড় ব্যথার মূল কারণ।

যদি ঘাড়ে আঘাত পায়, খেলাধুলা করতে গেয়ে ঘাড়ে যদি আঘাত পায়, তা থেকে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তারপর কেউ যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন বা ঘাড়ে ক্যান্সারের মতো রোগ থাকে বা টিবি বা বিভিন্ন আর্থাইটিস যেটা আমরা বাতরোগ বলে থাকি। যেমন স্পন্ডাইলু আর্থপেটি বা স্পন্ডাইলু অ্যানকালোজিং স্পন্ডেলাইটিস, অন্যান্য আর্থাইটিস রোগ, বয়সজনিত হাড় ক্ষয়, বিভিন্ন ইনজুরি ঘাড় ব্যথার অন্যতম কারণ।

শোয়ার বালিশ যদি উঁচু বালিশ হয় বা একটা মানুষের যে পরিমাণ ওজন কেরি করার কথা তার চেয়ে বেশি ওজন ক্যারি করে, তখন ঘাড়ে ইনজুরি থেকে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। ঘাড়ের অ্যানাটোমিক্যাল স্ট্রাকচার যদি চেইঞ্জ হয়ে যায়, হাড় যদি সরে যায় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে যদি অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় হতে থাকে, তখন ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। মাথার বিভিন্ন সমস্যা থেকেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে, চোখের সমস্যা থেকেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় ঘাড় ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যেতে পারে, যেটা আমরা বলি ঘাড়ের ডিস্প্রলাস বা অনেক সময় ডাক্তাররা ঘাড়ের স্লিপডিস্ক বা বাংলাদেশে বলা হয় রগ চাপ খেয়েছে।

অনেক ঘাড়ে ব্যথা না হয়ে, হাতে হতে পারে, হাত অবশ লাগতে পারে, জিজি করা একেবারে কমন সমস্যা।

ঘাড় ব্যথার চিকিৎসার জন্য করণীয়

ঘাড় ব্যথার চিকিৎসাক্ষেত্রে যে কারণগুলো ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, এই কারণগুলো যদি আমরা অ্যাভয়েড করতে পারি, মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় সোজা হয়ে বসে মোবাইলটা হাতের উপরে নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। পেশাগত কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। শুধুমাত্র মোবাইল রিসিভের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাপটপের ব্যবহার কমাতে হবে বা পেশাগত কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার না করে ডেস্কটপ ব্যবহার করতে হবে। পাতলা নরম বালিশে শুতে হবে। কোনো ভারোত্তোলনের ক্ষেত্রে সাবধানে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। আমরা যখন বসে বসে কাজ করি, মাঝে মাঝে ঘাড়ের বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে।

তবে কারো যদি ঘাড় ব্যথা হয়ে যায়, তাহলে ঘাড়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে প্রয়োজন হলে ব্লাড টেস্ট, এক্সরে, এমআরই করে ডায়াগনোসিস করতে হবে। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগী আমরা অ্যাডভান্স রিহ্যাব ফিজিও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হতে পারি। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। তবে বেশিরভাগ রোগীর অপারেশন বিহীন এক্সারসাইজ বা রিহ্যাব ফিজিও বা হাসপাতাল থেকে বা এসে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারলে টানা কাজ বাদ দিয়ে একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। যদি আপনি একটা কাজ করছেন, সেটা বাদ দিয়ে আধা ঘণ্টা পর পর একটু উঠে যাওয়া, হাঁটা বা রিলাক্স হওয়া জরুরি।

অ্যারোবিক এক্সারসাইজ যেমন হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা জাতীয় ব্যায়ামগুলো ঘাড় ব্যথা, কিংবা যেকোনো মারাত্মক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

Read More

কোমর ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

কোমর ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা (পর্ব-১)

প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথায় ভুগেছেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ব্যথা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে ঠিক কোন কারণগুলোর জন্য এই ব্যথা হয়, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছে ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। কোমর ব্যথার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডিপিআরসির বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও রিহ্যাব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।

ডিপিআরসির পরামর্শ: আধুনিক বিজ্ঞান কী বলছে

কোমর ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ইতিবাচক সাড়া মিললেও আধুনিক বিজ্ঞান কী বলছে এ চিকিৎসা নিয়ে, তা জানতে প্রশ্ন করা হয় ডিপিআরসি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের কাছে।

“এ ক্ষেত্রে আর্লি এক্সারসাইজ বিষয়ে সার্জনেরাও আমাদের সাথে একমত, এছাড়া আর্লি এক্সারসাইজ থিমটা এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গ্রহণ করেছে।”

কোমর ব্যথার জন্য গবেষণার ফলাফল

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান বলেন, ‘কোমর ব্যথা বর্তমান বিশ্বে একটি বড় সমস্যা। তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমরের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেক সময় কোমর ব্যথা পায়ের দিকে চলে আসতে পারে। এরই সঙ্গে রোগীদের হাঁটা চলায় যদি ভুল থাকে তাহলে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় বিছানায় একাত ওকাত হতে গেলে কোমরে ব্যথা হয় এবং পায়ের রগ টেনে ধরে। এছাড়া অনেক সময় কোমরের ব্যথা তলপেট পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এরই সঙ্গে কোমরের সমস্যার জন্য আজকাল অনেকের দাম্পত্য জীবনের সমস্যা হয়, অনেকে চাকরি পর্যন্ত হারান।’

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত কোমরের সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্মে বা চলাফেরায় আমাদের করা ভুল ও বদ অভ্যাসগুলো। যেমন বেশিরভাগ মানুষই বসে কাজ করে আর ভুলভাবে বসে কাজ করা ক্ষতির কারণ হয়। এছাড়াও বসার ধরনের ভুল, শোবার ভুল, কাজের সময় সামনে ঝুঁকে কাজ করা ইত্যাদি কারণে কোমর ব্যথার তৈরি হতে পারে।

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান আরো জানান, আমাদের গ্রামগঞ্জের মা-বোনরা নিচে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারিবারিক কাজ করেন আর কৃষকরা যেসব কাজ করে সেখান থেকেও আঘাত পেয়ে কোমরের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

কোমর ব্যথার সঠিক চিকিৎসা

ডিপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে কোমর ব্যথার চিকিৎসা একেবারেই সহজ। কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে আমরা বলে যেটা থাকি প্রায় ৯০-৯৫ ভাগ রোগী অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হওয়া সম্ভব। কেউ যদি দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।

তিনি জানান, কোমর ব্যথার বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি চিকিৎসকরা এখন বলছেন, ব্যথার কারণগুলো খুঁজে বের করা, এক্সারসাইজ করা এবং নিয়মিত ওজন মেইনটেইন করা, পরিমিত পানি খাওয়া বাধ্যতামূলক। এসব নিয়ম ও শোয়ার অভ্যাস ঠিক করলে অনেকাংশে কোমর ব্যথার রোগীরা ভালো হয়ে যায়।

‘বেশিরভাগ রোগী যদি আমরা কনফার্ম ডায়াগনোসিস করি। কোমরে ব্যথার জন্য হাসপাতালে অ্যাডভান্স রিহ্যাব-ফিজিও চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।’

চিকিৎসক হিসেবে আমার পরামর্শ থাকবে কোমর ব্যথায় কষ্ট না পেয়ে রোগীকে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

Read More