Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All posts by shafiullah

সম্মানীত হজ্জ যাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা মাত্র ১২৫০ টাকায়

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক
সম্মানীত হজ্জ যাত্রীদের জন্য
স্বাস্থ্য পরীক্ষা মাত্র ১২৫০ টাকায়

-Urine R/M/E
-Random Blood Sugar (R.B.S)
-X-Ray Chest P/A view (রিপোর্টসহ)
-ECG (রিপোর্টসহ)
-Serum Creatinine
-Complete Blood Count (CBC with ESR)
-Blood Grouping and Rh Typing

✺ফোন করুনঃ 09666774411, 01716306913, 01997702001, 01732200697, 01997702002
✺ ঠিকানাঃ ডিপিআরসি- ১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭ (ক্লাব মাঠের বিপরীত পার্শ্বে)
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরামর্শ পেতে পেজটি লাইক ও শেয়ার দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন ।

Read More

হিটস্ট্রোকের কারণ ও প্রতিরোধের উপায়

দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গরমে থাকার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিটস্ট্রোক হয়। এ অবস্থায় শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক সময় মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করলে হিট স্ট্রোক স্থায়ী পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

হিটস্ট্রোকে কারা আক্রান্ত হতে পারে?
-শ্রমিক
-ক্রীড়াবিদ
-শিশু
-বয়োবৃদ্ধ
-প্রতিবন্ধী ব্যক্তি
-যাদের ওজন বেশি
-যারা শারীরিক ভাবে দুর্বল বা অসুস্থ বা যাদের উচ্চরক্তচাপ আছে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হচ্ছে-
* শরীর প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করে আবার হঠাৎ করে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়
* নিঃশ্বাস দ্রুত হয়
* নাড়ির অস্বাভাবিক স্পন্দন হওয়া অর্থাৎ হঠাৎ ক্ষীণ ও দ্রুত হয়
* রক্তচাপ কমে যায়
* প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়
* হাত পা কাঁপা, শরীরে খিঁচুনি হয়
* মাথা ঝিমঝিম করা
* তীব্র মাথাব্যথা
* ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার প্রকাশ
* কথা-বার্তায় অসংলগ্ন হওয়া
* শিশুদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে দৈনিক ৬ বারের চেয়ে কম প্রস্রাব করছে কিনা।

স্ট্রোক হলে বা লক্ষণ দেখা দিলে যা করবেন:
* হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলেই প্রথমে শরীরের তাপ কমানোর জন্য ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছে
দিন
* আক্রান্ত ব্যক্তিকে শীতল পরিবেশে নিয়ে আসুন।
* শরীরের কাপড় যথাসম্ভব খুলে নিন, সম্ভব হলে বগল কুঁচকি, ঘাড় ও পিঠে বরফ ধরুন।
* প্রচুর পানি, ফলের শরবত অথবা স্যালাইন পান করতে দিন।
* হিট স্ট্রোক হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় হাসপাতালে নিতে হবে।

হিটস্ট্রোক এড়াতে যা করবেন:
– যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে।
– ঢিলেঢালা হালকা রঙের সুতি কাপড় পরতে হবে।
– প্রচুর পরিমাণ পানি, খাওয়ার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করতে হবে।
– রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করা উচিত।
– রোদে দীর্ঘ শারীরিক পরিশ্রম অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

অনেকে পানির চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে বাহিরের অস্বাস্থ্যকর বিভিন্ন খাবার, পানীয়, শরবত, আইসক্রিম খায় তা থেকে হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া সহ প্রাণঘাতী পানি বাহিত রোগ হতে পারে। ঠান্ডা পানি ও গরম থেকে গলাব্যথা, কাশি, জ্বর, সর্দি হতে পারে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

আরো পড়ুন:

– স্ট্রোকের যত কারণ ও জটিলতার  চিকিৎসা।

– গরমে ‘হিট স্ট্রোক’ হলে কি করবেন?

– স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় সমূহ

 

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

✺যেকোনো পরামর্শের জন্য ফোন করুনঃ
+8801997702001, +8801997702002 , 09666774411
¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯
✺আমাদের এর ঠিকানাঃ-
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)
Read More

বাচ্চাদের ব্যথার যত কারণ ও চিকিৎসা

শিশুদের শরীরে ব্যথার নানা কারণে হতে পারে। যেমনঃ

– গ্রোয়িং পেইন

– জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস

– লুপাস (সিস্টেমিক লিউপাস ইরিথেমাটোসাস)

– ভিটামিন-ডি সল্পতা

– লাইম ডিজিজ

– লিউকেমিয়া

– বাত জ্বর

– পার্থেস ডিজিজ

– রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম

– কোভিড-১৯

– জন্মগত ত্রুটি

গ্রোয়িং পেইনঃ বাচ্চারা সারাদিন ছোটাছুটি করে, খেলাধুলা করে। সন্ধ্যায় বা রাতে বিছানায় যাওয়ার পর তারা পায়ে বা শরীরে ব্যথার কমপ্লেইন করে। এই ধরনের ব্যথাকে গ্রোয়িং পেইন বলে। গ্রোয়িং পেইন সাধারণত তিন বছর থেকে শুরু করে বারো বছর পর্যন্ত শিশুদের হতে পারে। এই ব্যথা সব সময় থাকে না। ব্যথা সাধারণত সন্ধ্যা বা রাতের দিকে দেখা যায় এবং সকালের দিকে সেরে যায়। ব্যথা হয় পায়ের থাই, কাফ, হাঁটুর পিছন দিকে। গ্রোয়িং পেইনে সাধারণত কোন ঔষধ বা চিকিৎসার দরকার হয় না৷ ব্যথার মাত্রা অনুযায়ী রাতে ব্যথার স্থানে হালকা গরম সেঁক বা ম্যাসাজ করলে বাচ্চা আরামবোধ করে। প্যারাসিটামল ও ব্যথানাশক ক্রিম বা মলম চিকিৎসকের পরামর্শে দেয়া যেতে পারে।

জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (জিআইএ): এটি শিশুদের বাতরোগ, যেটার কারণে শিশুরা ব্যথার কমপ্লেইন করে। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে বা গিড়াতে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হয়। প্রদাহের লক্ষণ গুলো হচ্ছে: গিড়া ব্যাথা, ফুলে যাওয়া ও নড়া চড়া করতে না পারা। তাছাড়া এই রোগে জয়েন্ট স্টিফনেস হয়, যা কিনা হাঁটলে বা এক পজিশনে দাঁড়িয়ে থাকলে বাড়বে। শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে শিশুদের ক্ষুধামন্দা, জ্বর বা জ্বরভাব, শরীরে র্যাশ দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লুপাস (সিস্টেমিক লিউপাস ইরিথেমাটোসাস): এটি একটি অটোইমিউন রোগ যেটাতে শরীরের একের অধিক জয়েন্টে ব্যথা বা স্টিফনেস থাকবে। অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে বুকে ব্যথা, চুলপড়া, জ্বর চর্মরোগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লাইম ডিজিজঃ এটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই রোগে শিশুদের জয়েন্ট ও মাংশপেশী দুটোতেই ব্যথা থাকবে। সাথে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকে ফুসকুড়ি ও জ্বরও থাকতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

লিউকেমিয়াঃ এটি একটি রক্তের রোগ। যা হলে রক্তের শ্বেত রক্তকনিকা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায় এবং রক্তের স্বাভাবিক কাজ গুলো ব্যহত হয়। লিউকেমিয়াতে শিশুদের হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা থাকবে। তাছাড়া অন্যান্য উপসর্গগুলো যেমন: নাক দিয়ে রক্তপাত, শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বাঁধা, দাঁত বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, জ্বর, ক্ষুধামন্দা, ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

বাতজ্বরঃ বাতজ্বরকে ইংরেজিতে বলে রিউমেটিক ফিভার, এটা বাচ্চাদের প্রদাহজনিত রোগ। সাধারণত ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চাদের বাতজ্বর বেশি হয়। বাতজ্বর ব্রেইন, হৃৎপিন্ড, মেরুদন্ড ও ত্বক ইত্যাদি স্থানকে আক্রান্ত করে। এই রোগে হাত ও পায়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, জ্বর, চামড়ায় লাল দাগ, প্রদাহজনিত কাঁপুনি ও খিঁচুনি, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া সহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

পার্থেস ডিজিজঃ পার্থেস ডিজিজ হিপ জয়েন্ট বা ফিমারের মাথায় রক্ত প্রবাহের ব্যাঘাতের ফলে শুরু হয়।সাধারণত ৩-১১ বছর বয়সী বাচ্চারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই রোগে নিতম্ব বা কুঁচকি, হাঁটু, গোড়ালিতে ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও হাঁটাচলা বা মুভমেন্টে সমস্যা হয় এবং আক্রান্ত পা খাটো হয়ে যেতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমঃ এটি একটি স্নায়বিক ব্যাধি। রাতে ঘুমনোর সময়ে পায়ে চুলকানির সাথে সাথে পায়ে হালকা খিঁচুনি, ঝাঁকুনি বা পায়ের ভিতরে কোনও অস্বস্তি অনুভব করাকে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বলা হয়। অনেক বাচ্চারা এই রোগে ভুগে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে শরীরে নির্দিষ্ট ভিটামিনের যথাযথ পরিমাণ থাকা খুবই জরুরি। তাই শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে হবে।

কোভিড-১৯: যেসব শিশুরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলো তাদের কিছু শারীরিক জটিলতা বা ব্যথা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাকে পোস্ট কোভিড সিনড্রম বলা হয়। দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাংসপেশিতে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

জন্মগত ত্রুটিঃ মাতৃগর্ভে থাকাকালীন ভ্রূণের ত্রুটি ও অস্বাভাবিকত্বের কারণে অনেক শিশু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে৷ অধিক আঙুল, কম আঙুল, জোড়া আঙুল, কাঁকড়ার মতো আঙুল, হাত বা পা না থাকা ইত্যাদি অনেক ধরনের জন্মগত ত্রুটি দেখা যায়। এসব ত্রুটির জন্য বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম ব্যথা ও দৈনন্দিন চলাফেরায় সমস্যা হয়। সবচেয়ে বেশি পায়ের পাতার গঠনে সমস্যা দেখা দেয়, ফ্লাটফুট বা পেসকেভাস জাতীয় পাতার বিকৃতি হতে পারে। এতে করে পাতা ব্যথা হয়। হাঁটা-চলাফেরায় কষ্ট হয়। এ জন্য একজন রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রয়োজনে জুতা কারেকশন করা লাগতে পারে।

অন্যান্যঃ ভিটামিন ডি এর অভাব এবং পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শিশুদের হাড় ব্যথা হতে পারে, অনেক সময় শিশুদের পা বেঁকে যেতে পারে (রিকেটস)। সেক্ষেত্রে সকালের রোদটা খুবই উপকারী ভিটামিন ডি এর জন্য। এছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন: ডিম, দুধ, কলিজা, খাসীর পায়া, ঢেঁকিছাটা চাল, দেশী মুরগী, পালং শাক ইত্যাদি খেতে হবে।

আরো পড়ুন:

– পায়ের পাতার তলার গঠন ঠিক না থাকলে, বাচ্চাদের হাটা দেরি হতে পারে।

– গর্ভস্থ বাচ্চার হার্ট-বিট জানতে সিটিজি এর গুরুত্ব।

– বাচ্চাদের কোলে নিয়ে দাঁড়ানোর সময় অবশ্যই চিত্রের সঠিক দেহ ভঙ্গিটি অনুসরণ করুন এবং কোমর ও মেরুদন্ড ব্যাথা মুক্ত থাকুন।

 

ড. মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক , আইআইএইসএস ও কনসালটেন্ট ,ডিপিআরসি

Read More

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ডিপিআরসি’তে পাচ্ছেন সকল প্যাথলজি টেস্টে ৩০% পর্যন্ত ছাড়।

নতুন সকাল, নতুন প্রান, নতুন সুরে, নতুন গান
নতুন ঊষার, নতুন আলো, নতুন বছর, কাটুক ভালো

ডিপিআরসি’র পক্ষ হইতে সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

এই নববর্ষ  উপলক্ষে ডিপিআরসি’তে পাচ্ছেন সকল প্যাথলজি টেস্টে ৩০% পর্যন্ত ছাড়।

যোগাযোগের ঠিকানা

DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি, 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

ফোনঃ +8801997702001, +8801997702002, 09666774411

Read More

কিডনি ভালো রাখার কিছু টিপস জেনে নিন.

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

কিডনির সুস্থতা বজায় রাখা আমাদের জন্য অপরিহার্য। কিডনি ভালো রাখার কিছু টিপস জেনে নিনঃ

১. হাইড্রেটেড থাকুনঃ আপনার কিডনিকে বর্জ্য এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। সাধারণত একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

২. সুষম খাদ্যঃ প্রতিদিন সুষম খাবার গ্রহণ করুন যাতে প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন থাকে। সোডিয়ামযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং লাল মাংস অত্যধিক খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন, কারণ এসব কিডনির ক্ষতি করে।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুনঃ উচ্চ রক্তচাপ সময়ের সাথে সাথে কিডনির ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত আপনার রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৪. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করুনঃ আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রক্তে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।

৫. স্বাস্থ্যকর ওজনঃ অতিরিক্ত ওজন কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ আমাদের সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যা কিডনির জন্য ভালো।

৭. ব্যথার ওষুধ সীমিত করুনঃ কিছু ব্যথার ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার, যেমন NSAIDs (নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ), কিডনির ক্ষতি করতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।

৮. অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুনঃ অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন কিডনির জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

৯. ধূমপান ত্যাগ করুনঃ ধূমপান রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং কিডনিতে রক্ত ​​​​প্রবাহ হ্রাস করতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করা আপনার কিডনি সহ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

১০. নিয়মিত চেক-আপ করুনঃ কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের চেক-আপ করুন। এর জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষা এবং প্রস্রাব পরীক্ষা লাগতে পারে৷

১১. মানসিক স্ট্রেস পরিহার করুনঃ দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস কিডনির কার্যকারিতা সহ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। গভীর শ্বাস, মেডিটেশন বা যোগব্যায়ামের মতো মানসিক চাপ-হ্রাস কৌশলগুলি অনুশীলন করুন।

১২. অত্যধিক ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুনঃ যদিও মাঝারি ক্যাফেইন সেবন সাধারণত নিরাপদ, তবে অত্যধিক ক্যাফেইন গ্রহণ কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

১৩. মাল্টিভিটামিন সেবনে সতর্ক থাকুনঃ মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেকক্ষেত্রে এসব সাপ্লিমেন্ট কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

✺সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
+8801997702001, +8801997702002 , 09666774411
¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯
✺আমাদের এর ঠিকানাঃ-
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

Read More

WORLD AUTISM AWARENESS DAY 2024

আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস
এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’

 

✺আমাদের এর ঠিকানাঃ
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

Read More

ডিপিআরসি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে (ফ্রি) এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে চলে আসুন “ডিপিআরসি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প” -এ এবং সাথে পাচ্ছেন প্যাথলজী টেস্টে ৩০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।

 

সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
+8801997702001, +8801997702002 , 09666774411

আমাদের এর ঠিকানাঃ
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

Read More

বাত ব্যথা প্যারালাইসিস পঙ্গুত্ব আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ

ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান স্যার-এর সিরিয়াল পেতে

✺ফোন করুনঃ 09666774411, 01716306913
01997702001, 01732200697, 01997702002

✺ ঠিকানাঃ ডিপিআরসি- ১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭ (ক্লাব মাঠের বিপরীত পার্শ্বে)

Read More

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডিপিআরসি দিচ্ছে সকল প্যাথলজি টেস্ট এ ৩০% ছাড়

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াই যেদিন শুরু হয়েছিল, আজ সেই স্মৃতিময় ২৬ মার্চ। আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডিপিআরসি দিচ্ছে সকল প্যাথলজি টেস্ট এ ৩০% ছাড়

সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
+8801997702001, +8801997702002 , 09666774411

আমাদের এর ঠিকানাঃ
DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
(ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

Read More

ডায়াবেটিস জনিত মাংসপেশীর অসাড়তা নিউরোপ্যাথি কি ?

Author: ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ডিজএবিলিটি আর্থ্রাইটিসে রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ,
সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএচএস) ও কনসালটেন্ট (ডিপিআরসি)

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হলো একটি স্নায়ুবিক রোগ যা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগের জটিলতা হিসাবে দেখা যায়। প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীরা এই সমস্যায় ভুগে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করে।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমনঃ

  • পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।
  • অটোনমাস নিউরোপ্যাথি।
  • ফোকাল নিউরোপ্যাথি।
  • প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি।
  • লক্ষণঃ

    1. পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: এটি সাধারণত হাত ও পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং অসাড়তা বা অবশ ভাব, ঝিনঝিন ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
    2. অটোনমাস নিউরোপ্যাথি: এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমনঃ হৃদপিন্ড, রক্তনালী, মূত্রাশয় এবং অন্ত্র। লক্ষণগুলির মধ্যে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, হজমে সমস্যা এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতার পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘোরা বা অতিরিক্ত ঘাম, যৌন সমস্যা, রুচি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।
    3. ফোকাল নিউরোপ্যাথি: এটি শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় যেমনঃ মুখ, হাত বা পায়ের স্নায়ুর একটি গ্রুপকে প্রভাবিত করে। লক্ষণগুলির মধ্যে আক্রান্ত স্থানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা বা দুর্বলতা, বুকে ব্যথা, মুখের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, হাতে শক্তি কম অনুভব করা, দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    4. প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি: প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথিতে পা, নিতম্ব বা উরুর স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং ব্যথা, দুর্বলতা এবং পেশীর ভারসাম্যতা হ্রাস করে। এছাড়াও বুকে বা পেটে ব্যথা হতে পারে।

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকির কারণঃ

    1. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
    2. উচ্চ রক্তচাপ
    3. উচ্চ কোলেস্টেরল
    4. ধুমপান
    5. অতিরিক্ত ওজন
    6. কিডনি ডিজিজ

    প্রতিরোধঃ

    ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হল জীবনধারা পরিবর্তন।

    1. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা- রক্তে শর্করার মাত্রা যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখতে পারলে স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    2. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করতে হবে।
    3. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস- চর্বি এবং কোলেস্টেরল কম এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
    4. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম- নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
    5. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে- ধুমপান ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধুমপান ছেড়ে দিলে অনেকাংশেই এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

    চিকিৎসাঃ

    রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকরী সে ক্ষেত্রে এভিডেন্স বেইজড চিকিৎসা প্রটোকল প্রয়োগ করতে হবে। এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিনস চিকিৎসকের পরামর্শে নেয়া যেতে পারে।

    সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ
    +8801997702001, +8801997702002 , 09666774411

    আমাদের এর ঠিকানাঃ
    DPRC. 12/1 Ring Road, Shyamoli Dhaka-1207, Bangladesh
    (ডিপিআরসি , 12/1 রিং রোড শ্যামলি ঢাকা-১২০৭ বাংলাদেশ)

    Read More