Welcome to, Dhaka Pain Physiotherapy & Rehabilitation Center (DPRC) Ltd.

Opening Hours : Always Open
  Hotline : 09 666 77 44 11

All Posts in Category: heath Tips

মুলা ও মুলা শাকের উপকারিতা

শীত ছাড়াও আজকাল প্রায় সারা বছরই মুলা কমবেশি বাজারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তাই এটি নিয়মিত পাতে রাখলে উপকারই মিলবে।

রান্না করে তো খাবেনই, পাশাপাশি কাঁচা মুলাও খান। শীতকালে কাঁচা মুলা খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে। ভাত, রুটি খাওয়ার সময় কাঁচা মুলা গ্রেটারে কুড়িয়ে লবণ দিয়ে খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় ও খাদ্যে রুচি বাড়ে। তাই অরুচি হলে মুলা খেতে পারেন। উপকার মিলবে।

মুলা ও মুলা শাকের উপকারিতা:-

✅ হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
✅ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
✅ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
✅ ইমিউনিটির উন্নতি ঘটে।
✅ ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়।
✅ ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়।
✅ শরীরে ভিতরে প্রদাহের মাত্রা কমে।
✅ ক্যানসারের মতো মারণ রোগ দূরে পালায়।
✅ কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।
✅ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
✅ হাটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণ।
✅ চর্মরোগ সারাতে।
✅ রক্তশূন্যতা দূর করে মূলা শাক।
✅ জন্ডিসের চিকিৎসাতেও ভাল কাজ করে।
✅ পাইলসের ব্যথা সারাতে বেশ কার্যকরী।
✅ পাকস্থলী ভালো রাখে ।
✅ ইউরিনারি ব্লাডার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

 

Read More

টমেটোর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছর পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। অনেকে আবার সালাদে টমেটো খেয়ে থাকেন। শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, টমেটো থেকে তৈরি হয় নানা রকমের কেচাপ, সস। টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি।

এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে। এক বা দুইবার টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে। সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও টমেটো বেশ কার্যকর।

টমেটোর পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে ০.৯ গ্রাম আমিষ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৮ মি. গ্রাম আঁশ, ০.২ মি. গ্রাম চর্বি, ২০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৪৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২০ মি. গ্রাম ফসফরাস, ০.৬৪ মি. গ্রাম লৌহ, ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৭ মি. গ্রাম ভিটামিন ‘সি’।

টমেটোর উপকারিতাঃ

  • হার্টের জন্যও ভালো টমেটো। কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ কমাতে সহায়ক এটি। তাই নিয়মিত টমেটো খেলে, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে আসবে।
  • ডায়াবেটিসের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। এ সবজি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টিশক্তিকে আরও উন্নত করে।
  • অর্জুন গাছের রসের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে জেলি করে প্রতিদিন খেলে হার্ট ও বুকের ব্যথা কমে যায়।
  • টমেটোতে বিদ্যমান ভিটামিন-কে মজবুত হাড় গঠনে সহায়তা করে।
  • ধূমপান ছাড়তে সহায়ক ভূমিকা পালনের সঙ্গে সঙ্গে ধূমপানের কারণে শরীরে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও কার্যকরী এ সবজি।
  • টমেটো শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে করে।
  • চুল ও দাঁতের জন্য উপকারী এ সবজি।
  • কিডনিকে সুস্থ-সবল রাখতে ভূমিকা পালন করে টমেটো।
  • ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী টমেটো। সৌন্দর্য সচেতন নারীরা অনেক সময় টমেটোকে ব্যবহার করেন দামী প্রসাধনীর বিকল্প হিসেবে।
  • মাথার খুশকি দূর করতে টমেটোর রসের সঙ্গে ১.৪ ভাগ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে পাকস্থলী, কোলোরেক্টাল ও প্রোস্টেট ক্যান্সার অন্যতম।
  • শারীরিক পরিশ্রমের পর টমেটোর রস যেকোনো কোমল পানীয়ের চেয়ে বেশি উপকারী। গবেষকরা বলেন, ব্যায়াম বা অন্য যেকোনো শারীরিক পরিশ্রমের পর টমেটোর রস পেশি পুনরুদ্ধারে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • টমেটো ন্যাচারাল এ্যান্টিসেপ্টিক। তাই ইনফেকশন রোধ করে।
Read More

লাউ এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

লাউ এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে লাউ অন্যতম। লাউয়ের মধ্যে এমন কী আছে, যেটি শরীরের জন্য উপকারী? এই সময়ে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে লাউ। লাউ শীতের সবজি হলেও এখন সারা বছরই ফলে। এই সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

গবেষণা বলছে, লাউয়ের ভিতরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, বি এবং ডি, সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট, আয়রন এবং পটাশিয়াম, যা নানাবিধ রোগের হাত থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকারে লাগে শরীরের।

লাউ এর পুষ্টিগুণঃ

  • প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে রয়েছে-
  • কার্বোহাইড্রেট- ২.৫ গ্রাম
  • প্রোটিন- ০.২ গ্রাম
  • ফ্যাট- ০.৬ গ্রাম
  • ভিটামিন সি- ৬ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম- ২০ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস- ১০ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম- ৮৭ মিলিগ্রাম

এছাড়াও রয়েছে খনিজ লবণ, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, আয়রন প্রভৃতি। এসব উপাদান আমাদের সুস্থতার জন্য ভীষণ প্রয়োজন। জেনে নিন নিয়মিত লাউ খাওয়ার সুফল।

নিয়মিত লাউ খেলে শরীরে যে উপকার হয় আর যেসব রোগ এড়ানো যায়, তাও জেনে নেওয়া যাক।

লাউ এর উপকারিতাঃ

  • লাউয়ে প্রচুর পানি থাকায় দেহের পানির পরিমাণে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
  • ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা রোধেও এটি কার্যকর।
  • কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে লাউ।
  • প্রস্রাবের সংক্রমণ রোধেও এটি অনন্য।
  • উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে ভুগছেন যেসব রোগী, লাউ তাঁদের জন্য আদর্শ সবজি।
  • লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার রাখে।
  • মুখে ব্রণ ওঠার প্রবণতাও কমে যায় অনেকটাই।
  • ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ ।
  • পস্রাবের জ্বালা পোড়ার সমস্যা এবং পস্রাবের হলদে ভাব দূর করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ আছে যাদের, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন লাউ।
  • হার্টের সুস্থতায় লাউয়ের জুড়ি নেই।
  • লাউ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
  • লাউ খেলে পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
  • লাউ পাতার তরকারি মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা রাখে।
  • ইউরিন ইনফেকশনে খুব উপকারী লাউ।
  • ডায়াবেটিসের রোগীদের অত্যধিক তৃষ্ণা কমাতেও সাহায্য করে।
  • প্রচুর ফাইবার থাকায় লাউ খেলে ওজন হ্রাস পায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য, অশ্ব, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সহায়ক এই সবজি।
  • নিয়মিত লাউ খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি।
  • লাউয়ের রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করে।
  • চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়।
  • স্ট্রেস লেভেল কমে ।
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
Read More

স্ট্রোকের লক্ষণ সমুহ

আজ ২৯ অক্টোবর, ২০২১  “বিশ্ব স্ট্রোক দিবস”
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ ‘প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান’।
বিশ্ব স্ট্রোক দিবস প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর উদযাপিত হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালী বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালী ছিঁড়ে মস্তিষ্কে এই রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ হলো উচ্চরক্তচাপ। সারাবিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক।
পটভূমি
বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বছরে আক্রান্ত হচ্ছে ৬ কোটি এবং মারা যাচ্ছে ২ কোটি মানুষ। স্ট্রোকের কারণে দেড় কোটি লোক পঙ্গু হচ্ছে। প্রতি ৬ জনে ১ জনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে। স্ট্রোকে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ ভাগ মারা যায়, আর ৩০ ভাগ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারা বেঁচে থেকেও দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন। স্ট্রোকে আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবেই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে।স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উদযাপিত হয়।
স্ট্রোকের লক্ষণ সমুহ:-
জীবন ও জীবিকার প্রতিযোগিতার কারণে গ্রামের চেয়ে শহুরে জীবন বেশি কর্মব্যস্ত ও একঘেয়ে। তার ওপর যদি পারিবারিক জীবন হয় সমস্যাবহুল, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে স্ট্রোক করার আশঙ্কা থেকে যায়। স্ট্রোক আসে স্ট্রেস(stress) বা মানসিক চাপ থেকে।
এমন নানাবিধ মানসিক চাপে যখন স্ট্রোক করে, তার আগে কিছু লক্ষণ দৃশ্যমান হয়। এই লক্ষণগুলো জানা থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়।
মূলত স্ট্রোক দুই প্রকার:
Ischemic and Hemorrhagic. এদের মধ্যে Ischemic stroke প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু Hemorrhagic stroke খুব কম দেখা যায়। মস্তিষ্কের ধমনিতে যাখন রক্ত সঞ্চালন বাধা প্রাপ্ত হয় বা ধমনিতে রক্ত জমাট বদ্ধ হয়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়, তখন এই Ischemic stroke করে। ঘাড়ের Carotid Artery তে রক্ত সঞ্চালন বা প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তখনো স্ট্রোক করে।
 
Hemorrhagic stroke খুব বেশি দেখা যায় না। মস্তিষ্কের ধমনি যখন কোনো কারণে ছিঁড়ে যায় এবং মাথার খুলির চামড়ার নিচে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে তখন Hemorrhagic stroke করে।
 
স্ট্রোকের সাধারণ লক্ষণ হলো:
০১. হঠাৎ অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা
০২. হঠাৎ মুখ, হাত ও পা অবশ হয়ে যাওয়া (সাধারণত শরীরের যে কোন এক পাশ)। অনেক সময় মুখের মাংস পেশি অবশ হয়ে যায়, ফলে লালা ঝড়তে থাকে।
০৩. হঠাৎ কথা বলতে এবং বুঝতে সমস্যা হওয়া।
০৪. হঠাৎ এক চোখে অথবা দুই চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া।
০৫. হঠাৎ ব্যালেন্স বা সোজা হয়ে বসা ও দাড়াতে সমস্যা হওয়া, মাথা ঘুরানো এবং হাটতে সমস্যা হওয়া।
 
স্ট্রোক পরবর্তী সমস্যাঃ
শরীরের এক পাশ অথবা অনেক সময় দুই পাশ অবশ হয়ে যায়, মাংসপেশীর টান প্রাথমিক পর্যায়ে কমে যায় এবং পরে আস্তে আস্তে টান বাড়তে থাকে, হাত ও পায়ে ব্যথা থাকতে পারে, হাত ও পায়ের নড়াচড়া সম্পূর্ন অথবা আংশিকভাবে কমে যেতে পারে, মাংসপেশী শুকিয়ে অথবা শক্ত হয়ে যেতে পারে, হাটাচলা, উঠাবসা, বিছানায় নড়াচড়া ইত্যাদি কমে যেতে পারে, নড়াচড়া কমে যায় যার ফলে চাপজনিত ঘা দেখা দিতে পারে, শোল্ডার বা ঘাড়ের জয়েন্ট সরে যেতে পারে ইত্যাদি।
 
এমন অবস্থায় অবিলম্বে নিকটস্থ কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতালে স্থানান্তর জরুরি। অন্যথায় জীবন সঙ্কটাপন্ন হতে পারে।
Read More

সুস্বাস্থ্য পেতে সবসময় মনে রাখার বিষয়

সুস্বাস্থ্য পেতে সবসময় মনে রাখার বিষয়

সুস্বাস্থ্য পেতে সবসময় মনে রাখার বিষয়ঃ

  • প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন।
  • পচা বাসি খাবার, রাস্তার পাশের খোলা খাবার খাবেন না। পানি ফুটিয়ে বা স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তৈরী নিরাপদ পানি পান করুন।
  • প্রত্যেক সুস্থ সবল ব্যক্তি প্রতি তিনমাস অন্তর এক ইউনিট রক্ত দান করতে পারেন।
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
  • ডায়রিয়া হলে পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবার স্যালাইন খেতে থাকুন।
  • যদি আপনার খাবার রুচি কমে যায়, উপরের পেটে ব্যথা ও সেই সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে সন্দেহ করতে পারেন আপনি “ভাইরাল হেপাটাইটিস” রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া জ্বরের জন্য ‘প্যারাসিটামল ‘ খাবেন না।
  • ডেঙ্গু জ্বর সন্দেহ হলে এসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ঔষধ খাবনে না, এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
  • অসতর্ক যৌন মিলনে ‘হেপাটাইটিস বি’ ও ‘এইডস’ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার আশংকা আছে বলে এমন এমন অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার পরিবারের কেউ যদি ‘হেপাটাইটিস বি’ ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে পারিবারের অন্যরা দ্রুত প্রতিশেধক টিকা নিন।
  • চিনি কম খাবেন।
  • ফল ও শাক সবজি বেশি খাবেন।
  • নিয়মিত হাঁটা-হাঁটি করবেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।
  • বাজে বা দুশ্চিন্তা করবেন না।
  • মাংস কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • তৈলাক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার খাবেন না।
  • ফাস্ট-ফোড ও ড্রিংক্স কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • মদ ও তামাকজাতদ্রব্য একেবারেই খাওয়া নিষেধ।
  • ঝগড়া বা রাগারাগি করবেন না।
  • সবসময় হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করবেন।
  • দৈনন্দিন কাজ কর্মে সঠিক দেহ-ভঙ্গি মেনে চলুন।
  • দেহে কোনো রোগ পোষে রাখবেন না।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ধর্মীয় প্রার্থনা করুন।
  • একজন সুস্থ মা-ই শুধু সুস্থ সন্তান আশা করতে পারেন।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ এবং সুস্থ থাকারও প্রথম সোপান।
  • আপনি আপনার স্বাস্থ্যের খবর জানুন- রক্তের গ্রুপ, ওজন, উচ্চতা, ব্লাডপ্রেসার, রক্তের সুগার ও কোলেসটেরল কি বা কত? হেপাটাইটিস ‘বি’ বা ‘সি’ ভাইরাস আপনার রক্তে আছে কি?
  • আপনার স্বামী ধুমপায়ী হলে আপনি ও আপনার শিশুর সন্তান সবার জন্যই ক্ষতিকর।
  • জর্দা খাওয়া, গুল ব্যবহার, রং মেশানো খাবার ও অধিক মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করুন।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেনঃ

  • কাশি, বমি, পায়খানা বা প্রস্রাবের সাথে রক্ত দেখা গেলে।
  • পুরাতন কাশির ধরন পরিবর্তন হলে।
  • হঠাৎ করে বুক ব্যথা, বুক ধড়ফড় বা শ্বাস কষ্ট হলে।
  • খাবার রুচি কমতে থাকলে, শরীরের ওজন কমতে থাকলে, অথবা বেশী করে খাওয়া সত্বেও শরীরের ওজন দ্রুত কমে গেলে।
  • রক্ত স্বল্পতা বা জন্ডিস দেখা গেলে।
  • মধ্য বয়স্কা মহিলার হঠাৎ করে পায়খানার অভ্যাস ( কোষ্ঠ কাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা) পরিবর্তন হলে।
  • পেট ব্যথা, ফাপা ও সেই সঙ্গে বমি হলে।
  • পেট বা শরীরের কোথাও কোন গোটা অনুভব করলে।
  • দুর্ঘটনা ব্যতীত কোন অসুখে বংশের কারো অকাল মৃত্যু ঘটলে।
  • উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে।
  • অল্প সময়ের জন্যেও জ্ঞান হারিয়ে গেলে।
  • শরীরের কোন অংশ অবশ অনুভব করলে, হঠাৎ করে চোখে দেখতে না পারলে বা একটি জিনিসকে দুটা আকারে দেখলে।
  • বমি বা সেই সাথে মাথা ঘোরার জন্য চলতে অসুবিধা হলে।
  • কোন কারণ ছাড়া চামড়ার নিচে রক্ত জমাট দেখা দিলে।
  • দীর্ঘ দিন যাবৎ শরীরের ঘা না শুকালে বা ঘনঘন ঘা হলে।
  • প্রস্রাব ঘনঘন হলে বা বাঁধা প্রাপ্ত বা বন্ধ হবার উপক্রম হলে।
  • মাথা ব্যথা ক্রমশ বেড়ে গেলে বা প্রথম থেকেই তীব্র ব্যথা হলে বা চল্লিশোর্ধ বয়সের কারো প্রথম মাথা ব্যথা দেখা দিলে।
  • আপনার ওজন কি বেশী? আগের বাচ্চা কি স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক ওজনের হয়েছিল? গর্ভাবস্থায় বাচ্চা কি মারা গিয়েছিল? বংশের কেউ কি ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন? তাহলে রক্তের সুগার অবশ্যই পরীক্ষা করুন।
  • হাঁপানি রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শ্বাসকষ্ট গর্ভস্থ বাচ্চার জন্য অধিক ক্ষতিকর।
  • গর্ভবতী অবস্থায় ডায়াবেটিস, হাঁপানি ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মায়ের সুচিকিৎসা করলে গর্ভস্ত বাচ্চার বিপদের ঝুকি একবোরে কমানো যায়।
Read More

আদার উপকারিতা

আদার উপকারিতা
আদার উপকারিতা:
✅ পেটের পীড়া দূর করে।
✅ ফুসফুসের জন্য উপকারী।
✅ ব্যথানাশক।
✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
✅ ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
✅ হার্ট ভালো রাখে।
✅ ডায়াবেটিসজনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা।
✅ রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
✅ বমিভাব দূর করে।
✅ ঠাণ্ডা-জ্বরে আদা খুবই উপকারি।
✅ শ্বাসকষ্ট সারাতে সাহায্য করে।
✅ শ্বাস প্রশ্বাস পদ্ধতিতে উন্নতি ঘটায়।
✅ ক্যান্সার রোধ করে।
✅ হজমে সাহায্য করে।
✅ ঋতুস্রাবের ব্যাথা দূর করে।
✅ মাথা ব্যাথা ও যন্ত্রণা দূর করে।
✅ স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
✅ ক্ষিধে বাড়বে এবং মুখের রুচিও ফিরে আসবে।
✅ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
✅ কাশি ও স্বর পরিস্কার করে।
Read More

কালোজিরার উপকারিতা

কালোজিরার উপকারিতা :
👉 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
👉 মাথাব্যথায় উপকারি।
👉 চুলপড়া বন্ধে কাজ করে।
👉 স্মরণশক্তি ও ত্বরিত অনুভুতি।
👉 ডায়াবেটিসে উপকারি।
👉 কিডনি সমস্যায় উপকারি।
👉 হৃদরোগে উপকারি।
👉 বদহজম কমায়।
👉 চোখে সমস্যায় কাজ করে।
👉 উচ্চ রক্তচাপে উপকারি।
👉 জ্বর সারায়।
👉 যৌন-দুর্বলতায় উপকারি।
👉 স্ত্রীরোগে কাজ করে।
👉 স্নায়ুবিক উত্তেজনায়।
👉 সৌন্দর্য বৃদ্ধি।
👉 বাত-ব্যথায় উপকারি।
👉 রুচি বৃদ্ধি করে।
👉 শরীর ব্যথায় উপকারি।
👉 গলা ও দাঁতের ব্যথায় কাজ করে।
👉 সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে উপকারি।
👉 ক্যান্সার প্রতিরোধক।
👉 অবসন্নতা-দুর্বলতা ও অলসতা কমায়।
👉 শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী।
👉 ঘা, ফোড়া ও সংক্রামক রোগ হয় না।
👉 কৃমি দূর করে।
👉 দেহের কাটা ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।
👉 ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা উপকার।
Read More

গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্যথা, কি করে রেহাই পাবেন

গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্যথা, কি করে রেহাই পাবেন?
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ব্যথাঃ গর্ভাবস্থায় প্রায়ই শোনা যায় মা, বিভিন্ন রকমের ব্যথায় ভুগছেন। এসব ব্যথা তার মাতৃত্ব কালীন সময়কে কঠিন করে তোলে। অনেকে আবার না বুঝে অনেক রকমের পেইন-কিলার খেয়ে থাকে যা মা ও শিশু উভয়ের জন্য ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই জেনে নিন কি কি ধরণের ব্যথা হতে পারে এ সময় আর কি করে রেহাই পেতে পারেন এর হাত থেকে।
কোমরে ব্যথাঃ
শিশুর বৃদ্ধির সাথে সাথে পেটের যখন বৃদ্ধি ঘটে মায়ের হাঁটা চলা ও বিভিন্ন কাজের জন্য কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। হাড়ের জয়েন্টে সমস্যাও এসময় কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
কি করে রেহাই পাবেন? নিজের শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নিন এ সময়। কাজের সময় পেটের উপর কোন প্রকার চাপ দেবেন না। মেরুদন্ড সোজা রেখে হাঁটতে চেষ্টা করুন।
পায়ে ব্যথাঃ
এসময় লিগামেন্ট হালকা হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায়ই পায়ে ব্যথা অনুভূত হয়। গর্ভকালীন কিছু হরমোনই সাধারণত এর জন্য দায়ী। সেই সাথে গর্ভকালীন অতিরিক্ত ওজনের ফলে এই ব্যথা হয়ে থাকে।
রেহাই পাবেন কি করে? এ সময় পরার উপযোগী বিশেষ ধরণের জুতা রয়েছে যা ব্যথা কমাতে অনেক উপকারী। দিনের বিভিন্ন কাজের ফাঁকে পা দুটোকে একটু বিশ্রাম দিন ও কিছুক্ষণ পরপর পায়ের উপর চাপ কমাতে পা ঝুলিয়ে বসুন। তবে আবার বেশিক্ষণের জন্য তা করতে যাবেন না। এতে আবার পায়ে পানি চলে আসতে পারে।
স্তনের আকৃতিতে অস্বাভাবিকতাঃ
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কারণেই শিশুর দুধ খাওয়ানোর উপযোগী করে নেওয়ার জন্য স্তনের আকৃতিগত পরিবর্তন দেখা যায়। মায়ের স্তনে দুধের কলোস্ট্রাম নামক উপাদান তৈরি হয় বলে এই পরিবর্তন দেখা দেয় আর মায়ের শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
কি করে মানিয়ে নেবেন? আরামদায়ক সাইজের অন্তর্বাস আপনাকে কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে।
পেটে ব্যথাঃ
এসিডিটির সমস্যা, শিশুর বেড়ে উঠার কারণেই গর্ভাবস্থার শেষের সময়কালে মা পেট ব্যথায় ভুগে থাকেন।
কি করে রেহাই পাবেন? বেশিরভাগ চিকিৎসকেরাই এ সময় চুষে খাওয়া যায় এমন এন্টাসিড, কিংবা তরল এসিডিটির ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর শিশুর নড়াচড়ার ফলে ব্যথা করলে তা মা সময়ের সাথে সাথে বুঝে নিতে পারবে।
মাথা ব্যথাঃ
বিভিন্ন গর্ভাবস্থার হরমোনের ফলে প্রচুর মাথা ব্যথা হয়। যেসব মায়েরা পূর্ব থেকে চা, কফি খেয়ে অভ্যস্ত তাঁদের হঠাৎ ক্যাফেইনের শূন্যতা হলে মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
কি করে রেহাই পাবেন? চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিয়ে কোন ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। স্কাল্প ম্যসাজ, বিশ্রাম ও শরীর শান্ত করার বিভিন্ন ব্যায়াম এই সমস্যা থেকে মা’কে মুক্তি দিতে পারে।
বিঃদ্রঃ- গর্ভাবস্থায় ব্যথা নিয়ন্ত্রনে রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা একটি আধুনিক অত্যান্ত কার্যকরি মাধ্যম।
Read More